বিতর্কিত মাওলানা সাদঃ কিন্তু কেন?

January 11, 2018 7:26 pm0 commentsViews: 154
 নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।। তারিখঃ ১১ জানুয়ারি ২০১৮।।
যেসব বয়ানের জন্য মাওলানা সাদ বিতর্কিত
[ ‘ নামাজের পর ইমান ও আমলের ওপর বয়ান হবে। আমরা বসি। বহুত ফায়দা হবে’। ]

১৯২০ সালে দিল্লীর নিকটবর্তী নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার (র.) মাজার সংলগ্ন মসজিদকে কেন্দ্র করে মাওলানা ইলয়াস (র.) এই নতুন পদ্ধতিতে দ্বীন প্রচার শুরু করেন। বাংলাদেশের টঙ্গীতে গত ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা তারই অংশ। তাবলিগ জামাত বিশেষত গ্রামীণ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মনে করেন তাবলিগের অনুসারী ভাই ও বোনেরা। তাবলীগের অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তারা বলে থাকেন, দ্বীনের খেদমতে দল বেঁধে বিভিন্ন সময়ের জন্য দেশ-বিদেশে বের হওয়া। তাকওয়া অর্জন, দ্বীনের তালিমে অংশগ্রহণ ও আমল-আখলাক সুন্দর করার এক অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করে তাবলীগ জামাত।

