বাংলাদেশীদের নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের হঠাৎ অদ্ভুত দাবি !
‘ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের নেপথ্যে চীন সমর্থনপুষ্ট পাকিস্তান’
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত দাবি করেছেন, আসামে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ‘পরিকল্পিত’। আর চীনের সমর্থনে প্রক্সি যুদ্ধের অংশ হিসেবে এখানে বিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ কাজ করে যাচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসামের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। আসাম রাজ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ এর সমর্থন বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন তিনি।
জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশীর (পাকিস্তান) কারণে পরিকল্পিত অভিবাসন চলছে।
তারা সবসময় চেষ্টা করবে এবং নিশ্চিত করতে চাইবে যে এ এলাকা যেন আয়ত্তে নেয়া যায়, তারা এমন প্রক্সি যুদ্ধ খেলতে চায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এই প্রক্সি গেমটা ভালোই খেলে। এতে সমর্থন দেয় আমাদের উত্তর সীমান্ত (চীন)। এ এলাকায় বিশৃঙ্খলা রাখাই এর লক্ষ্য। এর সমাধান হলো সমস্যাগুলো শনাক্ত করা এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো দেখা।’
বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের আরেক কারণ হিসেবে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, বন্যাসহ নানা কারণে এদেশের ভূখণ্ড কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা শুধু দেশের উন্নয়নের জন্য। এ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সমপ্রতি এক বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তার সরকার শুধু দেশের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত। বাংলাদেশের ক্রমবিকাশে সহায়তা করবে- এমন
যেকোনো দেশের সঙ্গেই সহযোগিতামূলক কাজ করতে প্রস্তুত তার সরকার। ২০শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় পরিদর্শনে আসা ভারতীয় সাংবাদিকদের এক প্রতিনিধিদলকে এসব কথা বলেন তিনি।
এ খবর দিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারাই বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় আগ্রহী, তাদের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা আমরা চাই। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই। আমাদেরকে জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। কেননা, তারাই এসব উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ভারত, চীন, জাপান এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসছে। এ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বরং ভারতকে বাংলাদেশসহ তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসমপর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেবো। যাতে করে এই অঞ্চল আরো উন্নত হতে পারে। আমরাও বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারি যে, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সমপর্ক বিদ্যমান। দেশ দুটো সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমান্তের মতো সমস্যা সমাধানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, আমরা আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করবো। যেমনটা আমরা আগে করে এসেছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালে তার শাসনামলে দু’দেশের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার দ্বিতীয় মেয়াদে সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমান্ত ইস্যুগুলোর মীমাংসা হয়।
পিটিআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সমপর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। দু’দেশের সামরিক কর্মীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চায় বেইজিং। এর আগে চীন জানিয়েছিল, বাংলাদেশকে ছয়টি রেল প্রকল্প তৈরির জন্য অল্প সুদে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এই রেল প্রকল্পগুলোর একটি ভারতীয় সীমান্তের কাছে।
এদিকে, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির আশঙ্কা করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনায় ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ভারত যেন মিয়ানমারকে তাদের বাস্তুচ্যুত লোকদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে চাপ দেয়।’
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতসহ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এমন পাঁচটি দেশের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভারতীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বর্ষাকাল এগিয়ে আসছে। এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের এরকমভাবে (অস্থায়ী শিবিরে) রাখা বাংলাদেশের জন্য ও তাদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। উল্লেখ্য, ভারতীয় সাংবাদিকরা কলকাতা ও নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী একটি বাংলাদেশ-ভারত মিডিয়া ডায়ালগে অংশগ্রহণ করতে এসেছেন।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে হাসিনা যা বলেন
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা শুধু দেশের উন্নয়নের জন্য। এ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সমপ্রতি এক বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তার সরকার শুধু দেশের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত। বাংলাদেশের ক্রমবিকাশে সহায়তা করবে- এমন
