নার্ভাস হয়ে আবোল-তাবোল বকছে আ.লীগ : মঈন খান
‘আলেমদের সম্মান করি, জামায়াত-শিবিরকে না’
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, আমরা আলেমদের সম্মান করি কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নয়। জামায়াত-শিবির মানুষকে মিথ্যা কথা বলে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। এ জন্য তাদের প্রতি মানুষের কোনো সমর্থন নেই।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা চত্বরে ইমাম ও মুয়াজ্জিন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মসজিদ ও মাদরাসার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।রেলমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে চৌদ্দগ্রামে আরও কয়েকটি মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম সামছুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, জেলা পরিষদের সদস্য ভিপি ফারুক, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি ড. আবদুল মান্নান ভুঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আ.লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবুল খায়ের, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন
‘আ.লীগ ফের ক্ষমতায় আসলে গ্যাস যাবে প্রত্যেক ঘরে’
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাস দেওয়া হবে ।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার তুলাতুলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, কুমিল্লা জর্জ কোটের পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ ভূঁইয়া, পৌর মেয়র আব্দুল মালেক,অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি নাসরিন আক্তার মুন্নি, চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি আবু তাহের, রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
নার্ভাস হয়ে আবোল-তাবোল বকছে আ.লীগ : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু বিএনপির জন্য নয়, এদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য নয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আওয়ামী লীগের। কিন্তু তারা আজকে নার্ভাস হয়ে গেছে। তাই তারা আবোল-তাবোল বকছে।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে যুব জাগপার কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, এই সরকার যদি তাদের ভেতরের আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অধিষ্ঠ থাকতে চায় আর এদেশের মানুষের সত্যিকার কল্যাণ চায় তাহলে তার একমাত্র উপায় হলো একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করে জনগণ যাকে চায় সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো।
তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। এ সমস্যা দূর করতে হলে আজকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্ত করে তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তার মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হবে। এছাড়া এদেশে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের এত ভয় কীসের? প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তারা উন্নয়নের জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যদি তাদের ভোট দেয় তাহলে তারা পাবেই। ভোটের মাধ্যমেই তারা পুনরায় সরকার গঠন করবে। তাহলে এত ভয় পাচ্ছে কেন তারা? এখানে কঠিন সত্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ নিজেও জেনে গেছে এদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই তারা আজকে ভীত, সন্ত্রস্ত, আতঙ্কিত।
তিনি বলেন, তারা ক্ষমতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে। রাজনীতি কোনোদিন ক্ষমতাকে পুঁজি করে হয় না। রাজনীতি করতে হলে আদর্শ নিয়ে করতে হয়। সে কারণেই খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন এবং তার সেই সৎ সাহস আছে বলেই তিনি সেদিন কারাগারে বলেছিলেন- ‘এই মিথ্যা বিচারের আদালতে আমি আর আসবো না’। তার সেই সততা আছে বলেই তিনি বলতে পেরেছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে যত খুশি শাস্তি দেয়া হোক। সেই শাস্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে কোনোদিন পেছনে হটানো যাবে না। খালেদা জিয়া কোনোদিন পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাই।
সম্মেলনের আহ্বায়ক আরিফুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুব জাগপার সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
আর কখনো বিএনপির মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না: কাদের
বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপি গত ১০ বছরে কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। আগামীতেও বিএনপির মরা গাংঙ্গে আর জোয়ার আসবে না। আগামীতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এ জন্য আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীকে ভেদাভেদা ভুলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। ছবি ও বিল বোর্ড লাগিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। যারা জনগণের পাশে থেকে দেশের উন্নয়নের কাজ করছে তারাই মনোনয়ন পাবে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি শনিবার বিকেল ৪ টায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহা র রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড: শেখ কুদরত-ই-ইলাহী কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ড: হাসান মাহমুদ এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, অসীম কুমার উকিল, আহমেদ হোসেন, ব্যারিষ্টার বিল্পব বড়–য়া, আনোয়ার হোসেন, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রিপু, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজু প্রমুখ।
‘খালেদা জিয়া যদি চিকিৎসা না নেন তার জন্য আমাদের কি করার আছে?’
শনিবার বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বঙ্গবন্ধু ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে মূলত তারা কিছুই জানেন না। কোনো কিছু না জেনে না বুঝে অযথাই জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তার সুচিকিৎসার জন্য দেশের প্রধান চিকিৎসালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি যদি ইচ্ছে করে চিকিৎসা না নেন তার জন্য আমাদের কি করার আছে? এমনকি তার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করেই কারাগারে আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে।
দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আগামীতে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে বাংলাদেশ। আপনারা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে
পরে মন্ত্রী কলেজ মাঠে চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আইউব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় এমপি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম. হুমায়ুন মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনতাকিম আশরাফ টিটু, আওয়ামী লীগ নেতা রৌশন আলী মাস্টার, চান্দিনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
যাদের সাপোর্টার নাই তাদের সাথে ঐক্য করে লাভ নাই : বিএনপি’কে অলি
এসময় এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর ধরে আমরা সব ধরনের লোভ লালসাকে উপেক্ষা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলে আছি। কিন্তু এখানে দেখছি হঠাৎ করে কেউ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী, কেউ রাষ্ট্রপতি দাবি করে বসে আছেন। এমন নাটক চললেও বিএনপির পক্ষ থেকে জোরাল কোনো বক্তব্য পাচ্ছি না। কেউ একশ আসন, কেউ আবার দেড়শ আসন দাবি করছেন। কিন্তু এলডিপির মত দলের এখানে কোনো কথা থাকবে না, এটা হতে পারে না।’
এলডিপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল গনি বলেন, ‘বিএনপিকে বড় দল হিসেবে সমীহ করে যাব; আর তারা যখন খুশি তখন লাথি মেরে বের করে দেবে তা মেনে নেয়া হবে না।’
দলটির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ বলেন, ‘পত্র পত্রিকাতে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে আমাদের নিয়ে। আমরা জোটে আছি। বর্তমানে ৮০ভাগ লোক সরকারের বিপক্ষে। আর যেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় হামলা, মামলার শিকার হয়েছে সেখানে সরকারের সঙ্গে আমাদের যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’
‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আমাদের নানা ধরনের প্রলোভন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে জোটে আছি। জোটে আমাদের অবস্থান আরো কীভাবে সুদৃঢ় করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। সরকার গঠন করলে আমাদের দলের প্রধানের অবস্থান কী হবে সেটা বিএনপিকে পরিষ্কার করতে হবে।’
যে কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত : হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘সুসময়ে কিংবা দুঃসময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট দেশ হিসেবে উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নও হয়েছে।’
শনিবার বিকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতের বাহিনী একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। সেই সম্পর্ক এখন আরও শক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াসে এই সম্পর্ক অনবদ্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত এখন বাংলাদেশে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাবনা, পটুয়াখালী, জামালপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও যশোরে ৫০০ বেডের হাসপাতাল এবং যৌথভাবে বন্দর, সড়ক, রেলপথ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে ভারত। আমরা রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্কুল ও পাঠাগার নির্মাণ করছি। বরিশালে আমরা কাজ করতে পারলে আমাদের ভালো লাগবে।’
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফরে এসে বলেছিলেন, পেহলে তো হাম পাস পাস থে, আব হাম সাথ সাথ হে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নয়নমূলক দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
হাইকমিশনার জানান, মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি ও চেক প্রদানের যে প্রকল্প সেটা প্রথম ২০০৬ সালে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার ৬২১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে এবং ২১ কোটি টাকার একটি তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তিনটি উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এগুলো হলো, নতুন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে নতুন মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে স্নাতক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং এই উদ্দেশ্যে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। পুরাতন এবং নতুন প্রকল্পগুলো একত্রিত হলে ভারত সরকারের দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্পের জন্য মোট ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
হর্ষবর্ধন আরও বলেন, এছাড়া খুলনা থেকে কলকাতা রেলপথে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর অনেকে বরিশাল এক্সপ্রেস চালু করার কথা বলেছিলেন। সেই বিষয়টিও আমাদের চিন্তায় রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনে নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৯নং সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহফুজ আলম বেগ, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, পঙ্কজ দেবনাথ, শের ই বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হক রাজু, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোশাররফ হোসেন, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আজাদ মিয়া, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
‘১৯৭১ এর যুদ্ধে আমরা শিক্ষা পেয়েছি’
যে যার স্বার্থ বুঝে নিক। ভবিষ্যতে তার দেশ অন্য কারও হয়ে কোনও যুদ্ধে নিজেকে জড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সেনা-শহিদ দিবস অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান তাদের সঙ্গ দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগের আঙুল তুলছে আমেরিকা। সে অভিযোগ বারেবারে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে নরম হয়নি মার্কিন প্রশাসন বরং সম্প্রতি পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার সাহায্য বাতিল করার কথা জানিয়েছে তারা। বিষয়টি নিয়ে পাক-মার্কিন চাপান-উতোর বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে ইমরানের বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশানা করেই বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ। ইমরানের কথায়, ‘আমি প্রথম থেকেই যুদ্ধবিরোধী। বিদেশি রাষ্ট্রের হয়ে কোনও ভাবেই যুদ্ধে যেতে চাইব না।’
পাকিস্তানের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনে নয়া বিদেশ নীতি গ্রহণেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে এ দিনই পাকিস্তানে এসেছেন তিন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।
ইমরানের দাবি, সন্ত্রাস দমনে পাক সেনাবাহিনীর মতো আত্মত্যাগ আর কেউ করেনি। তার কথায়, সেনার এই আত্মত্যাগ বিফলে যাওয়ার নয়। পাকিস্তানকে আজ সত্যিই সব দিক থেকে বিপন্মুক্ত করে রেখেছে আমাদের বাহিনী। দেশে এটাই একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে রাজনীতির হস্তক্ষেপ নেই।
অথচ পাক কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক মহলের সিংহ ভাগেরই অভিযোগ, ইমরানের মসনদ দখলের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই সেনাবাহিনী।
শহিদ দিবসে ইমরানের এই ‘সেনাভক্তি’ তাই স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন অনেকে। আমেরিকার বিরুদ্ধে সুর চড়ানোটাও। তবে কাজের কাজ কিছু হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। এমনিতেই এখন পাকিস্তানের মাথায় বিস্তর ঋণের বোঝা। তার উপর দফায় দফায় আমেরিকা সাহায্য বন্ধ করলে সেই ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে বলেই মনে করছেন পাক কূটনীতিকদের একাংশ।
এদিন ইমরানের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। তিনি বলেন, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ এর যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়েছে পাকিস্তান। বিপদ বুঝেই তাই পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে নিজেদের পোক্ত করতে হয়েছে। এবার দেশ থেকে দারিদ্র মুছে ফেলার লড়াই শুরু হোক। দুর্নীতিমুক্ত হোক দেশ। ইমরানের কাছে এখন এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