তাবলিগ জামাতের বেশ কিছু পরিভাষা আছে। যেমন- তাবলিগ জামাতের মূলনীতিকে বলে উসূল। এটা ছয় সিফাত বা গুণ নামেও ব্যাপক ভাবে বিশ্ব মুসলিম সমাজে পরিচিত। এরকম উসূল ছয়টি। কালিমা (ঈমান), নামাজ, রোযা, ইলম ও জিকির, ইকারামুল মুসলিমিন (মুসলমানদের কল্যাণ), সহী নিয়ত ও দাওয়াতে তাবলীগ। আবার উসূল বলতে যারা দ্বীনের মেহনতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছেন তাদের টাকা-পয়সা ও বিছানাপত্র নিয়ে আসাকেও বোঝায়। প্রথমদিকে মাওলানা ইলয়াস (র.) দিনমজুর, শ্রমিক-কৃষকদের ডেকে এনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দু’বেলা খাবারও দিতেন, যাতে তারা দ্বীনী শিক্ষা লাভে উত্সাহিত হয়। পরে নিজ অর্থ ব্যয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করা হয়। সে সময় তার এই কর্ম প্রয়াসকে বলা হত ইসালে নফস বা আত্মশুদ্ধির প্রাথমিক পাঠ এবং তাহরিকুস সালাত বা নামাজের আন্দোলন। তাবলীগের আমিরকে বলা হয় হযরতজি। এ জামাতের লোকদের মধ্যে ‘মেহনত’ ও ‘ফায়দা’ শব্দ দুটি বহুল প্রচলিত। এখানে মেহনত অর্থ ধর্ম প্রচারের জন্য পরিশ্রম করা, কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করা। আর ফায়দা অর্থ লাভ। যেমন- প্রতি ওয়াক্তে ফরজ নামাজের পর তাবলীগের একজন কর্মী বলে ওঠেন, ‘ নামাজের পর ইমান ও আমলের ওপর বয়ান হবে। আমরা বসি। বহুত ফায়দা হবে’। ফায়দার পাশাপাশি ফয়েজ-বরকতও বহুল প্রচলিত শব্দ।
তাবলীগের প্রতিটি জামাতে ১৫-২০ জন মুসল্লি থাকেন। তারা বাড়ি বাড়ি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমনকি পথে-ঘাটে মানুষকে দ্বীন সম্পর্কে নসিহত করেন। এই দলের প্রধানকে বলা হয় ‘রাহবার’। রাহবার মানে পথ প্রদর্শক। অর্থাৎ যিনি পথ দেখিয়ে নিয়ে যান। আর পাড়া-মহল্লায় এভাবে ধর্মপ্রচারকে বলা হয় ‘গাশত’। ’গাশত’ মূলতঃ একটি ফারসি শব্দ। এখানে এর মানে ঘোরাফেরা করে দাওয়াত দেওয়া।  অন্যদিকে ‘চিল্লা’ শব্দটিও তাবলীগ জামাতের লোকদের মধ্যে অধিক প্রচলিত। চিল্লা অর্থ চল্লিশ তথা ৪০দিনের জন্য ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়া। এর  উদ্দেশ্য হল— ১. ঈমান-আমলের উন্নতি, ইলম অর্জন ও আত্মশুদ্ধি ২. প্রতি এলাকা থেকে জামাত বের করে আনা ও ৩. প্রতিটি মসজিদে পাঁচ আমল চালু করা। পাঁচ আমলের (কাজ) মধ্যে আছে- সপ্তাহে দুদিন গাশত করা, প্রতিদিন মাশওয়ারা বা পরামর্শ করা, প্রতিদিন আড়াই ঘন্টা দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া, প্রতিদিন মসজিদ ও বাড়িতে তালিম দেয়া এবং মাসে তিনদিন তাবলীগে যাওয়া।
তাবলীগ জামাতের লোকজনের মধ্যে ‘তাশকীল’ শব্দটিও ব্যাপক ব্যবহূত। এর মানে দাওয়াতের গুরুত্ব বুঝিয়ে তাবলীগে যাওয়ার জন্য কাউকে তৈরি করা। ‘মুজাকারা’ মানে কোন বিষয়ে সকলে মিলে আলোচনা করা। বিশ্ব ইজতেমায় যে ‘খিত্তা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, এর অর্থ অঞ্চল আর ‘হালকা’ মানে এলাকা। একই অর্থবোধক হলেও আসলে হালকা খিত্তার চেয়ে ছোট। মসজিদে মসজিদে তাবলীগের যে জামাত যায় এবং এই জামাতের যিনি নেতৃত্ব দেন তাকে বলা হয় জিম্মাদার বা আমির। আর যারা তার অধীনে থাকেন, তাদের বলা হয় মামুর বা সাথী। মামুর মানে যিনি বা যারা নির্দেশ মেনে চলে চলেন। ’গাশত’ চলাকালীন যিনি পথ দেখান, তাকে রাহবার বলা হয়। তবে যিনি দাওয়াত দেন, তাকে বলা হয় ‘মুতাকাল্লিম’। মুতাকাল্লিম’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলঃ যিনি কথাবার্তা বলেন বা ভাষণ দেন। কোন এলাকার মসজিদে যাওয়ার পর সকলের সাথে পরিচিত হওয়ার নিয়ম আছে। এটাকে বলা হয় তারুফ বা পরিচিতি। আবার সর্ব সাধারণের জন্য যে আলোচনা হয়, তাকে বলে আম বয়ান। আর আলেম-ওলামা, বিভিন্ন চাকরিজীবী, ছাত্র প্রভৃতি শ্রেণি ও পেশার মানুষের জন্য আছে আলাদা আলাদা বয়ানের নিয়ম। একে বলা হয় খাস বা খাওয়াস বয়ান। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা মুতাকাল্লিমের দায়িত্ব পালন করেন।

 বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত একটি মসজিদ বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের মারকায বা প্রধান কেন্দ্র।। এটি  ১৯৫২ সালে এই মসজিদটি তাবলীগ জামাতের মারকায হিসেবে নির্ধারিত হয়। মসজিদটির আদি নাম ছিল মালওয়ালি মসজিদ। পরবর্তীতে ১৯৬০এর দশকে তাবলীগ জামাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইঞ্জিনিয়ার মরহুম হাজী আব্দুল মুকিতের তত্ত্বাবধানে তিন তলা মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন।