যেকোনো দেশের সঙ্গেই সহযোগিতামূলক কাজ করতে প্রস্তুত তার সরকার। ২০শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় পরিদর্শনে আসা ভারতীয় সাংবাদিকদের এক প্রতিনিধিদলকে এসব কথা বলেন তিনি।
এ খবর দিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারাই বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় আগ্রহী, তাদের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা আমরা চাই। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই। আমাদেরকে জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। কেননা, তারাই এসব উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ভারত, চীন, জাপান এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসছে। এ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বরং ভারতকে বাংলাদেশসহ তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসমপর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেবো। যাতে করে এই অঞ্চল আরো উন্নত হতে পারে। আমরাও বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারি যে, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সমপর্ক বিদ্যমান। দেশ দুটো সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমান্তের মতো সমস্যা সমাধানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, আমরা আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করবো। যেমনটা আমরা আগে করে এসেছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালে তার শাসনামলে দু’দেশের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার দ্বিতীয় মেয়াদে সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমান্ত ইস্যুগুলোর মীমাংসা হয়।
পিটিআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সমপর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। দু’দেশের সামরিক কর্মীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চায় বেইজিং। এর আগে চীন জানিয়েছিল, বাংলাদেশকে ছয়টি রেল প্রকল্প তৈরির জন্য অল্প সুদে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এই রেল প্রকল্পগুলোর একটি ভারতীয় সীমান্তের কাছে।
এদিকে, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির আশঙ্কা করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনায় ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ভারত যেন মিয়ানমারকে তাদের বাস্তুচ্যুত লোকদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে চাপ দেয়।’
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতসহ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এমন পাঁচটি দেশের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভারতীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বর্ষাকাল এগিয়ে আসছে। এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের এরকমভাবে (অস্থায়ী শিবিরে) রাখা বাংলাদেশের জন্য ও তাদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। উল্লেখ্য, ভারতীয় সাংবাদিকরা কলকাতা ও নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী একটি বাংলাদেশ-ভারত মিডিয়া ডায়ালগে অংশগ্রহণ করতে এসেছেন।
মানবজমিন
আগামী ২০ বছরের মধ্যে দুই বাংলা এক হয়ে যাবে : মন্ত্রী জ্যোতি প্রিয় মল্লিক
আমি বাংঙ্গালী এটা আমার অহংকার, কাটা তারের বেড়া আমাদের বন্ধনকে আটকাতে পারবে না, আগামী ২০ বছরের মধ্যে দু’ই বাংলা এক হয়ে যাবে এ কথা বললেন, ভারতের পশ্চিমবংঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতি প্রিয় মল্লিক।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার টানে দুই বাংলার হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বেনাপোল চেকপোস্ট নোমান্সল্যান্ড এলাকায় । ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে আজ রবিবার সকালে সীমাšেতর কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করেই কার্যত দলে দলে মানুষ যোগ দেন ২১ শের মিলন মেলায়।
“ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধায় মাথানত করতে বাংলাদেশের বাঙালিদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও। সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দুই বাংলার মানুষ, রাজনৈতিক ,সামাজিক, ব্যাবসায়ীক ও সাংস্কৃতিক দল এবং সরকারের প্রতিনিধিরাও। দু’দেশের বেনাপোল ও বনগাঁও পৌর সভা যৌথভাবে এই মিলন মেলার আয়োজন করেন।
নোমান্স ল্যান্ডে নির্র্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে সকাল ৯ টায় প্রথম ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। এবং পশ্চিম বংগের বনগাও অঞ্চলের সাংসদ শ্রী মমতা ঠাকুর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি শ্রীমতি রহিমা মন্ডল,বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাও পৌর সভার মেয়র শংকর আঢ্য ,উওর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাপতি রহিমা মন্ডল ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ব্যানার্জি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পিযুস কান্তি ভট্রাচার্য্য, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন চাকলাদার. শিল্পী জয়ন্ত চট্রপাধ্যায়, কিরন চন্দ্র রায় ও ফাতেমাতুজ্জোহরা উভয় দেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো শতস্ফ‚র্তভাবে অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে।
