জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় ভারতঃ জেনে ফেলাই মুবাশ্বেরকে গুম !
11 Nov, 2017
১. যখন দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে ‘উন্নয়নতন্ত্র’ চালু থাকে তখন আপনাকে একটু বাড়তি মগজ খাটাতে হবে। সাংবাদিকের দল যে খবর পরিবেশন করবে তা ডিকোডিং করে বুঝে নিতে হবে। তারা শেফের সাদা টুপি পরে অনেক কায়দাকানুন করে প্রতিদিন সুশোভিত ট্রে’তে মলমুত্র পরিবেশন করতেছে। বেঁচে থাকার জন্য ওখান থেকে আপনাকে খুঁজে খুঁজে খাদ্যদ্রব্য বের করে নিতে হবে। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা এটা।
২. সাংবাদিক ভাইয়েরা পুলিশ ভাইদের হয়ে এখন আপনাকে জানাচ্ছে, নিখোঁজ মুবাশার জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িত। এর সরাসরি অর্থ হলো যেহেতু সে জঙ্গি সুতরাং তার নিখোঁজ হওয়াতে সমস্যা নাই। ভিক্টিম ব্লেইমিং, এইটার নাম মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অন্যদিকে পরোক্ষ অর্থ হলো, আর টেনশন করতে হবে না। মোটামুটি নিশ্চিত যে সে গুম হয়ে গেছে। মা’কালীর মন্দির সোপান তলে/ কতো ছাগল হলো বলিদান/ লেখা নাই চেতনার পর্দায়।
৩. মুবাশার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রজেক্টেও কাজ করতো। এটা ভালো দিক যে তারা এখন নিজেরা নিজেরা কামড়াকামড়ি করতেছে। ফ্যাসিবাদ এই কাজ করে। কুত্তায় কুত্তায় চলুক।
৪. বাংলাদেশী সাংবাদিকরা ডাহা মিথ্যাবাদি শুয়োর। চোখের পাতা না ফেলে এরা যা তা মিথ্যা লিখে যেতে পারে। ইত্তেফাক লিখেছে আমাদের গুজব কামরুল ভাই এর ওয়েবসাইট বিডিপলিটিকো’র ডমেইন না কি মুবাশারের নামে রেজিস্ট্রি করা। এটা যে স্রেফ মিথ্যা কথা তা যে কেউ হুইজ সার্চ করলেই জানতে পারে। তবে এতে বঙ্গীয় সাংবাদিকের কোন লজ্জা হবে না অবশ্য।
৫. ধারণা করছি সাগর রুনিকে যারা খুন করেছে তারাই মুবাশারকে নিয়ে গেছে। মোটিভ একই।
সাগর করতো জ্বালানী বিষয়ক সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের যতসামান্য তেল-গ্যাসের দেখাশোনা করতেছে বন্দুপ্রতিম দাদা। সুতরাং কিছু একটা জানার অপরাধে সাগর-রুনিকে মরতে হয়েছিলো।
ইন্ডিয়া কোয়ার্টারলি নামের এক জার্নালে মুবাশারের সর্বশেষ প্রবন্ধ ছিলো উম্মাটিক কনসেপ্ট এবং জঙ্গিবাদ নিয়ে। এর কনক্লুশনে গিয়ে সে বাংলাদেশ সরকারের জঙ্গি-খেলার সমালোচনা করেছিলো। এছাড়া, শায়খ আবদু বাংলা ভাই ইত্যাদি থেকে শুরু করে যত উম্মাদ জঙ্গি আছে সব রসুনের গোড়া, তাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ এ পর্যন্ত দেখা গেছে ঐ বন্দুপ্রতিম ভাড়ৎদাতেই গিয়ে পৌছে। জঙ্গিদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মুবাশার সম্ভবত কিছু জেনে গেছিলো। বাংলাদেশী ডীপ স্টেটের সাথে সম্পর্ক থাকার সুবাদে যদি সে ফিরেও আসে, আর কখনোও মুখ খুলবে না এইটা এখন গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।
সাধু সাবধান। বাংলাদেশে বেঁচেবর্তে থাকতে হলে, চাটুন। সবশেষে মনে রাখুন দালাল সাংবাদিকের দল যদি সরকারের হয়ে কাউকে টার্গেট করে, তাহলে নিখোঁজ হয়েও সে দোষী। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন আর কি।
সূত্রঃ বিডিটুডে