ইলিউমিন্যাটি,৩য় বিশ্বযুদ্ধ ও রাণী এলিজাবেথের মুহাম্মদ স.এর প্রত্যক্ষ বংশধরের দাবী
।।মাসুম খলিলী।।
বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ দাবি করেছেন, তিনি ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা নবী মুহাম্মদ (স) এর সরাসরি বংশধর। তিনি বিবিসি সংবাদ মাধ্যমকে এই ধারণা মুসলিম বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাণী এলিজাবেথের এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ এ ভয় ছড়িয়ে দিয়েছে যে ইলিউমিন্যাটি ইসলামকে ব্যবহার করে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে কিনা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স) -এর ৪৩তম বংশধর হওয়ার কথা উল্লেখ করে রাণী এলিজাবেথ তার দাবী প্রমাণের জন্য বারকিজ পিয়ারেজের লিখিত রাজকীয় বংশ নির্দেশিকার উদ্ধৃতি দেন।
বারকিজ পিরাজের-হ্যারল্ড ব্রুকের মতে, ব্রিটিশ রাজ পরিবার স্পেনের আরব রাজা সেভাইলার বংশধর। রাজা সেভাইলা হযরত মুহাম্মদের (সা) মৃত্যুর পর স্পেনের আরব খেলাফতের শাসক ছিলেন। স্বর্ণযুগে এই খেলাফত ককেশাস (ইউরেশিয়া) থেকে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ (মুসলিম স্পেন, পর্তুগাল, এ্যান্ডোরা এবং জিব্রাল্টার) পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
ইতিহাসে এটি ছিল সে সময়ের ৫ম বৃহত্তম সাম্রাজ্য। ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ (বিশ্বের তখনকার জনসংখ্যার ২৯ শতাংশ) এই সাম্রাজ্যের অধিবাসি ছিলেন। নবী মুহাম্মদ (স) এর রক্ত পর্তুগাল ও কাস্টিলের ইউরোপীয় রাজাদের কাছ থেকে ইংল্যান্ডের ১৫তম শতাব্দীর রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ডের এর মাধ্যমে সরাসরি রাণী এলিজাবেথের কাছে বহমান হয়েছে।
এখানে বারকিজ প্যারেজের উল্লেখ করা রাণী এলিজাবেথের পূর্বপুরুষের পূর্ণ তালিকা দেয়া হলঃ
এলিজাবেথ দ্বিতীয়, যুক্তরাজ্যের রাণী – কন্যা
ষষ্ঠ জর্জ, যুক্তরাজ্যের রাজা – পুত্র
পঞ্চম জর্জ , যুক্তরাজ্যের রাজা -পুত্র
সপ্তম এডওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের রাজা – পুত্র
ভিক্টোরিয়া, যুক্তরাজ্যের রাণী – কন্যা
এডওয়ার্ড, কেন্ট এবং স্ট্রেথার্ন এর ডিউক – পুত্র
তৃতীয় জর্জ, যুক্তরাজ্যের রাজা – পুত্র
ফ্রেডেরিক, ওয়েলসের প্রিন্স -পুত্র
দ্বিতীয় জর্জ, যুক্তরাজ্যের রাজা-পুত্র
প্রথম জর্জ, যুক্তরাজ্যের রাজা – পুত্র
সোফিয়া, হ্যানওভার ইলেক্ট্রেস – কন্যা
বোহেমিয়ার এলিজাবেথ – কন্যা
জেমস প্রথম/৬ষ্ঠ যুক্তরাজ্যের (ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড) রাজা – পুত্র
মেরি, স্কটসের রাণী – কন্যা
পঞ্চম জেমস, স্কটিশ রাজা – পুত্র
মার্গারেট টিউডর – কন্যা
ইয়র্কের এলিজাবেথ – কন্যা
চতুর্থ এডওয়ার্ড, ইংল্যান্ডের রাজা – পুত্র
রিচার্ড প্লান্টাগ্যান্ট, ইয়র্কের ডিউক – পুত্র
কনিসবার্গের রিচার্ড, কেমব্রিজের আর্ল -পুত্র
ক্যাস্তিলের ইসাবেলা পেরেজ – কন্যা
মারিয়া জুয়ান দে পডিলা – কন্যা
মারিয়া ফার্নান্দেজ ডি হেনস্টোসা – কন্যা
আলডোনজা রমাইরেজ ডি সিফনটেস – কন্যা
অ্যালডোনজা গনসালেজ গ্যারন – কন্যা
স্যানচা রদ্রিগেজ ডি লারা – কন্যা
রদ্রিগো রদ্রিগেজ ডি লারা – পূত্র
সানচা আলফোন্সজ, ক্যাস্তিলের ইনফান্টা – কন্যা
জায়দা (প্রকাশ ইসাবেলা) – কন্যা
আল মুয়াতাদিদ ইবনে আব্বাস, সেভিলের রাজা – পুত্র
আব্বাস দ্বিতীয় আল মুয়াতাদিদ, সেভিলের রাজা – পুত্র
আবু আল কাসিম মোহাম্মদ ইবনে আব্বাস, সেভিলের রাজা – পুত্র
ইসমাইল ইবনে কারাইজ – পুত্র
কারাইজ ইবনে আব্বাস – পুত্র
আব্বাস ইবনে আমর – পূত্র
আমর ইবনে আসলান – পূত্র
আসলান ইবনে আমর – পুত্র
আমর ইবনে ইতলাফ – পূত্র
ইতলাফ ইবনে নাঈম – পুত্র
নাঈম দ্বিতীয় আল-লখমী -পুত্র
নাঈম আল-লখমী – পুত্র
জাহরা বিনতে হুসেন – কন্যা
হুসেন ইবনে হাসান -পুত্র
হাসান ইবনে আলী
কেন রাণী এলিজাবেথ তার মুসলিম পূর্বপুরুষদের কথা প্রচার করছেন?
