উল্ফের দাবি, হোয়াইট হাউসের ভেতর ও বাইরের দু’শরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সেখানেই তিনি এ বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। কেন, ট্রাম্প নিজের মেয়েকে আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বইটিতে বলা হয়েছে, ইভাঙ্কা ও তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনার ‘সাদা বাড়ি’র অন্যতম শক্তি-অক্ষ। ক্ষমতার চুড়োয় থাকা এ দম্পতির সঙ্গে টানাপড়েন শুরু হয় প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রণাদাতা স্টিভ ব্যাননের। স্বামী-স্ত্রী জুটিকে ‘জ্যাভাঙ্কা’ নাম দিয়েছিলেন ব্যানন। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর গত ডিসেম্বরেই জ্যাভাঙ্কা নিয়ে বোমা ফাটিয়েছিলেন ব্যানন। বলেছিলেন, ট্রাম্প আমলের ‘যত ফালতু সিদ্ধান্তের’ জন্য দায়ী এই ‘বেকুব’ স্বামী-স্ত্রী। বুধবারই এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যানন সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘ওর চাকরি গিয়েছে। সঙ্গে মাথাটাও গিয়েছে!’’ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বানাতে যে খুবই আগ্রহী ইভাঙ্কা, সে বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল তাঁর মা ইভানা ট্রাম্পের আত্মজীবনীতে। ‘রেজিং ট্রাম্প’ নামে সেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন স্ত্রী লিখেছিলেন, ‘‘আমার মেয়ের মধ্যে প্রবল রাজনৈতিক চেতনা রয়েছে। সোনার ভবিষ্যৎ অপেক্ষায় রয়েছে ওর।’’

হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব সারা স্যান্ডার্স বুধবার দাবি করেছেন, ‘‘উল্ফ-এর বইটি মিথ্যে দিয়ে ঠাসা। কোন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে লেখা।’’ লেখক যাঁদের উদ্ধৃত করে নানা তথ্য দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনের কস্মিনকালেও কোন যোগাযোগ ছিল না বলেও জাবি করেছেন সারা।

[গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অবলম্বনে।]