বড় শোডাউন করে গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতারা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরে। আসতে পারে বিতর্কিত ইভিএম পদ্ধতি। তাছাড়া দেশের গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করার শঙ্কাতো আগেই ছিল। ২০ দিনের মধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকার ঘোষণার কথাও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আর সেখানে যে বিএনপি’র তারও স্থান হচ্ছে না সেটাও পরিস্কার করেছেন তিনি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন আরেক সংকট। তা হলো সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার।
টালমাতাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে গত ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেছে তাদের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ওই সমাবেশে যে পরিমান নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাতে করে ক্ষমতাসীনরা আতঙ্কিত হতেই পারেন। আর তারা যে আতঙ্কিত হয়েছেন তাও প্রায় নিশ্চিত। কেননা ইতোমধ্যেই তারা শুরু করেছেন ব্যাপক ধরপাকড়। রাজধানী পেরিয়ে তৃণমূল পর্যায়েও এই ধরপাকড় ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বড় শোডাউনের পর গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছে দলটি।
পহেলা সেপ্টেম্বরের জনসভার পর থেকে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে এই ধরপাকড়। এই ছয়দিনে গ্রেফতার হয়েছে ৩৫০ জনেরও বেশি। চালু করা হয়েছে পুরনো মামলাগুলো। এছাড়াও নতুন করেও নাশকতার মামলা দেয়া হয়েছে কোথাও কোথাও।
গতকাল ৫ সেপ্টেম্বরই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিএনপি এবং জামায়াতের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে। পুলিশের দাবি গতানুগতিক। নাশকতার পরিকল্পনার জন্য বৈঠক করায় বেশির ভাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আগের মামলায়, বাকিদের সন্দেভাজন হিসেবে। এই সকল গ্রেফতারের ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশির ভাগই হয়রানিমূলক।
রোজার ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ধরণের গ্রেফতারের শিকার হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মী।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের পর সরকার মনে করছে, দলটি সংগঠিত হচ্ছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে যে কোন সময় নেমে পড়তে পারে। এ কারণে বিএনপি যাতে সংগঠিত হতে না পারে, সে জন্য বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
এটা ধারণা করা স্বাভাবিক যে নির্বাচনের আগে বিএনপি একটি আন্দোলনে নামবে। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠে নামতে ইতোমধ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতির পাশাপাশি দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্টাও করছেন। আর তার মধ্যেই পুলিশ এই অভিযান শুরু করেছে।
নির্বাচন কমিশনের ভাষ্যমতে যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়ই তবে নির্বাচনের বাকি মাত্র চার মাস। এই সময় পুরনো মামলা চালু এবং নতুন করে মামলা দেয়া পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং বিএনপি’র রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া। সূত্রঃইনসাইডবিডি২৪