বিশ্ব শৌচাগার দিবসে মোদী ভারতবাসীকে কি প্রতিশ্রুতি দিলেন!
।। নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।। তারিখঃ ১৯ নভেম্বর ২০১৭।
আজ রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭। বিশ্ব শৌচাগার দিবস। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে আজকের তারিখটিকে বিশ্ব শৌচাগার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি পরিবার যাতে নিরাপদ শৌচাগার নির্মাণ করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এ দিবসটি বিশ্বব্যাপী সকল দেশের সরকার ও নাগরিকদের সচেতন করে তুলতে প্রয়াসী।
ভারতে ক্ষুধা, দারদ্রি, নারীর উপর সহিংসতা, ধর্ম ও বর্ণ বিদ্বেষসহ নানান সমস্যা থাকলেও সবচেয়ে বড় সমস্যা হল – শৌচাগার সমস্যা। সে বিষয়টি শেষাবধি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছে।
‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’-তে দেশে শৌচালয় গড়ার প্রতিশ্রুতি দিল মোদী সরকার৷ ট্যুইট করে আজ রবিবার এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
ভারতে অন্তত ৭৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ প্রকাশ্যে শৌচকর্ম করেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কথাই বলেন। কিন্তু বাস্তবতা ফলাফল জিরো। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল একটি দেশ। এদেশে মানুষের টয়লেট সমস্যা তো হবেই।
নরেন্দ্র মোদী ব্যাপক ভাবে স্বচ্ছ ভারতের প্রচার চালাচ্ছেন। গড়ে দেওয়া হচ্ছে শৌচালয়। তারপরও এমন সংখ্যা লজ্জাকর পরিস্থিতির তৈরি করেছে। এখনও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে হাগু সারতে হয় ঝোপ জঙ্গলে, রাস্তায়ও । ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়টি নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ সেটি ১০০শতাংশ রাখাবেন বলে আশ্বাস দিলেন তিনি৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরীভিত্তিতে শৌচাগার বানানো হবে খুব শীঘ্রই৷কিছুদিন আগে ভারত সরকার এ বিষয়ে নিজ স্বপক্ষে তথ্য পেশ করে৷ সেটিতে বলা হয়েছিল, স্বচ্ছ ভারত অভিযানে দারুণ সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে দেশজুড়ে ৫ কোটি ২০ লক্ষ বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্যে শৌচকর্ম বন্ধ করতে হলে ভারতকে এখনও অনেকদূর যেতে হবে। প্রতিবেশি একমাত্র বন্ধু দেশের নাগরিক হিসেবে আমরাও কামনা করি, ভারত শীঘ্রই তাদের এই হাগু সমস্যা সমাধানে সমর্থ হবেন।