ক্যাম্পাস থেকে ঢাবি ছাত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে ডিবি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমিকে ডিবি পরিচয়ে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে শামসুননাহার হলের সামনে থেকে ইমিকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশের একটি দল। তবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও অবহিত আছেন বলে জানানো হয়েছে সাংবাদিকদের। তারা বলছেন ইমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী ইমি শামসুন্নাহার হলে থাকেন। কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনে সক্রিয় ইমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষেও সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার ছিলেন। একারণে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন কন্টেন্ট ছড়ানোয় ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির মহিলা পুলিশ নিয়ে গেছে।
ডিবি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ইমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে অবশ্য ডিএমপি নিউজ সেই প্রতিবেদনটি তুলে নেয়।
জানা গেছে, খুলনার মেয়ে ইমি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্লোগান ৭১-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কার্যকরী পরিষদের সাবেক সদস্য তিনি। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিতেও যুক্ত তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, তাকে জানিয়েই ইমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন কন্টেন্ট ছড়ানোয় ওকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ রাতে ডিবির মহিলা পুলিশ নিয়ে গেছে। আমাদের অবহিত করেই নিয়েছে।