নির্বাচনী ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন
বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত একটি দিন ৫ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের এই দিনে দেশে নির্বাচনের নামে সংঘটিত হয় এক নির্লজ্জ প্রহসন। ভোটহীন, প্রার্থীহীন ও আসন ভাগাভাগির ভুয়া নির্বাচনের এই দিনটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি খারাপ নজির হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। দিনটিকে কেউ অভিহিত করেছেন ‘গণতন্ত্রের ট্র্যাজেডি’, কেউ বলেছেন ‘বিনা ভোটের নির্বাচন’ আবার কেউ বলেছেন, শতাব্দীর ঘৃণ্যতম ‘নির্বাচনী প্রহসন’। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের ভাষায়- ‘বাংলাদেশে এ যাবৎ যে ক’টি খারাপ নির্বাচন হয়েছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি ছিল সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটি নির্বাচন’ (বাংলা ভিশন টকশো ২০১৪)।
জনগণের ভোটের অধিকারকে ৫ জানুয়ারি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়। নির্লজ্জ প্রহসনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে ভোট ছাড়াই প্রথমে ১৫৩টি এবং পরে একটিসহ মোট ১৫৪টি অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বর্তমান ক্ষমতাসীনেরা ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়ে যান। ৫ জানুয়ারির ভোটের দিন বাকি ১৪৬টি আসনে গড়ে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। সে দিন নির্বাচনকেন্দ্রগুলোতে কুকুর-বিড়াল ঘুমিয়ে থাকার দৃশ্য দৈনিক পত্রিকার লিড ছবি হিসেবে ছাপা হয়। প্রচণ্ড সহিংসতাপূর্ণ এই নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট দেয়ার আগের দিন পর্যন্ত ৪১ দিনে নিহত হয় ১২৩ জন। আর ভোটের দিন সহিংসতায় মারা যায় ১৯ জন। ওই নির্বাচন কেন্দ্র করে ১৪২ জন অর্থাৎ এতসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি এর আগে দেখা যায়নি। নির্বাচনের দিন ১১১টি ভোটকেন্দ্র জনগণ পুড়িয়ে দেয়। ৫৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।
বাংলাদেশে এর আগে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ এরশাদের ভোটডাকাতির নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটি হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাসের উদ্দেশ্যে। তবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী কলঙ্ক আগের সব কলঙ্ককে ম্লান করে দিয়েছে। টেলিভিশন টকশোতে দেয়া বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকের ভাষায়- ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি চিহ্নিত হয়ে আছে বাংলাদেশের তিনটি খারাপ নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ একটি নির্বাচন’ হিসেবে।
সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দেশী-বিদেশী সব আহ্বান-উদ্যোগ উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা এই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। এটি ছিল আওয়ামী লীগের একগুঁয়েমির নির্বাচন। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তার মহাজোটের শরিক কয়েকটি দল ছাড়া অন্য কোনো দল অংশ নেয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট, অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, প্রাচীন দল সিপিবি এবং আ স ম রবের জাসদসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই এ নির্বাচন বর্জন করেছিল।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি ছিল এমনই এক অদ্ভুত নির্বাচন, যে নির্বাচন ৩০০ আসনের মধ্যে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান অর্ধেকের বেশি প্রার্থী। দেশের ৫২ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোট দেয়ার সুযোগটুকুও পাননি। অন্য দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় ক্ষমতাসীন দল। বাকি ১৪৬ আসনে ৫ জানুয়ারি হয়েছে আসন ভাগাভাগির নির্বাচনী প্রহসন। এ নির্বাচনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। যাদের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল, তাদেরও সুযোগ ছিল না আওয়ামী লীগ বা তার অনুগতদের ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীকে পছন্দ করা।
এই নির্বাচনে ভোট দেননি রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সিইসি কাজী রকীব উদ্দিন। কারণ তাদের এলাকায় ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তেমনি ভোট দেননি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির নেতা এইচ এম এরশাদ। এটা ছিল এমন একটা নির্বাচন, যে নির্বাচনের জন্য বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে তার বাড়ির সামনে বালুভর্তি ট্রাক ও জলকামান রেখে ব্যারিকেড দিয়ে গৃহবন্দী করা হয়। তেমনি এইচ এম এরশাদকে র্যাবের পাহারায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আটকে রাখা হয়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন সারা দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার লাখ সদস্যের উপস্থিতিতে ১১ জেলায় নিহত হয়েছে ১৯ জন। এর মধ্যে ১৫ জনই পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। ভোটের দিন এতসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি এর আগে দেখা যায়নি। নির্বাচনের পরদিন নিহত হয়েছে আরো তিনজন। রেকর্ডসংখ্যক সহিংসতা, সীমাহীন হাঙ্গামা ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ৬৯৭ কেন্দ্রে। ৫৩৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতসহ আটটি আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। আবার সিল মেরে বাক্স ভর্তি করার কারণে এক মিনিটে ১৮টি ভোট পড়ার রেকর্ডও হয়েছে। ফাঁকা কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারেরা ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেছেন। তেমনি বাধাহীনভাবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা সবার সামনেই সিল মেরে বাক্স ভরেছে।
