পৃথিবীর সব থেকে কাছে যখন চাঁদ! বিরল দৃশ্যগুলো বরাবরই উপভোগের!
।। নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক সম্পাদিত।। ৮ ডিসেম্বর ২০১৭।।
পৃথিবীর কাছে চলে আসায় চাঁদকে অপেক্ষাকৃত বড় ও উজ্জল দেখা গিয়েছেল গত ৩ নভেম্বর। সেদিন আকাশে তাকিয়ে তথাকথিত “সুপারমুন” দেখলেন নক্ষত্রপ্রেমীরা। অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ৭% বড় ও ১৫% উজ্জল দেখা গেলেও খালি চোখে এ পার্থক্য খূব একটা বোঝা যায় নি। ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে খালি চোখে দেখা গিয়েছিল এ বিরল দৃশ্য।
দেশের সব জায়গা থেকে দেখা গিয়েছিল সেদিন সুপার মুন। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে আকাশে দেখা গিয়েছিল পূর্ণচন্দ্র। রয়্যাল অ্যাস্ট্রনমিকাল সোসাইটির রবার্ট ম্যাসে বলেছেন, মধ্যরাতে চাঁদ সবচেয়ে উজ্জল দেখা গিয়েছিল, যখন দিগন্ত থেকে সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন। কিন্তু তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে আছে। [সূরা আল আম্বিয়াঃ ১]
অন্যত্র আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, কিয়ামত নিকটবর্তী। [সূরা আন-নাজমঃ ৫৭]
রাসূল (সাঃ) কিয়ামত অত্যাসন্ন হওয়া সম্পর্কে বলেনঃ “আমার প্রেরিত হওয়া ও কিয়ামত এই দু আঙ্গুলের ন্যায়, এ বলে তিনি তাঁর দু’আঙ্গুল তর্জনী ও মধ্যমা এক সাথে মিলান।” বুখারী।
চাঁদ পৃথিবীর নিকটবর্তী চলে আসায় যে সুপার মুন মানবকুল কর্তৃক দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, সেটি কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত বলেই মনে করছেন অনেক ইসলামিক স্কলার।
১৯৪৮ এর পর গত বছর চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল। ২০৩৪ এর ২৫ নভেম্বরের আগে চাঁদ আর পৃথিবীর এত কাছে আসবে না। গত ৩ নভেম্বর, রবিবার, নাসা আগামী দু’মাসের “সুপার মুন ট্রিলজি”র প্রথম পর্ব হিসেবে আখ্যায়িত করছে, যার পরের দু’টি দেখা যাবে জানুয়ারি ১ ও জানুয়ারি ৩১ তারিখ। ডিসেম্বরের পূর্ণিমাকে সাধারণত শীতল চাঁদ (কোল্ড মুন) বলা হয়।গত ৩ নভেম্বর, রবিবার, দুপুরে চাঁদ যখন সূর্যের বিপরীতে ছিল, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ মাইল, যা গড় দূরত্ব ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ মাইলের চেয়ে কম। ম্যাসে বলেছেন, “সবচেয়ে নান্দনিক দৃশ্য” দেখা গিয়েছিল রবিবার চাঁদ ওঠার সময় আর সোমবার ভোরে চাঁদ ডুবে যাওয়ার সময়। এটি এক ধরনের দৃষ্টিবিভ্রম, যা চন্দ্র বিভ্রম নামে পরিচিত। দিগন্তরেখার কাছাকাছি অবস্থানে এ সময় চাঁদকে অস্বাভাবিক বড় দেখায়।
চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে বৃত্তাকারে ঘোরে না। এটি অনেকটা উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব সব সময় সমান হয় না, কক্ষপথের বিভিন্ন স্থানে দূরত্বের তারতম্য হয়। কিন্তু সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর পরিভ্রমণের কারণে এ অসম কক্ষপথের মধ্যেও পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর অর্থ পৃথিবী থেকে চাঁদের কক্ষপথের নিকটতম অবস্থান আর পূর্ণ চন্দ্রের অবস্থান সবসময় এক হয় না। কক্ষপথের এ নিকটতম অবস্থান পূর্ণ চন্দ্রের অবস্থানের সাথে মিলে গেলে সে উপলক্ষকে সুপারমুন বলা হয়।
[কোলকাতা২৪ অবলম্বনে।।]