ঢাকা-দিল্লী সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন সোনালী অধ্যায় চলছেঃ শ্রিংলা
18 Jul, 2018
বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন সোনালী অধ্যায় চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
তিনি আজ বুধবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের কনভেনশন হলে পঞ্চম ভারতীয় শিক্ষা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
সেপ ইভেন্টস অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড দু’দিনব্যাপী ওই মেলা আয়োজন করে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে সম্পর্ক চমৎকার। মানুষে মানুষেও চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত-দুই দেশেই জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে। তাই এ ধরনের উদ্যোগ দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
হাইকমিশনার বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য; এখানে প্রায় ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩৮,০০০ কলেজ রয়েছে, ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম দেশ এবং আধুনিক সুবিধাসহ বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। ভারতে পড়াশোনা করার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে, যার কয়েকটি হলো- অভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস, নৈকট্য, সর্বোত্তম যোগাযোগ ও সকলের সামর্থের মধ্যে। ভারতে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৮০০; প্রকৌশল কলেজের সংখ্যা ৫৬৭২টি; আন্তর্জাতিক স্কুলের সংখ্যা ৬৮৭টি; কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা আসন ১.২ মিলিয়ন, কারিগরি শিক্ষায় স্নাতক পর্যায়ে আসন সংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন, কারিগরি শিক্ষায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আসন সংখ্যা ০.৫ মিলিয়ন।
তিনি বলেন, যারা ভারতে পড়াশোনা করতে চায় ‘ইন্ডিয়া এডুকেটস স্পট এডমিশন এক্সপো’ (২৯-৩০ জুন ২০১৮), ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’ (৬-৭ জুলাই ২০১৮) এবং ‘ইন্ডিয়া এডুকেশন ফেয়ার’ (১৮-১৯ জুলাই ২০১৮) এর মত আয়োজনগুলো তাদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।
‘সেপ’ ইভেন্টসও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি ও ক্যারিয়ার ডিরেক্টরি এর মত বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ে সাহায্য করে। বিস্তারিত জানা যাবে ওয়েব পোর্টালে (www.collegeofindia.org)।
সেপ ইভেন্টসের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় থাপা বলেন, এই মেলা ভারতে বাংলাদেশি শিাদের বিদ্যমান সুযোগ এবং বাংলাদেশে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।
প্রায় অর্ধশত ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই শিক্ষা মেলায় অংশ নিচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)-ওয়ারাঙ্গাল, তিরুচিরাপল্লি, দুর্গাপুর, রৌরকেলা, গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি-হায়দ্রাবাদ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী, বিশ্ব-ভারতী, শান্তিনিকেতন উল্লেখযোগ্য।