গল্প করি আর শিখিঃ ।।দুই বন্ধু আর ভালুক।।
এলিনা মোগল
একদিন দুই বন্ধু গভীর জঙ্গলের পথ ধরে রওয়ানা হয়েছিল। তারা পথ অতিক্রম করছিল আর নানান গল্পও করছিল। এমন সময় পাশের কোথাও থেকে এক ভালুক পথের ওপর এসে হা করে দু’বন্ধুর দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। সামনে ভালুক দেখে প্রথম বন্ধু খুবেই ভয় পেয়ে গেল। সে দেরী না করে গাছে উঠে গেল। সঙ্গের অপর বন্ধুটি গাছে উঠতে জানত না। অপর বন্ধুটি কিন্তু সেটি জানত। সে তার কী উপায় হবে, তা কোন আলোচনা না করেই নিজের প্রাণ বাঁচানোর উপায় নিজে নিজে খুঁজে নিয়ে নিল। দ্বিতীয় বন্ধুটি একটি কথা জানত, ভালুক কোন মরা প্রাণি ভক্ষণ করে না। সে ভাবল, অমন ভালুকের সাথে ত মল্লযুদ্ধ করে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। তাই সে ভালুক নিকটে আসার পূর্বক্ষণে পথের ধারে দম বন্ধ করে মরার মত শুয়ে পড়ে র’ল। অবশেষে ভালুক কাছে এসে এমন মৃতের মত পড়ে থাকা দেহটির নাক, কান, মুখ ও চোখ শুঁকে দেখল এবং মানুষেটিকে মৃত ভেবে নিজের মত করে অন্য পথে চলে গেল।
ভালুক জঙ্গলের ভেতর চলে যাবার পর এবার প্রথম বন্ধুটা গাছ থেকে নামল। সে দ্বিতীয় বন্ধুটির নিকট জিজ্ঞেস করল, “বন্ধু! ভালুকটি তোমার কানের কাছে মুখ রেখে কী যেন বলেছিল মনে হল। কী বলেছিল ভালুকটি?” দ্বিতীয় বন্ধুটি ছিল ভীষণ বুদ্ধিমান। সে এমন একটা মওকা পেয়ে গেল। নিজের শরীরের ধুলোবালি মুছতে মুছতে উত্তরে বললঃ “বিপদেই হয় বন্ধৃুর পরিচয়। সুসময়ে সকলই বন্ধু েবটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারও নয়।”