মঈনুলের পর এবার মান্না’র ওপর।।
অক্টোবর ১৮, ২০১৮
ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বজুড়ে চলা `হ্যাশট্যাগ মিটু’তে মান্নার যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশি কিছু প্রাক্তন জাসদ-বাসদ কর্মী। একজন প্রাক্তন নারী জাসদ কর্মী বাংলা বলেছেন, ‘মান্না ভাই এত লম্বা লম্বা নীতি বাক্য দিচ্ছেন। তিনি কি এটা একবার আয়নায় দেখেছেন। এই মিষ্টি কথার আড়ালে যে লুকিয়ে আছে একজন হিংস্র দানব, তা কি নতুন প্রজন্ম জানে?’
ঐ নারী কর্মীর বক্তব্যের সূত্র ধরে এক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাসদ থেকে বেরিয়ে আ. ফ. ম মাহাবুবুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয় বাসদ। মাহমুদুর রহমান মান্না, আখতারুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, আলী রিয়াজের মতো তুখোড় ছাত্রনেতারা জাসদ ছেড়ে বাসদে চলে যান। বলা হয়েছিল, ‘ জাসদ সমাজতান্ত্রিক শ্রেণি চরিত্র হারিয়েছে।’ প্রাক্তন বাসদের অনেক নেতাই মনে করেন, জাসদ থেকে বাসদের জন্ম ছিল আদর্শিক। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব প্রশ্নে তাঁদের মতপার্থক্য হয়েছিল। কিন্তু মার্কসবাদী সংগঠন হিসেবে আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যে ভাঙন ধরে বাসদের ( বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল)।
বাসদের প্রাক্তন এবং বর্তমান একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসদ কোনো আদর্শিক কারণে নয়, স্রেফ মান্নার পরকীয়া এবং লাম্পট্যের কারণে ভেঙেছে। বাসদের আহ্বায়ক প্রয়াত আ.ফ.ম মাহাবুবুল হকের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেবীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মান্না। এই সম্পর্কে হাতেনাতে ধরাও পড়েন তিনি। এ সময় নীতি নৈতিকতার প্রশ্নটি সামনে আসে। কমরেডের স্ত্রীর সঙ্গে যে অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে পারে, সে কীভাবে শোষণহীন আদর্শিক রাজনীতি নিয়ে মানুষের সামনে দাঁড়াবে? – এই প্রশ্ন নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় বাসদের পলিট ব্যুরোতে (সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা) । দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার নীতি নির্ধারণী সভায় বেরিয়ে আসে মান্নার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ , তাঁর লাম্পট্য। এ সময় মান্নার ‘অরাজনৈতিক সুলভ’ আচরণের জন্য বাসদ ভেঙে বেরিয়ে যান কমরেড খালেকুজ্জামান। ঐ ১৮ ঘণ্টার বৈঠকের বিবরণীতে পাওয়া যায়, মান্নার বিরুদ্ধে ৮ জন নারী ‘অশোভন’ এবং ‘অশ্লীল’ আচরণের অভিযোগে বাসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই এখন দেশের বাইরে। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আ. ফ. ম. মাহাবুবুল হকের স্ত্রীও এখন ফ্রান্সে বসবাস করেন। এদের একজন সামাজিক যোগাযোগে সরব হয়েছেন। বলেছেন, ‘ভাগ্যিস সে যুগে ‘ হ্যাশট্যাগ মিটু’ ক্যাম্পেইন ছিল না, থাকলে আমাদের মান্না ভাইয়ের কি হতো?’ তিনি বলেছেন, ‘আজ মান্না ভাই গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছেন। সুন্দর কথা বলছেন। কিন্তু একজন যৌন নিপীড়কের কি দেশ-রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার আছে? ভারতেও এখন মি টু নিয়ে হৈ চৈ চলছে, যৌন হয়রানির অভিযোগে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশেও আসুন না আমরা মান্না ভাইয়ের মতো ভণ্ডদের মুখোশ উন্মোচন করে দেই।’ সূত্র- বাংলাইনসাইডার
যৌন হেনস্তা নিয়ে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন
কলকাতা এখন #মিটু সমর্থন করছে। কয়েক বছর আগে যখন আমি প্রকাশ করেছিলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যৌন হেনস্থার কাহিনী, আমাকে পারলে তারা খুন করে । যতক্ষণ অন্য লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, ততক্ষণ ঠিক আছে। আমাদের প্রিয় লোকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বরদাস্ত করবো না, ব্যাপারটা এমন।
আনন্দবাজার আমার কলাম সমগ্র বের করেছে। সুনীল সম্পর্কে কোনও কলামে আমার সামান্য কিছু লেখা পেলেও পুরো কলামই ডিলিট করে দিয়েছে। আমি যে মিথ্যে বলিনি সবাই জানে। কিন্তু প্রিয় শিল্পী সাহিত্যিক বা প্রিয় রাজনীতিকের কোনও কীর্তি কাহিনী ফাঁস করা চলবে না চলবে না। এই হলো সাফ কথা। আমাদের সময়।।