কোলকাতার ধর্মতলায় ধর্মান্তরকরণ অনুষ্ঠান ।। সাংবাদিকদের মারধর।।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার ধর্মতলায় ধর্মান্তরকরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মারধর করার ঘটনায় হিন্দু সংহতি নেতা তপন ঘোষসহ চারজনকে পুলিশি রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, রাতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি. বৃহস্পতিবার, ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, বুধবার হুসেন আলি নামে এক মুসলিম ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ ১৪ জনকে ধর্মান্তরকরণ করা হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ‘হিন্দু’ হওয়া পরিবারটির নাম ঠিকানা জানাতে চায় নি হিন্দু সংহতি নামের ওই সংগঠনটি। স্বেচ্ছায় ওই পরিবার ধর্মত্যাগ করেছেন নাকি অর্থ বা অন্য কোনো কারণে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন- সাংবাদিকরা এসব প্রশ্ন করতেই সংগঠনের সদস্যরা সাংবাদিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, যাদেরকে ‘হিন্দু’ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, গতকালের ওই ঘটনার পর থেকে তাদের আর কোনো হদিস নেই। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।

এ প্রসঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘হিন্দু সংহতির ব্যানারে তপন ঘোষ যেভাবে কোলকাতায় উত্তেজনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন এবং মুসলিমরা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন বলে মিথ্যা রটনা করে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হাতে পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় এটা যে, পুলিশের পক্ষ থেকে তপন ঘোষের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ধারা দেয়া হয় নি যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য পুলিশ তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে বা কঠোর তদন্ত করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি গতকাল কোলকাতায় তপন ঘোষ যে সভা করেছেন এবং সেখানে কিছু মানুষকে সামনে নিয়ে এসে তাদের ধর্মান্তর করা হয়েছে বলে দাবি করে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে যেভাবে অদৃশ্য করে দেয়া হয়েছে, এই গোটা ঘটনা (কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা) সিবিআই অথবা কমপক্ষে সিআইডি তদন্তের মধ্যে দিয়ে তা সামনে আসুক।’ #
সূত্রঃ পার্সটুডে