ভয়ঙ্কর জালিয়াতি।
ভারতের হাজার হাজার নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে। এখন আবার সার্ক কোটায় সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে বাংলাদেশের সরকারি মেডিক্যালে পড়ছে ভারতের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিক্যালে ছাত্রছাত্রীদের যেখানে ২৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে পড়তে হচ্ছে; সেখানে ভারতের শিক্ষার্থীরা নকল সনদে সরকারি মেডিক্যালে ভর্তি হয়ে প্রায় বিনা খরচে লেখাপড়া করছে। শুধু তাই নয়, নামীদামি মেডিক্যালে পড়–য়া ভারতীয় এই শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপও পাচ্ছে। এই জালিয়াতি-প্রচারণায় সহায়তা করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা। খবর নির্ভরযোগ্য সূত্রের। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভুয়া সনদ ও টেম্পারিং করা নম্বরপত্রে ১৫ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেছে লেখাপড়া করছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি প্রফেসর ডা. মো. আব্দুর রশিদ ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। ভর্তির পুরো বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের হাইকমিশনকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে খুব শিগগিরই একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়টি তার জানা নেই। সংশ্লিষ্ট দফতর কেন কাগজের সঠিকতা যাচাই-বাছাই করেননি তাও ক্ষতিয়ে দেখা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে বিদেশী কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর জালিয়াতি হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী মেধার ভিত্তিতে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা থাকলেও ভুয়া নম্বরপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী একটি চক্র। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে নম্বরপত্র জালিয়াতি করে দেশের সরকারি ৪টি মেডিক্যালে ১৫ জনসহ মোট ভর্তি হয়েছে ৫৭ জন বিদেশী শিক্ষার্থী। এই প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মী। যারা টাকার বিনিময়ে বিদেশী প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে মেধাহীন শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের মাধ্যমে মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে করে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্য দিকে গুটিকয়েক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারী দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।
জানা গেছে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের মাধ্যমে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নন-সার্ক কোটাও কিছু বিদেশী শিক্ষার্থী এ ধরনের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মেধাবীদের এ ক্ষেত্রে সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সার্ক কোটায় মোট ৯৪ জন এবং নন-সার্ক কোটায় ৮২ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশের সরকারি মেডিক্যালে পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মতো সামান্য খরচে মেডিক্যালে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান। কারণ সরকারি মেডিক্যালে শিক্ষার্থীরা সরকারি ব্যয়ে পড়াশোনা করেন। তবে বেসরকারি মেডিক্যাল ৫০ শতাংশ বিদেশী কোটা থাকলেও সার্ক কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সার্ক কোটায় দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে যে ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, তারা সবাই ভারতের নাগরিক। এদের মধ্যে ১১ জনের সনদ ভুয়া। অর্থাৎ তারা ভারতের যে প্রদেশের বাসিন্দা এবং যেখানে লেখাপড়া করেছেন, সেখানকার সনদ না দিয়ে অন্য প্রদেশের সনদ দিয়ে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ৪ জন নম্বরপত্র টেম্পারিং করে ভর্তি হন। টেম্পারিং করা নম্বরপত্রে যথেষ্ট অসঙ্গতি থাকলেও ভারত বা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ভর্তির আগে সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন মনে করেনি। ফলে একাধিক সরকারি কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ভারতের শিক্ষার্থীরা।
এসব শিক্ষার্থীদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সার্ক কোটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন দীক্ষা দেবী; যার ঠিকানা জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর। কিন্তু তিনি দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর যে কাগজ জমা দিয়েছেন সেগুলো অন্ধ্র প্রদেশের। একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত তায়েবা আফতাব; তার ঠিকানা জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর হলেও সনদ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের। সাকির সোয়াকাট ভাট, ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর, সনদ উত্তর প্রদেশের। একই ভাবে আহমেদ মুসতাক রাতহারের ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর সনদ অন্ধ্র প্রদেশের। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরতদের মধ্যে সৈয়দ তাবিস মইন, ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর আর সনদ অন্ধ্র প্রদেশের। সুয়ায়েব যহোর, ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর, সনদ উত্তর প্রদেশের। আদিবা রউফ, ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর, সনদ অন্ধ্র প্রদেশ। ইফ্র নাইক ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর, সনদ অন্ধ্র প্রদেশে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত জিসান মেহেদী হোসাইন, তিনি ঠিকানা দিয়েছেন আসামের। তার স্থায়ী ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর আর সনদ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের। রংপুর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত হানান গানি, ঠিকানা জম্মু কাশ্মীর, সনদ অন্ধ্র প্রদেশের। ফাতিমা সিকান্দার ওয়ানি, তিনিও জম্মু কাশ্মীরের অধিবাসী তবে সনদ দিয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত জম্মু কাশ্মীরের শিক্ষার্থী তুবা সাহা, হুদা ওয়ানি, হাশিম শাখাওয়াত লাহারিওয়াল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত ফাজার ফারুক নম্বরপত্র টেম্পারিং করে ভর্তি হয়েছেন।
