আমি অসুস্থ বলেই।
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।
স্থানীয় সময়ঃ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত বাদ ইশা।
আমি অসুস্থ বলে আজ ক’দিন ধরে কনকন শীতে ঢাকা এ শহর,
আকাশের মনটাও এতই খারাপ
অঝোর ধারায় কান্না হবে যেন একটু পর;
আকাশও হয়ত আমার অসুস্থতার কথা ভুলে থাকবে।
তুমি জান-
নিউইয়র্কের আকাশে মেঘেরা এখন খেলা করে না।
আমি অসুস্থ বলে কেউ তো ছুটি দেয় না।
এই যেমন-
দেশের প্রধান বিচারপতিও অসুস্থতা হেতু ছুটি পেয়ে যায়
কী নির্দ্বিধায়।
অপরাধী অসুস্থতা হেতু ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয় না,
তার ছুটি মেলে কি অবলীলায়।
অসুস্থ হলে শিক্ষার্থীদের ছুটি মেলে,
শিশুরা সকালের আরবি ক্লাশ অসুস্থতার কথা বলে ফাঁকি দেয়।
বিদেশে উচ্চতার ডিগ্রি সংগ্রহে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ছুটি মেলে,
তারপর সেই শিক্ষক এই ইহজীবনে আর হয়ত দেশেই ফেরে না;
ফিরলেও বিদেশ থেকে দেশে যায় ছুটি কাটাতেই।
কিন্তু আমি বেচারার কোন ছুটি নেই।
প্রেয়সীও আমাকে অসুস্থতার অজুহাতে ছাড় দেয় না,
তিনি সচরাচর কেবলই-
করের বোঝা ছাপিয়ে দিব্যি দিন গুজরান করেন কী অবলীলায়।
আমাকে অসুস্থ পেয়ে প্রকৃতিও কেমন যেন ফ্যালফ্যাল করে তাকায়।
একটা তামাশার নির্বাচন করানোর জন্য সুস্থ বৃদ্ধ একজন রাষ্ট্রাপতিকে
অসুস্থ বানিয়ে হাসপাতাল পাঠানো হয়।
অথচ আমি মনন জগতে অসুস্থতা বোধ করি এখন প্রতিনিয়ত,
কিন্তু প্রেয়সী তো কোন প্রকারই ছাড় দিতে নারাজ।
তাঁর নাকি টেনশন হয় অর্থের জন্যই।
আমাকে এমন টেনশন তো কস্মিনকালে বাবাও দেন নি।
দেন নি মা’ও।
স্ত্রীরা কি শুধু মানসিক চাপ দিতেই সিদ্ধহস্ত।
এ পৃথিবীতে একটি নারীও কী জুটবে
এ জনমে,
যে অর্থ অর্থ বলে হাহুতাশ করে নি কোনদিন।
এ সব ভেবে ভেবে আমি আজ উদয়াস্ত হেঁটে চলি
আর আসলে সেজন্যই একজন কবি অসুস্থ।