গণমাধ্যমে ‘বাপের বেটা’ হিসেবে আখ্যায়িত হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে, একাই ৪২২টি ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ফেলার জন্য। ভারত ও ভুটানের অখ্যাত চারজন পর্যবেক্ষক ছাড়া বিশ্বের সব দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে বিরত থেকেছে। দেশের বেশির ভাগ পর্যবেক্ষকও এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেননি। এত কম ভোটার এর আগে কোনো নির্বাচনে দেখা যায়নি। গুটিকয়েক আওয়ামী সমর্থক দেশীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে, তারাও নগণ্য ভোট পড়ার কথাই বলেছে। নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অন্যান্য গণমাধ্যম যে খবর দেয় তাতে বলা হয়, ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে না। অধ্যাপক বি. চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম রব যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, এ নির্বাচনে ২ থেকে ২.৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। তবে রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের মার্কায় লাখ লাখ ভোট দেখানো হয়।
নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৪০.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা যে ইসির সাজানো ঘটনা তার প্রমাণ নির্বাচন কমিশনের সূত্রে ভোটের আগের দিন পত্রপত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে বলা হয়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট দেখাতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেটিই বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছে। আসন ভাগাভাগির এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আটটি স্থগিত হওয়া ছাড়া বাকি ২৯২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভাগে ২৩২টি ও জাতীয় পার্টির ভাগে ৩৩টি দেখানো হয়।
তৎকালীন সিইসি কাজী রকীব উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে আজ্ঞাবাহী কমিশন হিসেবে বিরোধী দল থেকে বলা হয়েছিল। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যেভাবে তারা সম্পন্ন করেছে, তাতে বিরোধী দলের অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হয়। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ইসি ব্যর্থই শুধু হয়নি, এমনই এক নির্বাচন তারা করেছে যা হাস্যকরও। সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের ভাষায়- নির্বাচনের পরদিন এটাই বলার আছে যে, ‘অপারেশন সাকসেসফুল, বাট পেশেন্ট ইজ ডেড’। শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও একতরফা নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
বিবিসি বলেছে, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি একতরফা যে বিতর্কিত নির্বাচনটি হয়েছে তাতে খুবই নগণ্যসংখ্যক ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন। ১৫৩টি আসনে ভোট হয়নি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিযোগিতার অভাবে একটি অদ্ভুত নির্বাচন হলো। বিশেষ করে বাংলাদেশে গতিশীল গণতন্ত্রের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেই বিবেচনায় ৩০০ আসনের সংসদে সরকারি দলের প্রার্থীরা অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা ভোটে জয়ী হয়ে বসেছিলেন। এসব আসনে ভোট হয়নি। এর ফলে চার কোটি ৮০ লাখ ভোটারকে ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়।
টাইম সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশী ভোটারদের সাড়া মেলেনি, সহিংসতা ও অসম্ভব কম উপস্থিতি জাতির রাজনৈতিক সঙ্কটের গভীরতাকে তুলে ধরেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শতাধিক ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে। এই নির্বাচন বিরোধী দলগুলো বর্জন করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে ‘সবচেয়ে ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছে।
বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বর্জন করায় ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচনটি করা হচ্ছে। কিছু দিন পর আরেকটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা হবে। অর্থাৎ শেখ হাসিনার দৃষ্টিতেও নির্বাচনটি ছিল অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু একতরফা নির্বাচন সম্পন্ন করার পর শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যান।
দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশির ভাগ দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে এবং অর্ধেকের বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা দিয়ে ওই ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমেই বর্তমান বিচিত্র সংসদটিও গঠন করা হয়। যদিও সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত ৩০০ সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের ৫০ জন মাহিলা সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে।’ অর্ধেকের বেশি আসনে যেখানে প্রত্যক্ষ নির্বাচনই হয়নি, সেখানে সংসদই গঠিত হয়নি। অথচ যে বিচিত্র সংসদ গঠন করা হয় সেখানে বিরোধী দলের সদস্যরা একসাথে বিরোধী দলেও আছে আবার সরকারের মন্ত্রিসভায়ও আছে।
৫ জানুয়ারির বিনা ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে এভাবেই ক্ষমতাসীনেরা রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জা করে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালায়। এ শাসনের মূলমন্ত্র হচ্ছে বল প্রয়োগ। এ অবস্থায় দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, জনপ্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ নেই, সত্যিকারের বৈধ সরকার নেই। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। নেই সুশাসন, সুবিচার ও ন্যায়বিচার। এমন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় কোনো দেশ বেশি দিন চলতে পারে না। এই সঙ্কট থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। সে ধরনের একটি নির্বাচনের জন্য সংলাপ প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা সংলাপ অস্বীকার করে শুধু বল প্রয়োগের পথ খোলা রেখেছে।
গণতান্ত্রিক-ব্যবস্থায় দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার গঠন এবং বদলের একমাত্র শান্তিপূর্ণ পন্থাই হচ্ছে নির্বাচন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ প্রথম আলোতে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আমাদের রেকর্ড ভালো নয়। নির্বাচনীপ্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার খুব জরুরি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বর্তমান বাস্তবতায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য সুন্দর নির্বাচনই দেশকে সঙ্কটমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে। একটি সুন্দর নির্বাচনই হোক নতুন বছরের প্রত্যাশা।
- লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক