নারীর চোখে আদর্শ পুরুষ ও প্রেমিক!
সঙ্গী এবং এর ধারণা যখন থেকে বোঝার বয়স হয়, তখন থেকে প্রত্যেকটি মেয়েই নিজের মনে সঙ্গীর একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি করে থাকেন। এবং যখন থেকে মনের মানুষটির সন্ধান করার মেয়েরা সুযোগ পান , তখন থেকেই মনে এঁকে রাখা ছবির মত কাউকে খোঁজার কাজে মগ্ন থাকেন। খুঁজতে থাকেন, নিজের মনের মত গুণ সম্পন্ন ভালবাসার মানুষটি।
একেক জনের চিন্তাধারা একেক রকম হলেও নিজের সঙ্গীর মধ্যে কিছু গুণ সকল মেয়েই খুঁজে থাকেন। এমন অনেক ছোট ছোট ব্যাপার রয়েছে, যা একজন পুরুষের মধ্যে থাকলে যে কোন মেয়েকে মুগ্ধ করে তোলে। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আজকের এ ফিচার। মেয়েদের দৃষ্টিতে একজন পুরুষের মাঝে কমপক্ষে এ গুণগুলো থাকলে তাকে একজন আদর্শ পুরুষ ও সঙ্গী হিসেবে বিবেচনা করেন তাঁরা।
সুপার হিরোঃ একটি মেয়ে সব সময় চান তার সঙ্গী তাকে যে কোন ধরনের খারাপ কিছু থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখুক। মুখে না বললেও প্রতিটি মেয়েই আশা করেন, তার সঙ্গীর কাছে সকল সমস্যার সমাধান থাকবে, যেমনটা থাকে কোন সুপার হিরোর। ছোটখাট কিছু কাজে সাহায্য বা কিছু কিছু সমস্যার সমাধান তো নারীরা পুরুষের কাছে খোঁজেনই, সেই সাথে মানসিক স্বস্তিও সকল মেয়ে তার সঙ্গীর কাছেই খুঁজে থাকেন। ছোট ছোট সকল কিছু মিলিয়েই একজন মেয়ের কাছে তার সঙ্গী সুপার হিরোর মত হোক, সেটাই তাঁর প্রত্যাশা।
সততাঃ মেয়েরা চান তার ভালবাসার মানুষটি তার কাছে সব সময় সত্য কথাটি বলুক। সেটা যদি কোন দোষও হয়ে থাকে, তারপরও মেয়েরা চান তার সঙ্গী অন্ততঃ তার কাছে সকল দিক থেকে একজন সত্যবাদী মানুষ হোক। সঙ্গীর প্রতিটি সত্য মেয়েরা জানতে চান, এমনকি নিজে মিথ্যা বললেও! তাই নিজের সঙ্গিনীর কাছে সত্য লুকোনোর চাইতে সত্য প্রকাশ করে দেখতে পারেন ছেলেরা। এতে একজন ভাল বন্ধুও পেয়ে যাবেন।
নারীর চোখে সারপ্রাইজঃ বড় ধরনের কিছু নয় যদিও, কিন্তু সকল মেয়েই চান তার সঙ্গী তার জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করুক। ছোটোখাট কিছু গিফট বা হুট করে একটা ভালবাসাপূর্ণ এসএমএস। কারণ মেয়েরা সব সময় সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে ভালবাসার মানুষটির কাছ থেকে। তাই বড় বা দামী কিছু নয়, একটি ফুল অথবা চকলেট কিংবা একটি ভালবাসাপূর্ণ এসএমএস করে সঙ্গিনীকে সারপ্রাইজ দিয়েই দেখুন না।
পরিপাটি পোশাক আশাকঃ বিদঘুটে ধরনের অদ্ভুত পোশাক-আশাক মেয়েদের কাছে সব চাইতে বেশি অপছন্দের। একটু স্টাইলিশ ধরনের ছেলেদের প্রতি মেয়েরা একটু বেশিই দুর্বল থাকেন। তাই খুব বেশি কিছু না হোক, নিজের সঙ্গিনীর জন্য হলেও একটু স্টাইলিশ পোশাক-আশাক পরে নিজেকে পরিপাটি রাখুন নিজেদের। কারণ আপনার সঙ্গিনী এটাই চান।
রান্নাবান্নার একটু শখঃ আপনি অনেক টাকা খরচ করে আপনার সঙ্গিনীকে নিয়ে গেলেন বড় কোন রেস্টুরেন্টে এবং অর্ডার করলেন দামী কোন খাবার। হ্যাঁ, আপনার সঙ্গিনী হয়ত খুশি হবেন। কিন্তু তিনি আরও বেশি খুশি হতেন, যদি আপনি তাকে নিজের হাতে তৈরি কিছু খওয়াতে পারেন। না আপনাকে পুরোদস্তুর শেফের মত কিছু রাঁধতে বলা হচ্ছে না। আপনি যদি ম্যাগী ২ মিনিট ইনস্ট্যান্ট নুডলস তৈরি করে আপনার সঙ্গিনীকে খওয়াতে পারেন, তবে তিনি অনেক বেশি খুশি হতেন। কারণ মেয়েরা এটাই চান। মাসে হয়ত ১ টি দিন করেই দেখুন না আপনার সঙ্গিনী কতটা ভালবাসেন আপনাকে।
নারীর চোখে সুঘ্রাণঃ আজকাল টিভি কমার্শিয়ালে যেভাবে দেখায় পারফিউমের মাধ্যমে মেয়েদের মন পাওয়া যায় জিনিসটি পুরোপুরি না হলেও আংশিক সত্য। যে কোন মেয়েই এ জিনিসটি ভালবাসার মানুষটির কাছে চান। সুতরাং ছেলেরা কোন একটি ভাল ব্র্যান্ডের সুন্দর কোন সুঘ্রাণের ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম ব্যবহার করেই দেখুন না।
অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতাঃ মেয়েরা অতি অবশ্যই চান তাঁর পুরুষটি অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন। সেইসাথে নিজের ও প্রেমিকার খরচ নিজে বহন করবেন। অর্থনৈতিক ব্যাপার মেয়েদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।