বাংলাদেশেই এখন মিলবে তিন চাকার ‘প্রাইভেট কার’।।
তিন চাকার ‘প্রাইভেট কার’ চালিয়ে সহজে গন্তব্যে যেতে পারবেন এখন বাংলাদেশেই। ক্ষুদ্র যান বলে যানজটের ঝামেলা পোহাতে হবে কম। তাছাড়া আরামদায়ক আসনে বসে অনায়াসে পৌঁওভছ যাবেন আপনার গন্তব্যে। তবে যেতে পারবেন একজনই। বেশি জনের দরকারই বা কী? একলাই পথ পাড়ি দেবেন। অসুবিধা কী? আপনার জরুরী কাজগুলো সারবেন এক নিমিষে। খরচও পড়বে কম। জ্বালানী সমস্যা নেই। চলবে তো এটি ইলেকট্রিক চার্জে। অতএব আপনাকে পেট্রল পাম্পে গিয়ে কোন লাইনে দাাঁড়াতে হবে না। আপনার বাসা-বাড়িতে বসেই এটাকে চার্জ দিতে পারবেন।
এ রকম তিন চাকার একটি বাহন বাজারে এনেছে এনেছে আকিজ মোটর্স। বাইকটির নাম রেখেছে তারা ‘বন্ধু’।
মজার বিষয় হচ্ছে, এই বাইক চালানোর জন্য জ্বালানি ভরতে নিত্যদিন পেট্রোল পাম্পে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। কেননা, এটি ইলেকট্রিক বাইক।
‘তিন চাকা বলে এতে ব্যালেন্স রাখার চ্যালেঞ্জ নেই। এমনকি সাইকেল চালানোর বিদ্যা ছাড়াও আপনি এই বাইকটি চালাতে পারবেন। তরুণী বা মহিলাদের জন্যও এ বাইকটি হতে পারে আদর্শ বাহন।’
‘বন্ধু’ চালিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন একজন নারী। তিনি বলেন, বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৮ ভোল্টের ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি। এ বাইকটি ফুল চার্জ দিয়ে আপনি অনায়াসে মতিঝিল-উত্তরা-মতিঝিল ঘুরে আসতে পারবেন।
এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবার ক্ষমতা রয়েছে এ বাইকটির। গতিও নেহায়েত কম নয়। ‘বন্ধু’র সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার। শব্দ ও জ্বালানি বিহীন এসব বাইকে শক্তিশালী ও উন্নতমানের জেল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘বন্ধু’তে সিটের মাঝখানে জিনিসপত্র রাখার সুপরিসর জায়গাও রয়েছে। এছাড়া সিটের নিচের অংশে অনায়াসে নিজের হেলমেট থেকে শুরু করে আনুসঙ্গিক জিনিসপত্র লক করে রাখতে পারবেন। সিটের হেলান দেয়ার পেছনের অংশেও রয়েছে লক সুবিধাসহ স্টোরেজ। মোটকথা, নিজের প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র অনায়াসে এ বাইকে নিয়ে চলে যেতে পারবেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। তিন চাকার এ বাইকটিতে থ্রটলের নিচের সুইচে রয়েছে ব্যাক গিয়ার। সুইচটি চেপে বাইক থেকে না নেমে মোটরের সাহায্যে সহজে বাইকটিকে পেছনে নেয়া যাবে। পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য এটি আদর্শ বাহন। এ বাইকে পায়ের কোন কাজ নেই। দুই হাতে ব্রেক রয়েছে। ডান হাতে থ্রটল। থ্রটল যত ঘোরানো হবে, ততই গতি বাড়বে। থ্রটল ছেড়ে দিলে ধীরে ধীরে বাইকের গতি কমে আসবে।
‘বন্ধু’তে রয়েছে ডিজিটাল স্পিডো মিটার। এতে গতি, ব্যাটারির চার্জ, হাইবিম ইন্ডিকেটরসহ নানাবিধ তথ্য প্রদর্শন করে। সামনের অংশে রয়েছে আকর্ষণীয় সাইড লাইট। নিরাপত্তার জন্য বাইকটিতে কি লকের পাশাপাশি রিমোট লক ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকটির হ্যান্ডেল বারের ঠিক নিচেই রয়েছে পানির বোতল, মোবাইল ফোন, ওয়ালেট বা ছোট খাট জিনিসপত্র রাখার ঝুড়ি। বাইকের হাতলটি নমনীয় করে তৈরি করা হয়েছে। তাই সিটে বসার সময় হাতল সরিয়ে সহজেই বসা যায়। ই-বাইকটির ব্যাটারি এবং মোটরে ৬ মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা দেবে আকিজ মোটর্স। এতসব সুযোগ সুবিধাসহ দৃষ্টিনন্দন এই ই-বাইকটির মূল্য ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। ১৫ জানুয়ারি থেকে বাইকটি পাওয়া যাবে আকিজ মোটর্স এর সকল শো রুমে। চাইলে এটি কেনার জন্য আগাম ফরমায়েশ দেয়া যাবে।