তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে অস্বস্তিতে ফেলে দেন সরকারকে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে। সূত্রের খবরঃ রাহুল জানতে চান, ডোকলাম চীনের হাতে চলে গেলে নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত ওই অঞ্চলে কী ভাবে নিজেদের তৈরি করবে? স্পষ্ট কোন উত্তর দিতে পারে নি পররাষ্ট্র সচিব বা প্রতিরক্ষা সচিবের কেউই।

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ডোকলামের দখল নিতে বেজিং বহুদিন ধরেই সচেষ্ট। এ ভূখণ্ডের দখল পেলে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে নজরদারি বাড়ানই শুধু নয়, অবস্থানগত অনেক সুবিধাও আদায় করে নিতে পারবে চীন। ’৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের ঠিক পাঁচ বছর পর ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনার হাতে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল চীনের সেনাদের। তারও অনেক পর ’৮৬ সালের ‘অপারেশন ফ্যালকন’-এর মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী চীনা সেনাকে ফেরত পাঠায় ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হল, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে রাস্তা বানান অথবা সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে চলেছে চীন। কিন্তু সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকায় সুবিধা করতে পারে নি এতদিন। কিন্তু ডোকলাম চীনের দখলে চলে গেলে এ অঞ্চলে সতর্কতা অনেক গুণ বাড়াতে হবে— এমনটাই আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। (আনন্দবাজার অবল্বনে।]