’ফাযায়েলে আমল’ নামে গ্রন্থটি এ জামাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অনুসরণীয় পবিত্র গ্রন্থ । একটু আগে যে বললাম, ইমান ও আমলের ‍ওপর আলোচনা হবে বলে কোন মসজিদে জামায়াতে নামাজ শেষে আপনাকে বসাল। তারপর দেখবেন,  মুতাকাল্লি ‘ বা আলোচক একটি বই হাতে ওঠাল।ৈ বইয়ের নাম হল ‘ফাযায়েলে আমল।’ অধিকাংশ সময় কোন কোরআন শরিফের তাফসির নয়, হাদীস গ্রন্থের কপি নয় কিংবা বিশ্বে বহুল আলোচিত কোন খ্যাতনামা চিন্তাবিদের গ্রন্থও নয়, তিনি হাতে নেবেন ‘ফাযায়েলে আমল’ নামে সেই শতাব্দীর পর শতাব্দী চলে আসা এ গ্রন্থটি। এবার তিনি সেখান থেকে কিছৃ একাট পড়ে শোনালেন। এর মানেই তিনি ইমান ও আমল নিয়েূ আপনার সাথে আলোচনা করলেন। সে বয়ানের মূল কথাই হবেঃ ‘আপনাকে আল্লাহর রাস্তায় বেরুতে হবে।’ তিনদিনের জন্য, চল্লিশ দিনের জন্য, ১২০ দিন বা তিন চিল্লার জন্য, এক বছর এবং এমনকি সারা জীবনের জন্য আল্লাহর রাস্তায় বেরুতে হবে। আপনি আবার মনে করে বসবেন না যে, তাবলিগ আপনাকে জিহাদে যাওয়ার জন্য কাশ্মীর, ফিলিপানের মিন্দানাও প্রদেশ, ফিলিস্তিনের রণক্ষেত্র কিংবা মধ্য প্রাচ্যের কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে। আসলে তিনি নিয়ে যাচ্ছেন বরং আপনাকে জিহাদের সেই জটিল ও কষ্টসাধ্য কার্যক্রম থেকে নিরাপদ ও আরাম আয়েশে জীবন ধারেণর জন্য। যে কোন বয়ানে আপনি  মূল কথা পাবেন, আল্লাহর রাস্তায় বের হন। এমন অনেক লোক আমি তাবলিগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত দেখেছি, যাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের খবর নেই। ছেলে কী করে, তার স্ত্রী কী রকম জীবনযাপন করে, মেয়ে কেমন চলাপে রা করে, সে সবের কোন খবর নেই। তিনি আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আল্লাহর রাস্তা মানে ঘটিবাটি ও কম্বল কাঁথা নিয়ে মসজিদে মসজিদে, শহর থেকে দূরে তেপান্তরে, দেশ হতে দেশ দেশান্তরে। এ দলের মধ্যে কিছু নেককার ও খুলুছিয়াতের লোক যে একদম নেই, তা কিন্তু নয়। এরাপরও কথা থেকে যায়, সামষ্টিক ভাবে দলের আদর্শ ও তৎপরতা কী! তাবলিগ জামাত কখনও নির্বাচনকালীন সময়ে কোন ইসলামি দলকে ভোট দিতে কাউকে উৎসাহিত করতে দেখি নি। বরং একেবারে সেকুলার দল বা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাবে, এমন সম্ভাবনাময় দলকে বেশি পছন্দ করতে দেখা যায়। এমনকি ইসলামি দলগুলোর বিরুদ্ধে তাদের বিষোদগার সেকুলার দলগুলোর চেয়েও আরও ভয়ানক হতে দেখা যায়। তাবলিগ জামাতের পুরো তৎপরতা বিশ্লেষণ করলে যে কোন আধুনিক চিন্তাভাবনার মানুষেরা ইসলামকে নিছক একটি টাল্টিবাল্টি অন্য পাদ্রীদের দ্বারা পরিচালিত ধর্মের মত কোন ধর্মই মনে করবে।

’ফাযোয়েলে আমল’  গ্রন্থের অনুসারী দল ’তাবলিগ জামাত’ এর প্রতিষ্ঠাতা হজরত ইলিয়াস শাহ (রাহ.) এর নাতি মাওলানা সাদ এখন ‍তাদের নিজেদের মধ্যেই যথেষ্ট বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হলেন। সে নিয়ে মূলতঃ বিশ্ব তাবলিগ জামাত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।

শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন ইলিয়াস (রাহ.)।  এরপর আমিরের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.)। মাওলানা জুবায়েরুল আহসানের ইন্তেকালের পর আমিরের দায়িত্বে আসেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী।