রাণীর অনুরোধে বিবিসি আরবি এই ধারণাটি প্রচার করে যে তিনি নবী মুহাম্মদ (স)এর সরাসরি বংশধর। বিবিসিতে সম্প্রচারিত এই ধারণা মুসলিম বিশ্বের অনেক মিডিয়া সম্প্রচার করে। বিবিসি আরবি ভাষায় সম্প্রচারিত হলেও এর বিষয়বস্তু সহজেই ইংরেজি ভাষাভাষী দর্শকরা বুঝতে পারেন। বিবিসি মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছে যে, হজরত মুহাম্মদের (স) সরাসরি বংশধর হিসাবে রাণী এলিজাবেথ তাদের বিশ্বাসের শীর্ষে থাকতে পারে।
যারা ইলিউমিন্যাটিকে (দ্য ইলিউমিন্যাটি একটি গুপ্ত সংগঠন। ১৭৭৬ সালের ১ মে ব্যাভারিয়াতে অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইলিউমিন্যাটি শব্দের অর্থ “যারা কোনো বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকিত বা জ্ঞানার্জনের দাবী করে” অথবা “বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন কোনো দল”) অধ্যয়ন করেছেন এবং একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের পরিকল্পনার কথা যারা জানেন তারা ইংল্যান্ডের রাণীর এই সর্বশেষ পদক্ষেপে বিস্মিত হবেন না।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার মতাদর্শ হবে শরিয়া আইন?
আলবার্ট পাইকের ‘তিন বিশ্বযুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীর’ বিষয়টি বিশেষ আগ্রহ উদ্দীপক। পাইকে ছিলেন একজন শীর্ষ ইলিউমিন্যাটি গ্র্যান্ড উইজার্ড ও একজন বিখ্যাত লুসফেরিয়ান এবং আমেরিকার গৃহযুদ্ধের কনফেডারেসির জেনারেল। ১৮৮০-এর দশকে তিনি খোলাখুলিভাবে বলেছিলেন যে ইসলাম তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কেন্দ্রীয় উপাদান হবে এবং ইলিউমিন্যাটি পশ্চিমের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে ইসলামকে ঠেলে দেবে।
১৯ শতকে অ্যালবার্ট পাইকে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে আসার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করেন।
ইলিউমিন্যাটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে খ্যাত ব্যাক্সটার দিমিত্রি এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বলেন, ইসলামকে নিয়ে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কেমন হতে পারে তা এর মধ্যে আমরা দেখেছি। একটি সংকট ও সভ্যতার সংঘাত তৈরির কাজে ইসলামকে ব্যবহার করা হয়েছে। ইলিউমিন্যাটি তার লক্ষ্য অর্জনে ইসলামকে ব্যবহার করতে ভুল করছে না।
দলিলে দেখা যায় যে, ১৮৭১ সালে অ্যালবার্ট পাইকে তার এক বন্ধুকে একটি চিঠি লিখেন যেখানে চূড়ান্ত ও এ যাবৎকালের বৃহত্তম তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপরেখা তুলে ধরা হয়। এই চিঠিটি দুই বন্ধুর মধ্যে সাধারণ আদান প্রদানের চিঠির চেয়েও অনেক বেশি কিছু ছিল। এই চিঠির মধ্যে যে বিবরণ রয়েছে তা ঠিক গত বিশ্ব যুদ্ধে যা ঘটেছে তার একটা নীল নকশার মতো মনে হয়। অথচ এটি দেয়া হয় এর অনেক আগে। আর ইলিউমিন্যাটিরা এখনও সেই চিঠি অনুসরণ করছে।
