প্রেম এবং বিয়েও। কিন্তু চাকরি ’নট’ শিক্ষক দম্পতির।।
১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ঃ
বিয়ের এক মাস আগেই ছুটির জন্য দরখাস্ত করেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। একই স্কুলের দু’টি পৃথক বিভাগে কর্মরত ছিলেন তাঁরা।
আবেদন মঞ্জুরও করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঠিক বিয়ের দিন জানা যায়, চাকরি হারিয়েছেন উভয়েই। দু’জনকেই বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
চমকের বাকি ছিল তখনও। নবদম্পতিকে জানান হয়, তাঁরা ‘প্রেম’ করে বিয়ে করেছেন। স্কুলের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকার ‘রোম্যান্টিক সম্পর্ক’ পড়ুয়াদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
ঘটনাটি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের। প্যামপর মুসলিম এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট নামে ওই স্কুলটিতে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য দু’টি পৃথক বিভাগ রয়েছে। সেখানেই বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন তারিক ভাট এবং সুমায়া বাসির নামে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা।গত ৩০ নভেম্বর তাঁদের বিয়ের দিন ঠিক হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এক মাস আগেই ছুটির আবেদন করেন তাঁরা। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়। কিন্তু তার পরই বেঁকে বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে হতবাক গোটা দেশ। খোদ স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন তুঘলকি ফরমান দেখে বিস্মিত ওই শিক্ষক দম্পতিও। শিক্ষক তারিক বলেছেন, ‘‘প্রেম নয়, বরং দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছে আমাদের। বিষয়টি গোটা স্কুলই জানে। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর সুমায়া স্কুলের কর্মীদের জন্য পার্টিও দিয়েছিল।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন তারিক। উল্টে পড়ুয়াদের সামনে বিনা দোষে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে তাঁদের।
গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি স্কুলের প্রিন্সিপাল। যাবতীয় অভিযোগের তির উড়ে আসছে স্কুলের চেয়ারম্যান বাসির মাসুদির তরফ থেকে। তাঁর কথায়, ‘‘বিয়ের আগেই রোম্যান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’’এরই পাশাপাশি তাঁর দাবি, এই স্কুলে দু’হাজার পড়ুয়া এবং দু’শো জন কর্মী রয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকার এমন আচরণ তাঁদের জন্য ঠিক নয়।’’
স্কুলের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন নিজেদের সিদ্ধান্ত অটল ওই দম্পতি। তাঁরা বলছেন, ‘‘আমরা বিয়ে করেছি। এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত। কোনও অপরাধ বা পাপ করি নি।’
সূত্রঃ ভারতীয় সংবাদ সংস্থা।