আওয়ামী লীগ সভাপতিকে হাসপাতাল ছাড়া করলেন চিকিৎসক।
স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালের ওই চিকিৎসক প্রভাবশালী এক চিকিৎসক নেতার প্রভাবে রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে দ্রুত হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে। আহত রোগীর নাম হাফিজুর রহমান খান ওরফে হাফিজ। তিনি কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড শালঘর মধুয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, স্থানীয় রাজনীতির রোষানলে পড়ে তিনি সরকারি হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মামলার এজাহার ও রোগীর স্বজনদের তথ্যমতে, গত ২১ আগষ্ট মঙ্গলবার শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের বখাটে যুবকরা বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান ওই যুবকদের মোটর সাইকেলসহ আটক করে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় যুবকরা।
এ ঘটনার জের ধরে গত ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে হাফিজুর রহমান শালঘর মধুয়া বাজারের কাছে গেলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আবদুল বারী, রেজাউল, আবু জাফরসহ ১৫-২০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেবার পর দ্রুত হাসপাতালের অস্ত্র পচার কক্ষে নেয়া হয়। কোন রকম পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই পায়ে কয়েকটি সেলাই দিয়ে রাখা হয়। পরের দিন শুক্রবার হাসপাতালের সহকারী রেজিষ্ট্রার ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রাজিবুল হাসান ওই রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন।
পরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ওই সরকারি হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নাজমুল হুদা জানান, হাফিজুরের ডান পায়ের ফিবুলা হাড়টি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে।
হাফিজ জানান, মামলার এজাহারে কুষ্টিয়া শহরের একজন চিকিৎসকের নিকট আত্মীয়র নাম থাকায় হাসাপাতালে ভর্তি হয়েও চিকিৎসা না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ওই দিনই ব্যান্ডেজ খুলে দিয়ে সেরে গেছেন বলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেয়া হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চিকিৎসক রাজিবুল হাসান বলেন, রোগীর স্বজনদের করা অভিযোগ সঠিক নয়। রোগীর সাথে কথা বলেই তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। রোগী শুধু পায়ে ব্যথার কথা বলেছেন, এজন্য ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবং সেকারণে এক্সরে করার প্রয়োজনবোধ করি নি। সূত্রঃ বিডিজর্নাল