শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তারকারা কী বলছেন?
ফেসবুকে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘বাচ্চা মানে বাচ্চা না, ভাই-বোনেরা আমার! বেশ কিছু ভিডিওতে আন্দোলনরত স্কুল কলেজের ছোট ছোট বাচ্চাদের কথা শুনে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করেছি কাহলিল জিব্রানের কবিতা। যেখানে লেখা হয়েছে, ভবিষ্যত প্রজন্ম পূর্ববর্তী প্রজন্মের চেয়ে এগিয়েই থাকে। তোমরা এগিয়েই আছো, ভাই-বোনেরা! লাভ ইউ। এখন একটাই অনুরোধ, সমষ্টির এই শক্তিকে একটা সুন্দর ফলাফলের দিকে নেয়ার দাবি তোল।’
নাট্যকার মাসুম রেজা লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাগাম টানুন। গরু-ছাগল চেনা ঘোড়াগুলো ক্ষেপে গেছে। তারা মানুষ চিনছে না। রাস্তায় রক্তের দাগ, সেই রক্তের দাগ মাড়িয়ে আপনার সুরক্ষিত গাড়িবহর ছুটে যায়। আপনার অজান্তেই হয়তো আপনার গাড়ির চাকায় লেপ্টে যায় কোনও এক নিষ্পাপ শিশুর রক্ত। শিশুর রক্ত মাড়িয়ে যাওয়ার মতো মানুষ তো আপনি নন। এ দায় তবে কেন আপনাকে বহন করতে হবে। ক্ষ্যাপা ঘোড়াগুলোর লাগাম টানুন।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লেখেন, ‘এই বাচ্চাদের অবরোধে পড়ে সাড়ে পাঁচঘণ্টায় পূবাইল শুটিং সেটে আসলাম। আমি ভীষণ অসুস্থ, ফিরব কিভাবে, কয় ঘণ্টায় জানি না। তবুও কোনো রাগ হয়নি। প্রাণছেঁড়াধন, সোনার বাচ্চারা, আমরা তোমাদের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তাই আজ পথে নামতে হয়েছে তোমাদের। এই মা তোমাদের সাথে আছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না। এটা তোমাদের কোনো এক মায়ের আকুতি।’
নিজের ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি কালো করে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘হোক প্রতিবাদ। বিচার চাই।’
মেহের আফরোজ শাওন লিখেছেন, ‘ওরা কিন্তু রাজনীতি বোঝে না- রাজনীতি করতে পথে নামেও নি, কিন্তু রাজনীতির প্রতি, রাজনীতিবিদদের প্রতি কী পরিমাণ ঘৃণা জন্মে যাবে তাদের মনে ভেবে দেখছেন! এই ছেলেপুলে গুলোই আগামী ২/১ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে- হয়তো ছাত্র রাজনীতিও করবে, আজকের এই ঘৃণা কি ওদের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে দিবে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি তো কোমল হৃদয়ের মানুষসারাজীবন সেভাবেই দেখে এসেছি তাকে আজ কেন তার কোমলতা দেখাতে দেরি করছেন? তার সম্বন্ধে এই বাচ্চাগুলোর ধারণা কোনদিকে যাচ্ছে! প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- আপনি ছাড়া আর কে আছে আমাদের? কার কাছে যাব? আপনাকে এই কিশোর-কিশোরীরা ভুলভাবে জানুক তা তো চাই না। এদের ঘরে ফেরাতে আপনার একটি আশ্বাসের বাক্যই তো যথেষ্ট। আপনি কি তাদের মাথায় আপনার হাতটা একটু রাখবেন না?’
মৌসুমী হামিদ লেখেন, ‘এটা ঠিক করছেন না আপনারা। বাংলাদেশ বাদ দিলাম। শুধুমাত্র ঢাকা শহরের যত স্কুল-কলেজ আছে, সব ছাত্ররা যদি রাস্তায় নেমে যায় তাহলে কিন্তু আপনার ঠেলা বাহিনি কাজে দিবে না। আসলেই কাজে দিবে না। সাবধান কিন্তু।’
এছাড়া অভিভাবকদের সাথে রাস্তায় দেখা গেছে সঞ্চালক ফারজানা ব্রাউনিয়াকে।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে রোববার দুপুরে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব নামে দুই শিক্ষার্থী জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় নিহত হন। আহত হন আরো ৮-১০ জন শিক্ষার্থী।