তাবলিগ জামাতের কোন আমির বা মুরব্বির কোন বয়ান নিয়ে এর আগে এতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। যেটি হচ্ছে মাওলানা সাদের দেয়া বিভিন্ন বয়ান নিয়ে।

অভিযোগ উঠেছে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর বয়ান করেছেন। যার জন্য দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের অনেকেই এসব বয়ানের জন্য প্রকাশ্যে তাকে ক্ষমা চাইতে চলেছে।

তার দেয়া বিতর্কিত বয়ানের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-

> ভোটের সময় চিহ্ন হিসাবে (আঙুলে) যে রং লাগানো হয়, তার কারণে নামাজ হয় না। তাই ভোট না দেয়া উচিত।

> বিভিন্ন আয়াতে তিনি বলেন, মুফাসসিরিন এই আয়াতের কোন এক তাফসির করেছেন, ওলামা কোনো এক তাফসির করে থাকেন, কিন্তু আমি এই তাফসির করে থাকি। এটা শুন। এটাই সঠিক তাফসির!

> ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম এবং পকেটে ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রেখে নামাজ হয় না। যে আলেমগণ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখাকে ‘জায়েজ’ বলেন, তারা ‘ওলামায়ে ছু’। বার বার কসম খেয়ে তিনি বলেন, তারা হল ‘ওলামায়ে ছু’। এমন আলেমরা হলো গাধা! গাধা! গাধা!

> মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা; প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মত!

> মাদরাসা মসজিদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ।

> কুরআন শরীফ শিখিয়ে বেতন গ্রহণ করেন, তাদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়েও খারাপ। যে ইমাম এবং শিক্ষক বেতন গ্রহণ করেন, বেশ্যারা তাদের আগে জান্নাতে যাবে!

> কাওমি মাদরাসা বন্ধ করার অপচেষ্টা

> মাদরাসাগুলোতে জাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না।

> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর কেবল তিনজন লোকের ‘বাইআত’ পূর্ণতা পেয়েছে। আর বাকি সবার বাইআত অপূর্ণ। সেই ৩ জন হলেন- শাহ ইসমাঈল শহীদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস এবং মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ।

> মাওলানা সাদ সাহেব আযমগড়ের ইজতেমায় এবং অন্যান্য ইজতেমায় একাধিকবার সুন্নাতকে ‘৩ প্রকার’ বলে বর্ণনা করেছেন, ইবাদতের সুন্নাত, দাওয়াতের সুন্নাত এবং আচার-অভ্যাসের সুন্নাত।

> ‘দাওয়াতের পথ’ হল নবির পথ, ‘তাসাউফের পথ’ নবির পথ না।

> আজান হলো ‘তাশকিল’ (প্ল্যান-পরিকল্পনা)। নামাজ হলো ‘তারগীব’ (পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ)। আর নামাজের পর আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হলো ‘তারতীব’ (পরিকল্পনার মূল বাস্তবায়ন)।

> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াত ইলাল্লাহর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইশার নামাজকে পর্যন্ত বিলম্ব করে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।

> হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ‘তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বল’ বলে গাইরুল্লাহর দিকে দৃষ্টি দেয়ার কারণে তাকে অতিরিক্ত ৭ বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।

> হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহকে ছেড়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন। ফলে শাস্তি ভোগ করতে হলো।

> মুজিজার সম্পর্ক কেবল দাওয়াতের সঙ্গে। নবুয়াতের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।

> হজরত মুসা আলাইহিস সালাম থেকে বড় এক ভুল হয়ে গেছে এবং তিনি এক অপরাধ করে ফেলেছেন- জামাআত এবং কাওমকে ছেড়ে তিনি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য ‘নির্জনতা’ অবলম্বন করেছেন।

> হজরত মুসা আলাইহিস সালাম কর্তৃক হজরত হারুন আলাইহিস সালামকে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানোও অনুচিৎ কাজ হয়েছে।

হেদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হত; তাহলে তিনি নবি পাঠাতেন না

ছবিঃ তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস (রহ)

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com