ফাজার ফারুকের নম্বরপত্র অনুসন্ধানে দেখা যায়, রসায়ন বিজ্ঞানে তিনি তত্ত্বীয়তে ৭০ নম্বর এবং অন্যান্য মিলিয়ে ২৫ নম্বর পেয়েছেন। অর্থাৎ তার মোট নম্বর হওয়ার কথা ৯৫, কিন্তু সেখানে লেখা রয়েছে ১০০। বাকিদের নম্বরও অস্বাভাবিক। অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে, ২০১৭ সালে কাশ্মীরে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারী শিক্ষার্থীর মোট নম্বর ছিল ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪২১। কিন্তু যারা সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি করেছেন, তাদের সবার নম্বর এই শিক্ষার্থীর চেয়ে অনেক বেশি।
বাংলাদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মেডিক্যাল ভর্তির কনসালটেন্সি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, এ বিষয়টি এবার নজরে এলেও এ ঘটনা নতুন নয়। এ কাজে উভয় দেশের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত। তিনি বলেন, ভারতে মেডিক্যাল শিক্ষায় ব্যয় অনেক বেশি। তা ছাড়া বাংলাদেশেও মানসম্মত প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের ব্যয় কম নয়। সেক্ষেত্রে ১০ লাখ বা ক্ষেত্রবিশেষ আরো বেশি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে যদি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া যায়, তাহলে নামমাত্র খরচে লেখাপড়া শেষ করা সম্ভব। পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্ন করতে ভারত ও বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানে এ চক্রের সদস্য রয়েছে। সার্ক কোটার পাশাপাশি ননসার্ক কোটা এবং পাহাড়ি কোটাও এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অত্যন্ত সুকৌশলে এ কাজ করায় এটি নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না।
ঘটনার যেখানে সূত্রপাত, দক্ষিণ এশীয় এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন (সার্ক) কোটার বাংলাদেশে এমবিবিএস কোর্সের কাশ্মীর উপত্যকায় অনেক শিক্ষার্থী প্রতারণার মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন সেখানকার একজন শিক্ষার্থী ফাহিম রশিদ। যিনি ২০১৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪২১ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। চিকিৎসক হওয়ার আশায় তিনি বাংলাদেশে আবেদন করেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর তিনি দেখলেন সেখানে তার নাম নেই। কিন্তু জম্মু কাশ্মীরের অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে তিনি মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকলেও যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাদের নম্বর তার চেয়ে বেশি দেখানো হয়।
ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে অবস্থানরত একজন কাশ্মিরী শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সার্ক দেশগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবো বলে নিশ্চিত ছিলাম। কারণ আমি জানি, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমি আমার ব্যাচের শীর্ষস্থানীয় ছিলাম এবং জীববিজ্ঞানে ৯৯ নম্বর পেয়েছিলাম, যা আমার ব্যাচে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর। কিন্তু সার্ক মেধার তালিকাটি দেখে অবাক হয়েছিলাম। তিনি বলেন, ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র অনুলিপিসহ জোগাড় করি। সেখানে দেখতে পাই এমবিবিএসে ভর্তির জন্য সার্ক মেধা তালিকায় কাশ্মীর উপত্যকার ১৫ জন শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছে, যাদের মধ্যে আমার ব্যাচের আটজন শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় মেধা তালিকায় আমার চেয়ে কম নম্বর পেয়েছিল। অথচ তারা যে নম্বরপত্র প্রদর্শন করেছে সেখানে নম্বর আমার চেয়ে অনেক বেশি।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশে ভ্রমণরত কাশ্মীর কেরিয়ার কাউন্সিল এসোসিয়েশনের (কেসিসিএ) এক সদস্য বলেন, সার্ক কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। এখানে সনদ জালিয়াতি এবং নম্বরপত্র টেম্পারিং করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আমরা জানিয়েছি। এমনকি স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা করা হয়েছে। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি জালিয়াতির মাধ্যমে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করছি। আমাদের দাবি কোনোভাবেই যেন মেধাবী শিক্ষার্থী বঞ্চিত না হয়।
এ বিষয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত মিনিস্টার (প্রেস) ফরিদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কাশ্মিরী শিক্ষার্থীরা তাকে জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাশ্মিরী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা গ্রুপিংও আছে। তবে সার্ক কোটায় শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এ ক্ষেত্রে ভারত সরকারের এমইএ (মিনিস্ট্রি এক্সটার্নাল এফেয়ার্স)-এর সার্টিফাইড ছাড়া কোনো কাগজপত্র গ্রহণ করা হয় না। এমইএ’র ভিত্তিতে করা হয়। সত্য-মিথ্যা যাচাই করা তাদের কাজ, আমাদের কাজ পাঠিয়ে দেয়া। তা ছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাই করা হাইকমিশনের পক্ষে সম্ভব হয় না, এজেন্টের মাধ্যমে এগুলো করা হয়। ফরিদ হাসান জানান, বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তির বিষয়টি আমি দেখেছি। সরকারি মেডিক্যাল অন্য একটি শাখা দেখেছে। একই সঙ্গে পুরো বিষয়টি দুই দেশের কূটনৈতিক শাখার মাধ্যমে অনুমোদন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ) জি এম সালেহ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান করতে নির্দেশ প্রদান করছি। অনিয়মের কোনো বিষয় পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ববস্থা গ্রহণ করা হবে।