মইনুলের পিছনে লাগছে, এরা আসলে কারা?
বাংলাদেশের নারীদের ১৪ টা বাজানোর জন্য এই ধরনের নারীবাদীরাই যথেষ্ট। একবার চিন্তা করেন, মাসুদা ভাট্টির জায়গায় কোন পুরুষ যদি থাকতেন। আর মইনুল সহেব যদি তাকে চরিত্রহীন বলতেন, তাহলে এটা কি কোন ইস্যু হত? মোটেও না। এটা নিয়ে কেউ কথা বলত না।
এখন চরিত্র ব্যাপারটা মানুষ গোপন রাখতে না চাইলেও চরিত্রহীনতার ব্যাপারটা যে কোন মূল্যে গোপন রাখতে চায়। কিন্তু এখানে মইনুল হোসেন তো কোন ভুল করেন নাই। আমি একশ ভাগ উনার বক্তব্য সমর্থন করছি। কেন করছি?
উনি সরাসরি চরিত্রহীন কথা বলে নাই, এ জন্য করছি তা না। সরাসরি বলেও করতাম। কেন করতাম। মনোযোগ দিয়ে শুনেন,
ওখানে আলোচনা হচ্ছিল, রাজনৈতিক দল নিয়ে। আর চ্যানেলটা হল বেসরকারি বিটিভি যার নাম- ৭১। এবং জামায়াত এলার্জীকে চুতরা পাতার মতো মইনুল হোসেনের গায়ে ডলে চেয়ার চেষ্টা করে হলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরও কঢ়া কঢ়া মন্তব্য করে থাকেন আমরা জানি।
তো এখানে যদি তিনি জামায়াতের সাথে কারো যুক্ত হওয়াকে রাজনৈতিক পবিত্রতা (পড়ুন চেতনা) থেকে বিচ্যুত্যি হিসেবে দেখে থাকেন মানে চারিত্রীক পতন হিসেবে দেখে থাকেন তখন বিপক্ষের বক্তা যদি তাকেও একই ভাবে চরিত্রহীন বলে থাকেন কেন সেটা জেন্ডার ইস্যু হবে?
এখানে ত রাজনৈতিক চরিত্রের কথা বলা হচ্ছে। শরীরের বা জেন্ডার বিষয়ক কোন আলোচনা এখানে তো ছিল না। তাছাড়া কোন উন্নত চিন্তার নারী চরিত্র বা চরিত্রহীন এই ধরনের ফালতু শব্দ নিয়ে এখনো আটকে থেকে নিজেকে আবার আধুনিক প্রগতীশীল দাবি করেন কি ভাবে? আবার আরও ১০১ জন নাকি এই কুচিন্তাকে সমর্থন করছেন। বুঝেন অবস্থা।
এরা নারীবাদিও দাবি করবে আবার ১৮ শতকের আবেগ নিয়েও পরে থাকবে। সেই ১৮ শতকে কোন মেয়েকে এমন বলা হলে তার প্রতিবাদ তেমন আস্বাভাবিক হত না। কিন্তু এরা ২৫০ বছর পিছায়ে আছে।
আমিও মনে করি, রাজনৈতিক ভাবে মাসুদা চরিত্রহীন।
তো নারীবাদিরা এখনও যে রাজনৈতিক ভাবে অশিক্ষিত তা বুঝতে আরও বাক্য খরচ করার দরকার আছে বলে মনে করি না। এরা নারীকে দিন দিন আরও অপমাণিত হওয়ার আরও সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে শক্তিহীন করার ফালতু কালচারাল হিংসা চর্চা করেন। আশা করি শ্রদ্ধেয় ও প্রজ্ঞাবান নারী জানেন নারীর চরিত্র এতো হাল্কা জিনিস না যে এটা বাজারে রটায়ে এর সাফাই তৈরি করে নিজেকে জাতে তুলতে হবে। নারী বাই নেচার বেটার, উন্নত।
তো নারীবাদিদের সমস্যা হল, এরা সব কিছুকে লিঙ্গ দিয়ে দেখে। রাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ভাবে দেখার মানসিকতা নাই কিন্তু চেতনার দালালি করার সময় সব রস জেগে ওঠে। ওদের সাংষ্কৃতিক হিংসার কারণে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা যখন দল বেঁধে মেয়েদের সাথে নোংরমি করে তখন এরা তো এত বিবৃতি মারায় না। এরা নারীদের সুন্দর জীবনের প্রতি হুমকি ও দোষমন।
