জাফর ইকবালের মেয়ে এবার বিয়ে করছেন আইরিশ ছেলেকে !!
।।নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।।
জাফর ইকবালের মেয়ে ইয়েশিম ইকবালও এবার বিয়ে করলেন তারই দীর্ঘদিনের পার্টনার ভিনদেশি আইরিশ বন্ধু’কে। তার বিয়ের কার্ড, যা ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে, শুরুতেই চোখে পড়বে কার্ডের “শুভ” শব্দটার লেখার স্টাইল আর হিন্দি “ওম” চিহ্ণের লেখার স্টাইল একই রকম।
ইয়েশিম ইকবালও আর দশজন নামকরা বিশেষ চেতনা সমৃদ্ধ পরিবারের ছেলেমেয়ের মতই অবাঙলাদেশি, ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির সর্বোপরি বাংলাদেশে বিদ্যমান বিশেষ চেতনা পরিপন্থী বিদেশি ছেলে বিয়ে করলেন।
কিছুদিন আগে দেশের সংস্কৃতির দেখভাল করেন এমন এক মন্ত্রীর মেয়েও বিশেষ চেতনা সমৃদ্ধ ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চেতনাহীন সংস্কৃতির এক বিদেশিকে মাল্যদান করেন। আর মাত্র ক’দিন আগেই একজন রাজা’র ব্রিটেনে অবস্থানরত দৌহিত্রা ‘র “আই আম নট বাংলাদেশি” বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশিই শুধু নয়, ব্রিটিশ গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে ভীষণ শোরগোল হল, যে রেশ এখনও কাটে নি ।
যার যাকে ভাল লাগবে সে তাকে বিয়ে করবে, সে নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। আর বিশেষতঃ যারা প্রাকটিসিং মুসলিম নয় এবং ইসলামি মূল্যবোধের ধারণাকে নিজেদের জীবনে ধারণ করে না, তারা যাকে পছন্দ করবে তাকেই বিয়ে করবে বা পার্টনারকে নিয়ে একত্রে বসবাস করবে, সে হতেই পারে। ধর্ম, বর্ণ, জাত নির্বিশেষে যে কাউকে বিয়ে করবে, এটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। বরং ইয়েশিম আমেরিকায় বসে ভাল ভদ্র আইরিশ ছেলে বিয়ে করেছে, এটা খুব ভাল হয়েছে। কেননা উচ্চ শিক্ষিত আইরিশ ছেলেটা হয়ত ইয়েশিমকে বুঝাতে পারবে তার বাবা’র ধারণ করা সেই সত্যিকারের প্রগতিশীলতায় আচ্ছন্ন করেই। “ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারী নারী অথবা মুশরিক নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারীনিকে কেবল ব্যাভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমীনদের জন্য হারাম করা হয়েছে।”【আল নূরঃ০৩】
জাফর ইকবালের মেয়ে ইয়েশিম বিদেশি ছেলে বিয়ে করে এটাও প্রমাণ দিয়েছে যে, সে তার বাবার প্রচারিত মতাদর্শ ইতিহাস, চেতনা, ফেৎনা প্রত্যাখ্যান করে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে লালন করল। অবশ্য জাফর ইকবাল ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা নারীদের তিরষ্কার করতে গিয়ে সেসব পর্দানশীন নারীদের বোরকা বা হিজাব নিয়ে তীব্র ভাবে কটাক্ষ করে লিখেন। সে হিসেবে তাঁর মেয়ে সঠিক পথেই এগুচ্ছে। শুধু দেশীয় সংস্কৃতি লালন হচ্ছে না, এই যা। আর সবই ঠিক আছে।
ইয়েশিমের বয়ফ্রেন্ড এবং পরবর্তীতে স্বামী বনে যাওয়া ব্যক্তির সাথে তাঁর সমুদ্র সৈকতে ছবি দেখলে তা ভাল ভাবে অনুধাবন করা যায় যে, মেয়ে বাবার আদর্শকে যথাযথ ভাবে ধারণ করেই আছেন।
প্রগতিশীল হতে হলে ছেলে’র মেয়েবন্ধুর সংখ্যার কোন লিমিট রাখা যেমন যাবে না, প্রগতিশীলদের মেয়েদের পুরুষ বন্ধুর সংখ্যাটারও লিমিট রাখা ঠিক হবে না। আর মদ্য পান এবং রাতের ক্লাবে তো যেতেই হবে।
এটিই ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক আচরণ বটে। জাফর ইকবাল এই মেয়েকেই বলেছিলেনঃ শুধু মুসলমান বেহেশতে যাবে, এটা বাজে কথা। আর তার বইয়ের পাতায় পাতায় পাবেন ইসলামি পোশাকের কুৎসা, দাঁড়ি টুপি নিয়ে অভদ্র মন্তব্য, ওজুর পদ্ধতি নিয়ে কৌতুক, ইসলামি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষ। অন্যদিকে ইসলাম বিরোধী ব্যক্তিদের নিয়ে উচ্চকিত প্রশংসা।
প্রগতিশীলতা আর বাঙালিয়ানার জন্য জাফর ইকবালই বলেঃ রবীন্দ্রনাথকে পূজা করতে হবে।