বিছানায় শুয়েই টুইট ট্রাম্পের
সাক্ষাৎকারে ওই ব্রিটিশ চ্যানেলকে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা সোশ্যাল মিডিয়াই। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ভুয়ো খবরের যুগে নানা ভুল খবর উড়ে বেড়ায়। ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা আর নিজেকে বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা আমি মনে করি এক সোশ্যাল মিডিয়াই।’’ সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ঘুমোতে যাওয়ার আগেও কি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে ভাবেন? ট্রাম্পের চটজলদি জবাব, ‘‘হ্যাঁ, কখনও বিছানায় শুয়ে কখনও বা প্রাতরাশ বা মধ্যাহ্নভোজের সময়ও আমি টুইট করে থাকি। আসলে সারাদিন ধরেই তো খুব ব্যস্ত থাকি। খুবই ব্যস্ত আমি।’’ কোনও কোনও সময় নিজের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা হোয়াইট হাউসে তাঁর ঘনিষ্ঠ কোনও অফিসারকেও জানিয়ে থাকেন তিনি। বলেছেন, ‘‘কখনও ওদের বলে দিই, ওরাই আমার হয়ে গোটা বিষয়টি টুইটারে লিখে দেয়।’’
ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় উঠে এসেছে ব্রিটেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রশ্নটিও। খুব সম্প্রতি টুইটারেই নিজের ব্রিটেন সফর বাতিল করেছেন ট্রাম্প। বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে তিনি লন্ডন যেতে চাইছেন না বলে তখন দাবি করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ। যদিও কালকের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের দাবি, ব্রিটেনের প্রচুর মানুষ তাঁকে নিয়মিত ফ্যান মেল পাঠান। ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের মতও শুনিয়েছেন তিনি। একই সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দেন ট্রাম্প। যদিও ইইউ-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমেরিকা তাঁদের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপালে তার প্রত্যুত্তর দিতে তাঁরাও প্রস্তুত। ওই টিভি চ্যানেলকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকার ফেরা নিয়েও ফের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। সৌজন্যঃ আনন্দবাজার