ওদের নিয়ে এতো কাও কাও না করে জনগনের রাজনৈতিক মুক্তির প্রশ্নকে এগিয়ে নেয়ার কাজে মন দেন।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে ‘রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন সাংবাদিক মুন্নি সাহা। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীনদের সাবধান থাকতে বলেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি সাহা।
মুন্নি সাহা বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রতিবাদটিকে কোট আন কোট নারী পারসপেকটিভে দেখতে চাই না। এটি একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমার বক্তব্যটি বলতে চাই। আপনার যখন আমাদের কাছে হেরে যাবেন। তখন শেষ অস্ত্র নারী এবং চরিত্র আছে কি না—সেগুলো বলতে থাকবেন। আর আমরা আমাদের কাজ করতেই থাকব।’
মুন্নি সাহা বলেন, ‘ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন এবং আপনারা যারা নানান সময়ে রাজনৈতিকভাবে কলঙ্কিত ও রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন। আপনারা একটু সাবধান থাকবেন। আজকের এই প্রতিবাদ সকল রাজনৈতিক কলঙ্কিত ও চরিত্রহীনদের প্রতি আমাদের সকলের প্রতিবাদ।’
এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এই রাজনৈতিক চরিত্রটা একটু ঠিক করতে চাই। বাংলাদেশের পক্ষে যারা কথা বলবেন, বাংলাদেশে বসে যারা রাজনীতি করবেন, বাংলাদেশের পক্ষে যারা থাকবেন। সেটায় আমাদের ফিল্টার, সেটাই আমাদের একক। এই এককের মাপকাঠি নিয়ে আপনারা রাজনীতি করতে আসবেন। সোজা-সাপটা কথা আমাদের সকলের তরফ থেকে।’
মুন্নি সাহা বলেন, ‘শুধুমাত্র নারী সাংবাদিক আমরা এক হইনি, বাংলাদেশের সকল স্বাধীনতাকামী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের এক স্বর, এক গলা—সবাই আজকে অন্তত ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই ধৃষ্টতার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এটা আরও জোরে উচ্চারণ করতে চাই।’
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনসহ অন্যদের উদ্দেশে মুন্নি সাহা বলেন, ‘যারা রাজনীতি করবেন, যারা জাতীয় ঐক্য করছেন এবং নির্বাচনের কথা বলছেন, তারা আজকের এই প্রতিবাদ মাথায় রেখে মাঠে নামবেন আশা করি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির এক লাইভ আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে আখ্যায়িত করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল।
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের ওই মন্তব্যে মাসুদা ভাট্টি ভয় পেয়েছেন কি না—আলোচনায় এ প্রসঙ্গে মুন্নি সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে এত বোকা ভাবলে চলবে না। যে এখনো এই ডিজিটাল যুগে উনি ভয় পেয়ে যাবেন। মাসুদা ভাট্টিকে হঠাৎ করে এক মুহূর্তে নারী মনে হয় এবং নারী হিসেবে তার চরিত্র নিয়ে হঠাৎ করে বাক্য উচ্চারণ করলেন। আমার মনে হয়, তিনি অনেক দূরে বাস করছেন। আমাদের এই জমানায় তিনি আসলে নাই। কিন্তু তার (মঈনুল হোসেন) জামানা থেকে তিনি কী কী করে এসছেন?’
