আহা মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরটার কি আমূল বদল।।
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।। তারিখঃ ৩ নভেম্বর ২০১৭।।
আহা মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরটার কি আমূল বদল হয়ে গেল। ২ অক্টোবর রাতে লাস ভেগাসে হামলাকারীর নাম ছিল স্টিফেন প্যাডক। নাম শুনে ট্রাম্প নিশ্চয়ই অস্বস্তি পেয়েছিলেন, আহা এতো মুসলিম নয়। সেবার ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল প্যাডকের গুলিতে। ৫০০-রও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। সে হামলা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে পাঁচ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট । অপেক্ষা করতে হয়েছিল, সে মুসলিম কিনা!
৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে যে হামলা হল, তীব্রতায় তা আগের হামলার চেয়ে ক……ত কম। বাইক বে-তে ট্রাক নিয়ে হানা দিয়েছিল হামলাকারী। ৮ জনকে চিরতরে পরলোকে পাঠিয়ে দিয়েছে ট্রাক। ১১ জন আহত। কিন্তু, এবার হামলাকারীর নাম সায়ফুল্লো হাবিবুল্লায়েভিচ সাইপভ। ইসলামিক নাম। এবার আর দেরী করলেন না। দেড় ঘণ্টার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ‘আমেরিকায় এ সব চলবে না’— সহজ কথা ট্রাম্পের। অন্য কোন দেশ থেকে আমেরিকায় যাতায়াতের উপর নজরদারি যে ভাবে কঠোর করা হয়েছে, তা আরও কঠোর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগকে। টুইটারে এমনও জানালেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পঃ “ I have just ordered Homeland Security to step up our already Extreme Vetting Program. Being politically correct is fine, but not for this! 7:26 PM – Oct 31, 2017
এক মাসেরও কম ব্যবধানে ঘটা দুই হামলায় ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ায় এমন অসামঞ্জস্য অবস্থা দেখে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে খোদ আমেরিকাতেই।অক্টোবরের শেষ রাতে নিউইয়র্কে হামলা হওয়ার পর ঠিক কী প্রতিক্রিয়া দিলেন ট্রাম্প? মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইটারে লিখলেন এভাবেঃ “মনে হচ্ছে আবার … এসব চলবে না।” আবার অক্টোবরের গোড়ায় যখন লাস ভেগাসে হামলা হয়েছিল, অনেক বেশি প্রাণহাণি হলেও তখন কিন্তু এতটা তীব্র ছিল না ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া। সেবার অনেক বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, গোটা পৃথিবী নড়েচড়ে বসেছিল। কিন্তু ট্রাম্প একবারও বলেননি, ‘‘আমেরিকায় এ সব চলবে না।’’ তিনি টুইটারে লিখেছিলেন অন্য ভাবেঃ “লাস ভেগাসে ….. ঈশ্বর মঙ্গল করুন।”