তারা একই মঞ্চে গাইলেন ভাষা শহীদদের স্মরনে বাংলার জয়গান। নেতারা শ্রদ্ধা জানাতে হাতে হাত রেখে ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন বাংলা ভাষাকে।মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্স ল্যান্ডে এভাবেই কাটালেন দুই বাংলার ‘বাংলা ভাষাভাষী’ মানুষ। একই আকাশ-একই বাতাস, দুই বাংলার মানুষের ভাষা এক। ”আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমাদের প্রাণ কাঁদে। তাই তো বারবার ছুটে আসি দুই দেশের বাঙালি বাংলাভাষী মানুষের পাশে।” আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যৌথ ভাবে দু দেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও দিবসটি পালন করলো দুই বাংলার মানুষ। দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় সহ নানা রং এর ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড, আর ফুল দিয়ে বর্নিল সাজে সাজানো হয় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা । ভাষার টানে বাঙালির বাধন হারা আবেগের কাছে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় দ’ুবাংলার মানুষ।
দু’দেশের সীমান্ত রেখা ভুলে নিরাপওা বেস্টনি পেরিয়ে ভাষা প্রেমীরা ছুটে এসে একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মিস্টি বিতরন করে উভয়কে বরন করে নেয়া দুই বাংলার মানুষের এ মিলনমেলায় উভয় দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহের সৃষ্টি হয়। ফুলের মালা ও জাতীয় পতাকা বিনিময় করে উভয় দেশের আবেগপ্রবণ অনেক মানুষ।
বেনাপোল – পেট্রাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের। ক্ষণিকের জন্য হলেও ¯তব্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক সীমারেখা।
ভাষা দিবসের মিলনমেলায় বিজিবি বিএসএফকে দুদেশের জাতীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শুভেচছা জানায়। এরপর দু’দেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী মানুষ দিবসটি উদযাপন করে যৌথভাবে। এ সময় ভাষার টানে বাঙালির বাঁধনহারা আবেগের কাছে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় দুই বাংলার মানুষ। এর মধ্যদিয়ে বোঝা গেল রফিক, শফিক, বরকত ও সালামের তরতাজা রক্ত বৃথা যায়নি। ভাষার আকর্ষণ ও বাঙালির নাড়ির টান যে কতটা আবেক ও প্রীতিময় হতে পারে তাও বুঝিয়ে দিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। সমগ্র অনুষ্ঠানে নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা। কড়াকড়ি আরোপ করা হয় দুই সীমান্তে।
বেনাপোল পেট্রাপোল চেকপোস্টে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে দুই সীমান্তে। সীমান্ত টপকে যাতে কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ কাঁটাতারের বেষ্টনী ও বাশের বেড়া দিয়ে কঠোর নিরাপওা ব্যাবস্থা গড়ে তোলা হয়। দুই বাংলার নামী দামি শিল্পীদের মধ্যে ভারতের শীর্ষেুন্দ মুখোপাধ্যায়, সঞ্জিব চট্রপাধ্যায় ও অনুপম রায় ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শিল্পী ফাতেমাতুজ্জোহরা, ও কিরন চন্দ্র রায় ২১ এর সংগীত পরিবেশন ও আবৃত্তি করেন।
ইনকিলাব
আ.লীগের বিকল্পরা পাকিস্তানের বন্ধু: ভারতকে কাদের
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা আওয়ামী লীগের বিকল্প বলে বিবেচিত হতে পারে তারা পাকিস্তানের বন্ধু বলে ভারত সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বিকালে ঢাকার হোটেল রেডিসনে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া মিডিয়া ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভারতীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আমি ভারতীয় সাংবাদিক বন্ধুদের বলতে চাই, এ কথাটা আপনাদের মনে রাখতে হবে… বাংলাদেশে আমাদের বিকল্প যারা তারা পাকিস্তানের বন্ধু।’
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বিষয়টি উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘যারা আপনাদের সেভেন সিস্টার্সের যাবতীয় গ্যাঞ্জামের হোতা, যারা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে কাজ করে। একই চক্রান্তের জালে তারা আবদ্ধ।’
এ সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সহযোগিতা চান কাদের। বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন এগারো লাখ অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ কীভাবে ভার সইবে? একাত্তরের ক্রাইসিসে আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, এবারও আপনারা পাশে দাঁড়ান।
ভারত থেকে আসা গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও দেশটির সরকারের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি মিয়ানমারের সঙ্গে আপনাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা আমাদের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। আপনাদের সম্পর্ক অব্যাহত রেখে মিয়ানমারকে চাপ দিন।’
‘আপনাদের সাথে মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা দেখে না কেউ।’
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি এগিয়ে নেয়ারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ঢাকায় এলেন, তখন তিনি আমাদের বলেছিলেন, তিনি এবং শেখ হাসিনা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেই তিস্তা চুক্তি হবে। এ রকম আশ্বাসে আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম, এখনো আশায় আছি।’
‘সামনে নির্বাচন, মাত্র সাত-আট মাস আছে নির্বাচনের, আমাদের জনগণের কাছে জবাব দিতে হয়।’
‘আমাদের বাঁচতে দিন। উত্তর জনপদ মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। তিস্তার দুই পারে হাহাকার, এই হাহাকার বড়ই কষ্টদায়ক।’
পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকদেরকেও এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান কাদের। বলেন, ‘আপনারা পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জিকে বলুন, তিনি যেন দিল্লি সরকারকে তিস্তা ইস্যুর সমাধানে সহযোগিতা করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ভারতীয় হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার আদ্রেশ সৈকত প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস