এত সুন্দর দেখে আর লোভ সামলাতে পারে নি পরিচিত অটোরিক্সা চালক মমিনও।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন রুবেল মিয়া (১৯), মিজান (২৩), সোহাগ (২০), রায়হান (১৯) ও ডালিম (২৫)। তাদের মধ্যে রুবেল মিয়া, মিজান ও সোহাগ পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া মধ্যপাড়ার, রায়হান ঘাগড়া মধ্যপাড়ার এবং ডালিম ঘাগড়া রোদিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অটোরিকশাচালক কোদালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মমিন (২৬) এবং তার দুই সহযোগী কাইয়ূম মিয়া (২২) ও শাহজাহান (২২) পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে কটিয়াদীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে স্বামীকে নিয়ে বাসে করে বাবার বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হন। বিকেল ছয়টার দিকে গৃহবধূকে তার স্বামী পুলের ঘাট বাজারে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে নিজে একটি কাজে কিশোরগঞ্জে চলে যান।
পুলেরঘাট বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে ওই গৃহবধূ তার পূর্ব পরিচিত অটোরিকশা চালক মমিনের অটোরিকশায় ওঠেন। পথে যাত্রী উঠানো-নামানোর পর চালক মমিন অটোরিকশার যাত্রী রুবেল ও গৃহবধূসহ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঘাগড়া এলাকার শাহীন মিয়ার মুরগির ফার্মের সামনে গিয়ে অটোরিকশাটি থামায়।
সেখানে গৃহবধূকে ছুরির মুখে জিম্মি করে পাশের একটি পেঁপে বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় মমিন ও রুবেল মুঠোফোনে তাদের আরও ছয় বন্ধুকে ডেকে এনে পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে ধর্ষকেরা চলে যায়।
পরে গৃহবধূ বাবার বাড়িতে গিয়ে মুঠোফোনে স্বামীকে ঘটনা জানিয়ে রাতেই পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে পুলিশকে গণধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। গৃহবধূর কাছ থেকে গণধর্ষণের বিবরণ পাওয়ার পর পরই ধর্ষকদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত আট ধর্ষকের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনায় জড়িত পাঁচ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিম গৃহবধূকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।