ব্যাভিচারে ইসলামে শাস্তি কী!
বিয়ের পরে প্রেম= ইবাদত, (বৈধ, হালাল!)
রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,
১)কোন বেগানা নারীর প্রতিদৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, ২)অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা,
,৩)অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা,
৪),ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা,
৫)খারাপ কথা শোনা কানের যিনা,
৬) যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা।
অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”।
(সহীহ আল-বুখারী, মিশকাত:৮৬, সহীহ আল-মুসলিম:২৬৫৭, সুনানে আবু দাউদ,সুনানে আন-নাসায়ী )
যিনা হারাম ও অত্যন্ত মন্দ কাজ আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেছেন,
তোমরা যিনার কাছে ও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত
নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ।” (সুরা বনী-ইসরাঈলঃ ৩২)
রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,,,,,,,,,
“আল্লাহর দৃষ্টিতে শিরকের পর সবচাইতে বড় গুনাহ হচ্ছে এমন কোন জরায়ুতে একফোটা বীর্য
ফেলা, যা আল্লাহ তার জন্য হালাল করেন নি।”
(সহীহ বুখারী)
রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,,,,,,,,,,,
যিনাকারী যখন যিনা করে, সে তা ঈমানদার অবস্থায় করে না।” (বুখারি ও মুসলিম)
যিনার শাস্তি:-
যে সব বড় পাপ করলে দুনিয়াতেই কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে যেনা তার মধ্যে অন্যতম।
দুনিয়াতে দু’টি বড় পাপের প্রতিক্রয়া খুবই নিন্দনীয়।
যেনা তার একটি। যেনাকারীর বাস্তব বিচার বা সামাজিক
বিচার যেমন অপমানজনক তেমনি সমাজে দুর্নাম ছড়িয়ে
যাওয়া ও অপমানজনক। কাজেই যেনাকারী ইহকালে ও
ক্ষতিগ্রস্ত, পরকালে ও ক্ষতিগ্রস্ত। এটা এমন একটা পাপ যার মাধ্যম অনেক। যেমন:- চোখ, হাত, পা, কান, মুখ, অন্তর ও লজ্জাস্থান। এগুলির দ্বারা মানুষ যেনার মত জঘন্য পাপ করে থাকে।
অাল্লাহ তা’য়ালা বলেন :-
তোমরা যেনার নিকটবর্তী ও হয়োই না, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ।
(সুরা-বানী-ইসরাঈল- ৩২)
ব্যভিচারিনী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ তাদের প্রত্যেক কে একশত করে_বেত্রাঘাত_কর। আল্লাহর আইন কার্যকর করার ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়া মায়া তোমাদেরকে যেন প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাত দিনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক একদল মু’মিন যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
(সুরা-নুর-০২)
বর্তমানে, একশ্রেনীর জ্ঞানহীন কিছু যুবক যুবতী লজ্জা-শরম ভুলে গিয়ে পরকিয়া প্রেমে অাসক্ত হয়ে যেনা করছে ও মা-বাবার অবাধ্য হচ্ছে। সমাজে যৌনাচারের মত বিষাক্ত ভাইরাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে । এরা মুসলীম নামের কলংক। সতর্ক করতে গেলে বিভিন্ন যুক্তি দেখায়, বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে (নিজের করা জঘন্যতম) পাপকে অস্বীকার করে। অার এই পরকিয়া প্রেমের সাহায্যে হিসাবে কিছু (অজ্ঞ জ্ঞানী) লোকেরা ইসলামিক লেবাস পড়ে টাকা কামিয়ে পাপের ভাগীদার হচ্ছে।
রাসূল (সাঃ) বলেন:___
”’যে ব্যক্তি তার জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান হেফাজতের দায়িত্ব নিবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নিলাম”’
(সহীহ বুখারী-৬৪৭৪)
অাল্লাহ তায়ালা যেনো সবাইকে সমাজে ছড়িয়ে থাকা অশ্লীল কাজ কর্ম থেকে হেফাজত করেন, আমাদের কে হেদায়াতের পথে রাখেন, এই দোয়া করি।