আলবার্ট পাইকে তার এই কুখ্যাত চিঠি/নীল নকশায় বলছেন, তাঁর সামরিক কর্মসুচি বাস্তবায়নে ১০০ বছর অথবা আর একটু বেশি সময় লাগতে পারে। সমগ্র বিশ্বে মানব জাতির উপর লুসফেরিয়ান একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এ সময় লাগতে পারে।
পাইকের যুদ্ধ শুরু করার নীলনকশায় মনে হচ্ছে যে অরাজকতাকারীরা বিশ্ব শাসক হিসেবে অবির্ভুত হতে পারে।পাইকের চিঠিতে অনেকটাই নির্ভুলভাবে প্রথম দুই বিশ্বযুদ্ধের সুনির্দিষ্ট বিবরণ রয়েছে।
চিঠিতে তিনি বলেছিলেন-
“ইলিউমিন্যাটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়ান জারের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশটিকে নিরীশ্বরবাদী কমিউনিজমের দুর্গ বানাবে”।
“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দুটি কারণের জন্য হবে। এর একটি হলো ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আর দ্বিতীয়টি হল ইউরোপে কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করা।”
“তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবশ্যই রাজনৈতিক ইহুদিবাদী ও ইসলামী জগতের নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্যকে কাজে লাগিয়ে বাধিয়ে দেয়া হবে।
পাইকের মতে,পশ্চিমের পতন ঘটাতে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্টর হবে ইসলাম। কিন্তু ইসলাম নিজেই বিদায় হয়ে যাবে,আর পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া লুসফেরিয়ানবাদের নতুন ধর্ম অনুমোদন পাবে। পাইকের ঐতিহাসিক ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী,এই পৃথিবীতে একজন মুসলিমও আর অবশিষ্ট থাকবে না যিনি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ধর্মের কাছে নিজেকে সমর্পন করবে না।
পাশ্চাত্য ও ইসলামের দ্বন্দ্ব সৃষ্টির সূত্র ইলিউম্যানিটি?
পাশ্চাত্য ও ইসলামের দ্বন্দ্ব সৃষ্টির মূলে ইলিউম্যানিটি সক্রিয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পশ্চিমকে ধ্বংস করার জন্য ইলিউমিন্যাটির নিছক হাতিয়ার হবে ইসলাম।পাইকের নীলনকশা অনুসরণ করে ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস করা হয়েছে আর এর দোষ চাপানো হয় মুসলমানদের উপর। আর আসন্ন সঙ্কটটি হবে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবতা। আলবার্ট পাইকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে,ইসলাম ধর্মকে সংকটের সূত্রপাত ঘটাতে কাজে লাগান হবে।
আর আমরা সবাই জানি, এর পর থেকে পরিস্থিতি শুধুমাত্র খারাপের দিকে গেছে।বেক্সটার দিমিত্রি প্রশ্ন করেন, আপনি প্রত্যেক সময় যখন কোন সংকট দেখতে পান তখন সাধারণ ফ্যাক্টর কি থাকে? কে এটার পেছনে থাকে?
