কোরআন অবমাননা করায় করুণ মৃত্যু!
পবিত্র কোরআন অসীম জ্ঞানের অধিকারী মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। মানুষের জন্য সৌভাগ্য ও মুক্তির পথ দেখানো হয়েছে এ মহাগ্রন্থে। অজ্ঞ ও ধর্ম-বিদ্বেষী লোকদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পবিত্র কোরআন কখনও বিকৃত হয়নি। মহান আল্লাহ নিজেই এ মহাগ্রন্থ রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। মহান আল্লাহ কী বলেন, শুনিঃ
“আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ (কোরআন) পাঠিয়েছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।” [সুরা হিজরঃ আয়াত ৯]
“নিশ্চয় যারা কোরআন আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা অবশ্যই এক সম্মানিত বা অপরাজেয় গ্রন্থ। এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, অতীতেও ছিল না ও ভবিষ্যতেও থাকবে না। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।” [ সুরা ফুসিলাতঃ ৪১ ও ৪২]
কোরআন অবমাননায় করায়- দিনাজপুর বিরামপুরে পবিত্র কোরআর শরীফ অবমাননা করায় আদিবাসী সাঁওতাল বিশু লাড়কা নামের এক ব্যক্তির করুণ মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি, সোমবার, সকালে রণগ্রামে কবিরাজি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশু লাকড়ার মৃত্যু হয়। দুপুরে বিশুর লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে এলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের জোতজয়রামপুর গ্রামের এতোয়া লাকড়ার ছেলে বিশু লাকড়া (৫৫) গত শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, গ্রাম সংলগ্ন নদীতে মাছ ধরতে যায়। এক পর্যায়ে তার হাতের সাথে একটি কোরআন শরীফ উঠে আসে। আরবীতে মুদ্রিত মুসলমানদের মহাপবিত্র গ্রন্থটিকে সম্মান না দেখিয়ে বিশু সেটিকে পা দিয়ে সরিয়ে রেখে বাড়ি চলে আসে। অতি আশ্চর্যে র বিষয় হল, বাড়ি ফেরার পর বিশুর হাত-পা অবস হতে শুরু করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তার মুখের কথা এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বিশুর বড় ছেলে লক্ষী লাকড়া ও শ্যালক দিলীপ টপ্য জানান, অবচেতন বিশু লাকড়াকে গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করালেও ক্রমাগত তার শারিরীক অবস্থার অবনতিই ঘটতে থাকে।বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ কবীরে সাথে টেলিফোনে আলাপ করে জানা যায় জানায়, লোকমুখে শুনেছি বিশু লাকড়া পবিত্র গ্রস্থ আল কুরআন অবমাননা করার কারণেই এই অপমৃত্যুর ঘটতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছে ।
বর্তমান যুগে বিভিন্ন সময় কোরআন অবমাননার বিভিন্ন নজির খুঁজে পাই। শুধু তাই নয়, যারা কোরআন, হাদীস ও ইসলঅমি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করে জ্ঞান লাভ করতে চায়, তাদের নানান ভাবে হ্যানস্তা করা হয়। এটা ঠিক নয়। কারও বিরুদ্ধে যদি দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র এর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবেই। কিন্তু শুধু শুধু কোরআন অবমাননা এবং ইসলাম িবিরোধী কর্মকাণ্ড এর সাথে ভবিষ্যতে কেউ আমরা জড়িত না থাকি। আমি একজন দল নিরেপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে সে কামনা করি। দেখুন ২০১১ সালের ১৭ মার্চের এক ঘটনার কথা বলি। কি হয়েছিল সে দিন।
কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ছাত্রাবাসে (মেস) গত ২০১১ সালের ১৭ মার্চ ভোররাতে একদল মুখোশধারী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। হামলাকারীরা ছাত্রদের বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে কোরআন শরীফ, পাঠ্যবই ও আসবাবপত্র তছনছ করে। ওই সময় অস্ত্রের মুখে ছাত্রাবাসের ছাত্রদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। কক্সবাজার শহরতলির বিসিক শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সিকদার মঞ্জিল নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন মেসের সিভিল তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মিজানুর রহমান ও কম্পিউটার প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র করিম উদ্দিন জানান, রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতকারী তাদের মেসের দরজা ভেঙে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। প্রায় একঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে পুলিশ এলে দুষ্কৃৃতকারীরা পালিয়ে যায়। ছবিঃ সংযুক্ত [সূত্রঃ আমার দেশ অনলাইন]
পবিত্র কোরআন যে একটি ঐশী গ্রন্থ, দিন যত যায়, তা দিবালোকের মত স্পষ্ট হচ্ছে। গর্ভস্থ শিশু ও ভ্রুণ বিষয়ের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ ডক্টর কিট মুর পবিত্র কোরআনের এ সংক্রান্ত আয়াত অধ্যয়নের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ওইসব আয়াতই প্রমাণ করে যে পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর গ্রন্থ এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রসূল, তা না হলে ১৪০০ বছর আগে মানুষের রচিত কোন গ্রন্থ এত নিখুঁত ও উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মত তথ্য পরিবেশন করতে পারে না।