খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মার্কিন নারী ইসলাম গ্রহণের কারণ হিসেবে যা বললেন।

March 11, 2018 9:51 pm0 commentsViews: 58
অনিতা মার্কিন রমনী। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। কেন তিনি এ ধর্ম গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ হলেন, তার মুখে যে ভাবে শোনা যায়, তা হলঃ  ”আমার নাম অনিতা। আমি একজন আমেরিকান নারী। আমি ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামে ধর্মান্তরিত হই। এমন একটি পরিবারে আমার জন্ম হয়েছে,  যেখানে প্রোটেস্টান ও ক্যাথলিক উভয় খ্রিস্টানই রয়েছে। তাই আমি একাধিক গীর্জা এবং খ্রিস্টান স্কুলে অধ্যয়ন করেছি ।বছরের পর বছর বাইবেল অধ্যয়ন এবং ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টানদের বিভিন্ন ধরনের গীর্জায় উপস্থিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম হয়েছিল।”
“আমি শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমার মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন করা হলেও আমি তাদের কাছ থেকে কোন সদুত্তর তো পাই নি, বরং গোঁজামিলই পেয়েছি।

আমাকে মূলত বলা হয়েছিলঃ ‘তোমার এ ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়। তুমি যা জানতে চাইছ, তা আমাদের বইয়ের (বাইবেল) অংশ নয়।’

অনিতা’র বুদ্ধিদীপ্ত মনে আল্লাহ সত্য অনুসন্ধানের মনোভাব সৃষ্টি করে দিলেন। অনিতা বললঃ ভাবলাম,  যে কোন জিনিস সম্পর্কে কারও মনে জন্ম নেয়া প্রশ্নের জবাব অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে রয়েছে।  যখন দেখলাম লোকেরা আমাকে আমার প্রশ্নের জবাব দিতে বা যথাযথ দিক নির্দেশনা দিতে অস্বীকার করছে, তখন আমাকে এমন একটি পথের দিকে অগ্রসর হতে হয়েছে; যে পথে আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে এর জবাব অনুসন্ধান করতে শুরু করি। আমি বিভিন্ন ধর্মের ওপর পড়াশোনা শুরু করি। আমি অনুসন্ধান করতে শুরু করি এবং তাদের উপাসনার স্থানসমূহ পরিদর্শন করতে থাকি। বিভিন্ন ধর্ম অধ্যয়ন বা ’কম্পারিটিভ  স্টাডি অন রিলিজিয়ন্স’ নিয়ে স্টাডি করার সুবাদে এবং তদুপরি কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর মনে হল, ‘আমি এখনও তো ইসলামের দিকে তাকাইনি, তাই এবার ইসলাম নিয়ে গবেষণার করা যেতে পারে।’

প্রথম দিকে আমি যখন এটির সন্ধান শুরু করলাম, তখন এটি বুঝতে একটু বিভ্রান্তিকেই লেগেছিল। তারপর বিষয়টি নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলার পর আমি সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে সমর্থ হই, আলহামদুলি্লাহ। অবশেষে আমি স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করলাম যে, এ পর্যন্ত আমার জীবনে যত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তার সব জবাবই এখানে যথাযথভাবে দেয়া আছে। তারপর এক সময় আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি যেন নতুন কোন পথে যাচ্ছি এবং আমি আমার জীবনের নতুন পরিবর্তনগুলো অনুভব করতে শুরু করি।

এরপর আরও বলতে থাকেন অনিতা।  অজু শরীর এবং অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার বিষয়টি অনিতাকে খুবই নাড়া দেয়। তিনি বলেনঃ প্রথমবারের মত আমি যখন অজু করছিলাম, তখন আমি সত্যিকারের পরিশুদ্ধি অনুভব করলাম। অজু আসলেই রিফ্রেশিং। আমি অনুভব করেছিলাম যে, প্রার্থনার জন্য এটি আমার মনকে পরিষ্কার করে দিয়েছে। হৃদয়ে কেমন যেমন পুলকও অনুভব করলাম।

”আমি বিশ্বাস করি, অন্য ধর্ম থেকে ইসলামকে যে জিনিসটি  দিয়ে সহজেই আলাদা করা যায়, তা হচ্ছে অজু। এটি পাক-পবিত্র হওয়ার প্রক্রিয়াকে পুনর্ব্যক্ত করে না শুধু, মানুষের মনকে পরিশুদ্ধ করে। আল্লাহ আমাদেরকে পানি দান করেছেন, এটি কি যে এক সুবিশাল নিয়ামত, এটা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য অজু দিনে অন্তত পাঁচবার সে কথা ইনিয়ে বিনিয়ে মনে করিয়ে দেয়।  আমাদের সব সময় পবিত্র থাকতে হবে, বিশেষ করে প্রার্থনার সময়, এ কথাটা অজু বারংবার মনে করিয়ে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকর কথা বলে দেয়। স্রষ্টা তো মানুষের কাছ থেকে সবেচেয়ে বেশি পছন্দ করেন, তার সৃষ্টি তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

আমি বুঝতে পারি, অজু কেবল শরীরকেই পরিশুদ্ধি করে না, বরং এটি হৃদয়ের ভেতরটাকেও পরিশুদ্ধি দান করে, অনিতা আবেগঘন কণ্ঠে বললেন। যখন আমরা অজু করার জন্য আমাদের শরীরে পানি ঢালি, সে পানি শরীর থেকে গড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আমাদের পাপকেও ধুয়ে মুছে দেয়।

[অ্যাবাউট ইসলাম অবলম্বনে।]

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com