এর পেছনে তুলে ধরা হয় ইসলামকে।
নিউজ ওয়্যার এর রাজনীতি, ব্যবসায় এবং বিনোদন লেখক বেক্সটার দিমিত্রির মতে, ইলিউমিন্যাটি বিশ্বাস করাতে চায় যে ইসলামের সঙ্গে পাশ্চাত্যের একটি সমস্যা রয়েছে। তারা প্রকৃত সত্য সম্পর্কে মানুষকে অজ্ঞ রাখতে চায়। তারা তাদের পাশ্চাত্যকে ধ্বংস করার চুড়ান্ত লক্ষ অর্জনে ধর্মকে ব্যবহার করতে চায় আর নিয়ে আসতে চায় একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা। এই নকশার সব কিছু তৈরি করা হয়েছে। আমরা দেখেছি যে অভিবাসী সংকট নিয়ে কি করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে তারা কি করছে, এ ধরনের আরো অনেক কিছু। তারা ইপ্সিত পাত্রটি সাজানোর জন্য ইসলামকে ব্যবহার করছে। আমরা শুধু ইলিউমিন্যাটি দিয়ে বিশ্বের বর্তমান অবস্থা বুঝতে পারি। আর নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে পারি ইলিউম্যানিটি আমাদের ভবিষ্যত অবয়ব যাতে না দিতে পারে।
মেহেদি ও ইসার আগমণ ও পাইকে
মহাপ্রলয়ের আগে হজরত ইসা (আ ) ও ইমাম মেহেদির আগমণ সম্পর্কে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স) এর অনেক ভবিষ্যদ্বাণী বা হাদিস রয়েছে। পাইকের জন্মের কয়েক শত বছর আগে করা এই ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে পাইকের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও এর পরবর্তী কিছু ঘটনার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। নির্ভরযোগ্য হাদিসের বর্ণনা অনুসারে ইমাম মেহেদি আসার আগে ইরাক অবরোধের মুখে পড়বে। একই অবস্থা হবে সিরিয়ার। আর মিসরকে তার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হবে। এ সময় সৌদি আরবের একজন শাসকের মৃত্যুর পর ক্ষমতা নিয়ে তিন পুত্রের মধ্যে লড়াই হবে। ইমাম মেহেদি ৪০ বছর বয়সে আত্মপ্রকাশ করবেন। তার নাম হবে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ। তার বিরোধিরা মদিনায় তার স্ত্রী পুত্র স্বজনদের বন্দী করবেন। তিনি মদিনা থেকে মক্কায় পালিয়ে আসবেন। সেখানে মক্কার কিছু লোক ইমাম মেহেদিকে চিনবেন এবং তার কাছে বাইয়াত নেবেন। তিনি শাসন কর্তৃত্ব নিয়ে মুসলমানদের একতাবদ্ধ করবেন্। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তিনি পুরো পৃথিবীতে তার শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। এসময় আর কোন যুদ্ধ বিগ্রহ থাকবে না। সারা বিশ্বে শান্তি ও সম্মৃদ্ধি নেমে আসবে। তিনি ৭ বা ৮ বছর বিশ্ব শাসন করবেন। এর পর আবির্ভাব ঘটবে হজরত ইসা আা.এর। তিনি ৪০ বছর পুরো বিশ্ব শাসন করবেন শেষ নবীর খলিফা ও উম্মত হিসাবে। এর পর বিশ্বে অন্ধকার সময় নেমে আসবে। কোন ইমানদার আর অবশিষ্ট থাকবে না।
ইমাম মেহেদির আগমণের লক্ষণ হিসাবে বর্ণিত ইরাক ও সিরিয়ায় অবরোধ ও যুদ্ধের ঘটনা ঘটে গেছে। মিসরকে নীল নদের পানি থেকে বঞ্চিত করার মতো রেনেসাঁ ড্যাম নামে এক মহাবাধ নীলের উৎস এলাকায় ইসরাইলী বিনিয়োগে নির্মাণ করছে ইথিওপিয়া। এটি চালু হলে নীল নদের প্রবাহ কমে যেতে পারে, যে নদীর পানির উপর মিসরের ৮০ ভাগ চাষাবাদ নির্ভর করে। আর সৌদি আরবে বাদশাহ সালমান অশিতীপর ও দুর্বল হয়ে পড়েছেন । যে কোন সময় তার মৃত্যু হতে পারে। আর প্রিন্সদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। এসব বিবেচনা করে বায়তুল মোকাদ্দেসের ইমাম আল্লামা খালেদ আল মাগরেবিসহ অনেকে মত প্রকাশ করেছেন ইমাম মাহদির আগমণ আসন্ন। তিনি সম্প্রতি একটি স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে মহানবী (স) ইমাম মেহেদিকে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি যেন সব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং এক বছরের জন্য যেন খাদ্য মজুদ করে রাখেন্।
পাইকের কাছে মহানবীর (স) এর এই ভবিষ্যৎবাণীর কথা জানা ছিল কিনা স্পষ্ট নয়া। তবে তিনি যেমন তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলিমদের বিজয়ী হবার কথা বলেছেন একই কথা রয়েছে রাসূলের (স) হাদিসেও। আর ইমাম মেহেদি ও হযরত ইসা আ .এর ৪৮ বছর শাসনের পর ঈমানদারবিহীন যে যুগের কথা হাদিসের ভবিষদ্বাণীতে বলা হয়েছে পাইকের নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ধর্মের ধারণার সাথে তা মিলে যায়।
সব কিছু মিলিয়ে বিশ্বে একটি নতুন সময়ের সূচনা আসন্ন বলে মনে হচ্ছে।