বিএনপির নির্বাহী কমিটি সভায় ‘দুই বার্তা’
দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা করতে যাচ্ছে বিএনপি। সভায় কী বার্তা দেয়া হবে এনিয়ে চলছে গুঞ্জন। সভা মূলত দুটি বার্তা আসতে পারে বলে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। প্রথমত, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ‘নেতিবাচক’ রায় হলে নেতাদের কী করণীয়। দ্বিতীয়ত, আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে দলের চেয়ারপারসনের দিক-নির্দেশনা।
বিএনপি নেতারা জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবাররের সভা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলমান পরিস্থিতিতে একটা বিষয় পরিষ্কার- একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে বাদ দিয়ে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার। সেজন্যই একটি ‘মিথ্যা, সাজানো’ মামলায় রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। এটা নিয়ে তাদের নেত্রীর কাছ থেকে তারা কিছু শুনতে চান না। বরং রায়কে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা কী দায়িত্ব পালন করবে সেই বার্তা নিজেরাই দিতে চান।
অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসনের কাছ থেকে নেতাকর্মীরা শুনতে চান আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দিকনির্দেশনা।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সভা ঢাকা হয়েছে। নেত্রী নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন। তবে কী বলবেন তা আমরা আগে থেকে বলতে পারব না।’
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘নেত্রী এখন শাস্তির মুখোমুখি, তিনি কী বলবেন? বলব তো আমরা। একটা মিথ্যা মামলায় রায় হতে যাচ্ছে। এখানে দলের নেতাদের কী করণীয় এটাই মূল বিষয়।’
তিনি জানান, ‘খালেদা জিয়ার দলীয় প্রধান হিসেবে সভায় নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিবেন এটা স্বাভাবিক। তবে এটা রায় কেন্দ্রিক নয়। এটা হতে পারে আগামী নির্বাচন কেন্দ্রিক। ঐক্যবদ্ধ থেকে কিভাবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করা যায়।’
রাজধানীর খিলক্ষেতে লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সভার সকল প্রস্ততি সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল সকাল ১০টা থেকে নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে নির্বাহী কমিটির সভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
নির্বাহী কমিটির ৫০২ সদস্যের বাইরেও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া ১০০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।