ভারত ও তিব্বত সম্পর্ক গুরু-শিষ্যের মতঃ দালাইলামা
ভারত ও তিব্বতের মধ্যকার সম্পর্ক গুরু ও শিষ্যের মত এবং তা আজ পর্যন্ত বহাল রয়েছে। দালাই লামা শনিবার এ মন্তব্য করেছেন। তার ভারতে আগমনের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘থ্যাঙ্ক ইউ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতকালে বৌদ্ধ আধ্যাত্মিক নেতা বলেন, তিনি যখন ১৯৫৯ সালে প্রথমে ভারতে পৌঁছেছিলেন, তখন তার মনে হয়েছিল, দুই দেশের মধ্যে গুরু-শিষ্য সম্পর্ক রয়েছে। বছরব্যাপী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে হিমাচল প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল তিবেটিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিটিএ)।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব উপস্থিত ছিলেন। দালাই লামা বলেন, তিব্বতিরা সমস্যায় আছে, তবে তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে যাচ্ছে। আমরা প্রবল আত্মবিশ্বাস এবং মানবিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের মূল্যবোধ রক্ষা করে যাচ্ছি।
মহেশ শর্মাও দালাই লামার অনুভূতির সাথে সুর মিলিয়ে বলেন, আধ্যাত্মিক নেতাদের তিব্বতে ফিরে যাওয়াকে ভারত সমর্থন করে। তিনি বলেন, যখন ভারত ও তিব্বতের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি আসে, তখন ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কোনো প্রয়োজন নেই। এটি একটি আবেগময় মুহূর্ত। উদ্বাস্তু শব্দটি বেদনাদায়ক। ভারতে আপনারা আমাদের বন্ধু ও অতিথি।
তিব্বতি উদ্বাস্তুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি পণ্ডিত জওহের লাল নেহরুকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দালাই লামা উদ্বাস্তু নন, তিনি পারিবারিক সদস্য।
’৫০-এর দশকের শেষ দিকে তিব্বতিদের ভারতে প্রবেশের সুযোগ দানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিব্বতি প্রবাসী সরকারের প্রধান লবসাঙ স্যানগে বলেন, ভারতের জন্যই আমরা টিকে আছি। ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ৬০ বছরের নয়, শত শত বছরের। ভারত হলো গুরু, তিব্বত হলো শিষ্য। গুরুর পায়ে প্রণিপাত করা ও স্পর্শ করা কর্তব্য।
অনুষ্ঠানটি থেকে মোদি সরকার দূরে থাকলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা তাতে যোগ দেন। কেন্দ্র সম্প্রতি একটি উপদেশমূলক বার্তা পাঠিয়ে ‘স্পর্শকাতার’ বিবেচনায় দলের সিনিয়র নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রবাসী তিব্বতি সরকারের অনুষ্ঠানে হাজির না হতে বলেছে। এতে তিব্বতি সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।