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে মাসুদা ভাট্টির কাছে ক্ষমা চাইলেও সেই ক্ষমা যথেষ্ট নয় বলে প্রতিবাদ সভায় উল্লেখ করেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। সেখানে তিনি নারীদের পক্ষ থেকে দুটি দাবি তুলে ধরেন। এই দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে না মানলে আইনের আশ্রয়ের নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানান তিনি। দাবিগুলো হলো, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতেও এমন ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাছিমা আক্তার সোমা, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী। সাংবাদিকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মিথিলা ফারজানা, নাসিমা খান মন্টি, শাহনাজ মুন্নী, ফারজানা রূপা, সুপ্রীতি ধর, আঙ্গুর নাহার মন্টি, ফারহানা মিলি, নাদিরা কিরণ, মুনমুন শারমিন শামস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।
‘আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে ছাত্রলীগকেই দায়িত্ব নিতে হবে’
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক মতবিনিময় সভায় রাব্বানী এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আত্মার-আত্মীয়। এর চেয়ে আমাদের গর্বের কিছু নেই। শেখ হাসিনা বারান্দায় বা ঘরের ভিতরে রাখতে চান না ছাত্রলীগকে। তিনি হৃদয়ের মাঝখানে রাখতে চান। এ জন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি ছাত্রলীগকে স্নেহের ছায়াতলে নিয়েছেন। তাই তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জনগণের ঘরের দুয়ারে দুয়ারে যেয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে ছ্ত্রালীগকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন, জাহিদ হোসেন পারভেজ, আপেল মাহমুদ, রাকিব উদ্দিন, সৈয়দ আরাফাত হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহম্মেদ ফকির, দাউদকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
মুসলিমদের চেয়ে হিন্দুদের ত্যাগ বেশি: তসলিমা নাসরিন
মুসলিমদের চেয়ে হিন্দুদের ত্যাগ বেশি বলে মন্তব্য করেছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি এ লেখিকা মঙ্গলবার ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- আমার এক বন্ধু গাড়িতে বসেও ভগবানের নাম জপে। প্রতিদিন সকালে চান সেরে পুজো করতে বসে। নবরাত্রি চলছে, প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা করে পুজো করছে, ব্রত পালন করছে, ফল আর জল ছাড়া আর কিছু খাচ্ছে না।
‘এমনিতে শনি-বৃহস্পতিবার আর মঙ্গলবার মাছ-মাংস খায় না। কিছু দিন পরপরই অবশ্য মাছ-মাংস বন্ধ থাকে। একবার বলে পিতৃপক্ষ চলছে, মাছ-মাংস চলবে না, আরেকবার বলে শাওন মাস চলছে- পুরো শাওন মাস মাছ-মাংস বন্ধ। আবার বলে- পুজো এসে গেছে, মাছ-মাংস তো বন্ধই, তবে সবজি চলবে; কিন্তু পেঁয়াজ-রসুন বাদ দিয়ে।’
তসলিমা বলেন, সারা বছর এই ব্রত সেই উপোস লেগেই আছে। বন্ধুটি কিন্তু কোনো গেরুয়া পোশাকের সন্ন্যাসী নয়। রীতিমতো আধুনিক পোশাক পরা সাংবাদিক, যাকে লোকে প্রগতিশীল বলে গণ্য করে।
মুসলিমদের চেয়ে হিন্দুদের ত্যাগ বেশি মন্তব্য করে তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন- মাঝেমধ্যে ভাবী, মুসলমানরা প্রচণ্ড আরামে আছে, সারা বছর মোগলাই খান, ননস্টপ খেয়েই যাচ্ছে। বছরে এক মাসের জন্য একটা উপোসের মাস আসে বটে, ওই মাসটায় সবচেয়ে বেশি ভোজন চলে। মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের ত্যাগ যে কী ভয়াবহ, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
‘দুর্গম পাহাড়ে উঠছে মন্দিরে যাওয়ার জন্য। মাইলের পর মাইল হেঁটে গঙ্গাজল কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে দূরের মন্দিরে। সারারাত নদীর জলে কোমর অবধি ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, হাতে ধরে রাখে ফলমূলের ঝুড়ি, সূর্য দেবতা যেন খুশি হন। ভগবানকে পেতে গুরু ধরে এরা, গুরুরা ঠকিয়ে সর্বনাশ করে। আর কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় মুসলমানদের মতো এত ভোগ বিলাসী নয়
ছাত্রলীগ অন্যায় করে না, অন্যায় সহ্যও করে না: রাব্বানী
শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ অন্যায় করে না, অন্যায় সহ্যও করে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় সাংগঠনিক সফরে গিয়ে একাধিক সাংগঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নতুন কমিটি গঠনের এই প্রথম কুমিল্লা সফর করলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী। তিনি এদিন দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। পরে নূর জাহান হোটেলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ অবশ্যই মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হবে। মার্জিত আচরণ, সুন্দর ব্যবহার আর মানবিক কাজে সবার আগে সব সময় ছাত্রলীগকে দেখতে চান আমাদের মমতাময়ী নেত্রী, মানবতার মা, শেখ হাসিনা। স্বেচ্ছায় রক্তদান, পীড়িতের সেবা, আর্তমানবতার পাশে দাঁড়ানোসহ যে কোনো জনহিতকর কাজে ছাত্রলীগ থাকবে সবার আগে। বর্তমান ছাত্রলীগ হবে সমস্ত ইতিবাচক কাজের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর, এই ছাত্রলীগ অন্যায় করবে না, অন্যায় সহ্য করবে না।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকে পূর্ণতা দিতে ছাত্রলীগের উপরই আস্থা রেখেছেন। আমার-আপনার, আমাদের ছাত্রলীগের লাখো আদর্শিক কর্মীর নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ রাখতে, উন্নয়নের মার্কা নৌকার নিরলস কাজ করতে যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, তাহলে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আমরা সারাদেশে নৌকার বিজয় এনে দিতে পারব।
এ সফরে ছাত্রলীগ নেতা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান সুমন, আপেল মাহমুদ সবুজ, রাকিব হোসেন, শফিকুল আলম রেজা, গোলাম মোস্তফা, রাকিব উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন জসিম, মুইন উদ্দিন, মহসিন খন্দকার, তাওফিকুল ইসলাম সাগর, মুরাদ হায়দার টিপু, তাজউদ্দিন, সৈয়দ আরাফাত, মো. নাজিম, জাহিদ হোসেন পারভেজ, নাজমুল আলম সাকিব, মাজহারুল কবির শয়ন ও নাজমুল ইসলাম দিনু তার সফরসঙ্গী ছিলেন ।
রাবিতে শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার শিক্ষার্থীকে শিবিরকর্মী সন্দেহে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে ঘণ্টাব্যাপী মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আটককৃতরা হলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লিটন, দ্বিতীয় বর্ষের মুহাইমিন, সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাসিম হাসান ও আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরুখ। এদের মধ্যে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারধরে তার পা রক্তাক্ত হয়ে যায় এবং দুই হাতে গুরুতর জখম হয়। তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকজনকে আটক করেছে। বিষয়টি শোনার পর আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। চারজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, আটককৃতরা বঙ্গবন্ধু হলে থাকাকালে ৮টা ৪৯ মিনিটে মতিহার হল ও ৮টা ৫৭ মিনিটে মমতাজ উদ্দীন ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী দল বেঁধে মন্নুজান হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী চৌদ্দজন শিক্ষার্থীকে আটক করে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যায়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রেখে মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদের পর চারজনকে পুলিশে সোপর্দ করে। বাকি নয়জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিবিরের ক্যাডাররা ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাড়ায় শোডাউন দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় কয়েকজনকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয়। এ সময় কয়েকজন আমাদের দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আমরা তাদের ধরে করি। তাদের মধ্যে চারজন শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।’
আটকের পর পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় লিটন ও মুহাইমিনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে বিকালে ঘুরতে এসেছিলাম। এ সময় সন্দেহবশত আমাদের আটক করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা কারণে আমাদের খুব মারধর করেছে। আমরা শিবির করি না।’
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’