কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত ?
লিখেছেন @Nazmul Alam Sizar
ফেসবুকে আমি স্ট্যাটাস খুব কম দিই, কিন্তু অন্যের স্ট্যাটাসে মন্তব্য করি বেশি। সেসব ক্ষেত্রে আমি বিভিন্নভাবে এই কথাটা প্রায় বলেছি যে, মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের একটা যুদ্ধ বাঁধবে। সেই যুদ্ধে মায়ানমার পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলে নেবে রাখাইনে চিনের ভবিষ্যৎ সামরিক ঘাঁটিকে নিরাপত্তা বেল্ট হিসাবে সুরক্ষা দেয়ার জন্য। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশের সাথে গোপন সামরিক চুক্তি অনুযায়ী হেল্প করার (71 সালের মতো) অছিলায় আর্মি নামিয়ে নাফ নদীর তীরাঞ্চল নিজেদের দখলে রাখতে চাইবে ভারত। তাদের উদ্দেশ্য সেভেন সিস্টারসকে নিজেদের মানচিত্রে ধরে রাখা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকাও ঢুকে পড়বে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিজের আধিপত্য-ব্যালেন্স নিশ্চিত করার জন্য। তখন বাংলাদেশ হয়ে যাবে একটা অসহায় রণাঙ্গন। সামরিক বাহিনীর অনেকেই সেসময় চাকরি ছেড়ে দেবে অথবা পালাবে। বাকি অংশ যুদ্ধে নামবে ভারতীয় কম্যান্ডের আওতায় এবং তারা থাকবে ফ্রন্টে। ভারত শুধু পেছন থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়ে বিমান বা আর্টিলারী সহায়তা দেবে। সেই যুদ্ধে কোনো আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম লেখাবে না। কারণ তাদের রক্ত গরম হয় মাত্র তিনটি শব্দেঃ “রাজনৈতিক ইসলাম, পাকিস্তান এবং বিরোধী দল”। সুতরাং গেরিলা গঠিত হবে ক্ষয়িষ্ণু জামাত বা বিএনপি থেকেই। সেটি একটি র্দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ হবে। সাধারণ মানুষ দেশপ্রেমের নমুনা দেখানোর চাইতে রিলিফের দিকে তাকিয়ে থাকবে বেশি।
হ্যাঁ। দেশটাকে এতোদিনে হাসিনা আর এরশাদ মিলে সেভাবেই তৈরী করে ফেলেছেন। মোহাম্মদ আলী শিকদার, গাফ্ফার চৌধুরী, পীর হাবিব, কাজী সিরাজ আর আবুল বারাকাত মার্কা বুদ্ধিজীবীগণ তাদেরকে যুগিয়েছেন বুদ্ধিবৃত্তিক সামাজিক সাহস। একইসাথে রাজণৈতিক ব্যাক-আপ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের, হানিফ, হাসান মাহমুদ আর এরশাদের মতো সুবিধাবাদীরা। আওয়ামীতে অনেক দেশপ্রেমিক নেতা আছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় ফোরামে দেশবিধ্বংসী পদক্ষেপের বিপক্ষে পরামর্শ প্রদান করেকরে আজ ক্লান্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁদের সেই আন্তরিক প্রচেষ্টা বারবার র্ব্যথ হয়ে কেঁদে ফিরেছে প্রতিহিংসা পরায়ণ হাসিনার ক্ষমতার লোভ আর তদীয় পুত্র জয়ের টাকার নেশার কাছে। কিন্তু বিপদ শুরু হওয়ার মূহূর্তে কুশীলব আওয়ামী নেতারা যে-যার সুবিধা মতো ঠিকই বিদেশ পালিয়ে যাবেন – সেদিকে তাদের বাড়িঘর বানানো আছে, বাকি জীবন বসে খাওয়ার মতো অর্থ পাচারক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। পক্ষান্তরে আমরা সাধারণ আওয়ামী-বিএনপি-জামাত এবং বাকি জনতা তখন সিরিয়ার মতো বমের আঘাতে-আঘাতে শুধু মরতে থাকবো। হাসিনার সবচেয়ে বড় ভুল(অপরাধ) হলো বিডিআর ক্যাম্পে আর্মি নিধন এবং জামাত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যা বা জেল-জুলুমে কোণঠাঁসা করে ফেলা।অথচ এই দেশের সার্বভৌমত্ব কেবল তাদের হাতেই নিহিত ছিল। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য হাসিনা ম্যাডাম দেশ ও জাতির সকল সেক্টরের নাটবল্টু ঢিলা করে দিয়েছেন। ফলতঃ এই জাতি একশো বছরেও আর মাজা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।