আল লু’লু ওয়াল মারজানঃ জুমু’আহর বর্ণনা।
৭/৪৮৫: ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ জুমু‘আহ’র সলাতে আসলে (তার পূর্বে) সে যেন গোসল করে। (বুখারী পর্ব ১১: /২ হাঃ ৮৭৭, মুসলিম ৭/৭, হাঃ ৮৪৪) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭/৪৮৬: ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) জুমু‘আহ’র দিন দাঁড়িয়ে খুত্বা দিচ্ছিলেন, এ সময় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রথম যুগের একজন মুহাজির সাহাবী এলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁকে ডেকে বললেন, এখন সময় কত? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম, তাই ঘরে ফিরে আসতে পারি নি। এমন সময় আযান শুনতে পেয়ে শুধু উযূ করে নিলাম। ‘উমার (রাঃ) বললেন, কেবল উযূই? অথচ আপনি জানেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোসলের আদেশ দিতেন। (বুখারী পর্ব ১১ : /২ হাঃ ৮৭৮, মুসলিম ৭, হাঃ ৮৪৫) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস’
জুমু‘আহ্র দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের উপর গোসল ওয়াজিব এবং এ ব্যাপারে যা নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার বর্ণনা।
৭.১/৪৮৭ঃ আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জুমু‘আহ’র দিন প্রত্যেক সাবালকের (মুসলিমের) গোসল করা ওয়াজিব। (বুখারী পর্ব ১০ : /১৬১ হাঃ ৮৫৮, মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৬)
৭.১/৪৮৮ঃ মাদার অব মুমিনিন আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, লোকজন তাদের বাড়ি ও উঁচু এলাকা হতেও জুমু‘আহ’র সলাতের জন্য পালাক্রমে আসতেন। আর যেহেতু তারা ধুলোবালির মধ্য দিয়ে আগমন করতেন, তাই তারা ধূলি মলিন ও ঘর্মাক্ত হয়ে যেতেন। তাঁদের দেহ হতে ঘাম বের হত। একদা তাদের একজন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট ছিলেন। তিনি তাঁকে বললেনঃ যদি তোমরা এ দিনটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে। (বুখারী পর্ব ১১ : /১৫ হাঃ ৯০২, মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৭) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭.১/৪৮৯ঃ ইয়াহ্ইয়া ইব্নু সা‘ঈদ (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ তিনি আমরাহ (রহ.)-কে জুমু‘আহ’র দিনে গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। আমরাহ (রহ.) বলেন, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন যে, লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরের পর জুমু‘আহ’র জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাঁদের বলা হল, যদি তোমরা গোসল করে নিতে। (বুখারী পর্ব ১০ : /১৬ হাঃ ৯০৩, মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৭) হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
জুমু‘আহ্র দিন সুগন্ধি লাগানো ও মেসওয়াক করা।
৭.২/৪৯০ঃ ‘আমর ইব্নু সুলাইম আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) হতে বর্ণিত, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জুমু‘আহ’র দিন প্রত্যেক বালিগের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। আর মিস্ওয়াক করবে এবং সুগন্ধি পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করবে। (বুখারী পর্ব ১১: /৩ হাঃ ৮৮০, মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৬)
৭.৬/৪৯৬ঃ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পৃথিবীতে আমাদের আগমন সবশেষে হলেও কিয়ামাত দিবসে আমরা অগ্রগামী। কিন্তু, অন্যান্য উম্মাতগণকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আর আমাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের পরে। অতঃপর এ দিন তারা মতবিরোধ করেছে। তাই ইয়াহূদীদের মনোনীত শনিবার, খ্রিস্টানদের মনোনীত রবিবার। (বুখারী পর্ব ৬০ : /৫৪ হাঃ ৩৪৮৬, মুসলিম ৭/৬ হাঃ ৮৫৫)
৭/১৪.৫০২ঃ জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, এক জুমু‘আহ’র দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্বাহ দেয়ার সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, সলাত আদায় করেছ কি? সে বলল, না, তিনি বললেনঃ উঠ, দু’ রাক‘আত সলাত আদায় কর।(বুখারী পর্ব ১১ : /৩৩ হাঃ ৯৩১, মুসলিম ৭/১৪ হাঃ ৮৭৫), হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৭/১৪.৫০৩ঃ জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর খুত্বাহ প্রদানকালে ইরশাদ করলেনঃ তোমরা কেউ এমন সময় মাসজিদে উপস্থিত হলে, যখন ইমাম (জুমু’আহ্র) খুত্বা দিচ্ছেন, কিংবা মিম্বরে আরোহণের জন্য (হুজরাহ হতে) বেরিয়ে পড়েছেন, তাহলে সে তখন যেন দু’ রাক’আত সলাত আদায় করে নেয়। (বুখারী পর্ব ১৯ : /২৫ হাঃ ১১৭০, মুসলিম ৭/১৪ হাঃ ৮৭৫), হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
জুমু‘আহ্র দিন (সলাতে) কী পড়বে?
৭/১৭.৫০৪ঃ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু‘আহ’র দিন ফাজরের সলাতে ………….. এবং ………….. এ দু’টি সূরাহ তিলাওয়াত করতেন। (বুখারী পর্ব ১১ : /১০ হাঃ ৮৯১, মুসলিম ৭/৬৪, হাঃ ৮৮০), হাদিসের মানঃ সহিহ হাদি