বিছানায় শুয়েই টুইট ট্রাম্পের

January 29, 2018 6:16 pm0 commentsViews: 14

টুইটারে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা চার কোটি ৭২ লক্ষের কাছাকাছি। কথায় কথায় এই সোশ্যাল সাইটে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। বিদেশ নীতি থেকে শুরু করে সরকারি সিদ্ধান্ত—টুইটারেই সব বিষয় নিয়ে ফলাও আলোচনা করতে অভ্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বার তিনি নিজেই জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে বিছানায় শুয়েও টুইট করে থাকেন। কাল সম্প্রচারিত হয়েছে ওই সাক্ষাৎকার। যা শুনে সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্টকে বিঁধেছেন এক প্রথম সারির মার্কিন দৈনিকের সাংবাদিক ম্যাগি হেবারম্যান। গত বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্টের কাজকর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে ম্যাগি বলেছিলেন, ট্রাম্প মাঝেমধ্যেই বালিশে ঠেস দিয়ে টুইট করেন। সে বার ম্যাগির উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এ বার নিজেই বিছানায় শুয়ে টুইট করার কথা স্বীকার করায় পাল্টা প্রেসিডেন্টকে বিঁধেছেন ম্যাগি।

সাক্ষাৎকারে ওই ব্রিটিশ চ্যানেলকে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা সোশ্যাল মিডিয়াই। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ভুয়ো খবরের যুগে নানা ভুল খবর উড়ে বেড়ায়। ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা আর নিজেকে বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা আমি মনে করি এক সোশ্যাল মিডিয়াই।’’ সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ঘুমোতে যাওয়ার আগেও কি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে ভাবেন? ট্রাম্পের চটজলদি জবাব, ‘‘হ্যাঁ, কখনও বিছানায় শুয়ে কখনও বা প্রাতরাশ বা মধ্যাহ্নভোজের সময়ও আমি টুইট করে থাকি। আসলে সারাদিন ধরেই তো খুব ব্যস্ত থাকি। খুবই ব্যস্ত আমি।’’ কোনও কোনও সময় নিজের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা হোয়াইট হাউসে তাঁর ঘনিষ্ঠ কোনও অফিসারকেও জানিয়ে থাকেন তিনি। বলেছেন, ‘‘কখনও ওদের বলে দিই, ওরাই আমার হয়ে গোটা বিষয়টি টুইটারে লিখে দেয়।’’

ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় উঠে এসেছে ব্রিটেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রশ্নটিও। খুব সম্প্রতি টুইটারেই নিজের ব্রিটেন সফর বাতিল করেছেন ট্রাম্প। বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে তিনি লন্ডন যেতে চাইছেন না বলে তখন দাবি করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ। যদিও কালকের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের দাবি, ব্রিটেনের প্রচুর মানুষ তাঁকে নিয়মিত ফ্যান মেল পাঠান। ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের মতও শুনিয়েছেন তিনি। একই সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দেন ট্রাম্প। যদিও ইইউ-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমেরিকা তাঁদের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপালে তার প্রত্যুত্তর দিতে তাঁরাও প্রস্তুত। ওই টিভি চ্যানেলকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকার ফেরা নিয়েও ফের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। সৌজন্যঃ আনন্দবাজার

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com