খালেদা’র সম্পত্তি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য।। এবারও আইনি বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী।।
৮ ডিসেম্বর ২০১৭।।
[ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “সৌদি আরবে যে বিশাল শপিং মল পাওয়া গেল; এটা তো আমরা বলি নি। এ খবর দেওয়ার কোন আগ্রহ দেখলাম না। সম্পাদকরা বিনা পয়সায় শপিং করার কার্ড পেয়েছেন কি না, সে কারণে খবরটি চেপে গেছেন কি না- এমন প্রশ্নও তিনি সংবাদ সম্মেলনে ছুঁড়ে দেন৷]
ঢাকাঃ দুটি বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সম্পত্তি নিয়ে ‘ভুয়ো’ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ মন্তব্য প্রত্যাহার না করা হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই হুঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোরধীদল ’বিএনপি’৷
সম্প্রতি বিদেশি একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবে।
সেই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “সৌদি আরবে যে বিশাল শপিং মল পাওয়া গেল; এটা তো আমরা বলি নি। এ খবর দেওয়ার কোন আগ্রহ দেখলাম না। সম্পাদকরা বিনা পয়সায় শপিং করার কার্ড পেয়েছেন কি না, সে কারণে খবরটি চেপে গেছেন কি না- এমন প্রশ্নও তিনি সংবাদ সম্মেলনে ছুঁড়ে দেন৷
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে খণ্ডন করে বিএনপির পাল্টা দাবি, বিদেশে কোন সম্পত্তি গচ্ছিত নেই খালেদা জিয়ার৷ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কল্পিত পাচারকৃত সম্পদের বর্ণনা এবং কল্পিত সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশের কল্পিত কাহিনী প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা৷ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ বিএনপি-র তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই বাংলাদেশের রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে৷
সম্প্রতি গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক (জিআইএন) এবং কানাডার টিভি চ্যানেল দ্য ন্যাশনাল নামে দুটি সংবাদ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বিদেশে থাকা সম্পত্তি নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছিল৷ এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, অনেক খুঁজেও দুটি বিদেশী সংস্থার হদিস মেলে নি৷
বিএনপির প্রশ্ন, তাহলে কোন তথ্যের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার সম্পত্তি বিদেশে আছে বলে দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা?
এমনিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গিয়েছেন বিএনপি নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া৷ তাঁর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে হিংসাত্মক আন্দোলন ছড়ানোর মামলায় হুকুমের আসামী করা হয়েছে৷ একইসঙ্গে জিয়া অনাথ আশ্রম (এতিমখানা) ও জিয়া দাতব্য প্রতিষ্ঠান (চ্যারিটেবল ট্রাস্ট)-এর আর্থিক দুর্নীতি নিয়েও বিব্রত বেগম জিয়া৷ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ, এই দুই সংস্থায় পাঠানো বিদেশী অনুদান ঘিরে আর্থিক তছরুপ হয়েছে৷ মামলাটি বিচারাধীন৷
সূত্রঃ কোলকাতা২৪