কিয়ামতের দিন হজরত ইসরাফিলের শিঙ্গায় প্রথম দুই ফুৎকারের সময়ের ব্যবধান

December 4, 2017 9:38 am0 commentsViews: 42

কিয়ামতের দিন হজরত ইসরাফিলের শিঙ্গায় প্রথম দুই ফুৎকারের সময়ের ব্যবধান

আল্লাহ তাআলা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাদের জীবনে রয়েছে তিনটি ধাপ বা পর্ব। জীবনের এ পর্বগুলো হল- দুনিয়ার জীবন, কবর জীবন, অতঃপর কিয়ামত ও বিচার দিবস পরবর্তী জান্নাত বা জাহান্নামের স্থায়ী জীবন।

আল্লাহ তাআলা মানুষের দুনিয়ার জীবনের চূড়ান্ত সমাপ্তির জন্য কিয়ামত অনুষ্ঠিত করবেন। এজন্য আল্লাহ তাআলা হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালামকে কিয়ামত অনুষ্ঠিত করতে শিঙ্গায় ফুৎকারের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন।

হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহর হুকুমে প্রথম ফুঁৎকার দিলে দুনিয়ার জীবনে মানুষসহ সব সৃষ্টির অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে। অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার নির্দেশ পেলে তিনি তা কার্যকর করবেন।

শিঙ্গায় দ্বিতীয় ফুৎকারের মাধ্যমে সব মৃতদের জীবিত করা হবে, তখন সব মানুষ খালি পা, বিবস্ত্র ও খতনা-বিহীন অবস্থায় আল্লাহ তাআলার দরবারে দণ্ডায়মান হবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যে আক্বিদা ও বিশ্বাসের ওপর মৃত্যুবরণ করেছে তার ওপর উত্থিত হবে।

কিয়ামত হওয়ার পর পরই হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেবেন না। বরং দ্বিতীয়বার ফুৎকারের বিষয়ে হাদিসে একটি বর্ণনা এসেছে। তাহল-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করছেন, ‘দুই ফুঁৎকারের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান হচ্ছে চল্লিশ।’ লোকেরা আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করল, ‘চল্লিশ’ কি; দিন? তিনি বলেন, ‘আমি (জবাব দিতে) অস্বীকার করলাম। লোকেরা বললঃ তাহলে কি, চল্লিশ মাস? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম। এরপর লোকেরা আবারও জিজ্ঞেস করল? তাহলে কি চল্লিশ বছর? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করবেন। ফলে তারা (মানুষ) শস্য-সবজি উৎপন্ন হওয়ার মতো ভূমি অভ্যন্তর থেকে এমতাবস্থায় বের হয়ে আসবে যে, শুধুমাত্র একটি হাড় ব্যতীত মানুষের সবকিছু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবে। অক্ষত থাকা হাঁড়কে বলা হয় “আজবুয যানাব” কেয়ামত দিবসে তার থেকেই মানুষকে গঠন করা হবে। (বুখারি ও মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘তিনিই বৃষ্টির আগে সুসংবাদবাহী বায়ু (বাতাস) পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ণ মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দেই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনি ভাবে মৃতদের (কবর থেকে) বের করব; যাতে তোমরা চিন্তা কর। (সুরা আরাফঃ আয়াত ৫৭)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কিয়ামতের তথা মৃত্যুর আগেই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। পরকালের সফলতা লাভে কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com