অবিশ্বাস্য ঘটনা: এক জোড়া নারী ইঁদুর থেকে জন্ম নিলো বাচ্চা ইঁদুর
October 13, 2018 1:59 pm
এ যেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের অবাক পৃথিবীর গল্প! বংশ বিস্তারে নারী-পুরুষের আবশ্যতা অনিবার্য ব্যাপার। সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের এই অপরিহার্যতা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে চীনা গবেষকরা একটি সমাধানেও পৌঁছে গিয়েছেন। তারা পুরুষ ছাড়াই এক জোড়া নারী ইঁদুর থেকে বাচ্চা ইঁদুরের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর ফলাও করে প্রচারিতও হয়েছে।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিন্ন প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয়া ইঁদুর ছানা দুটি স্বাস্থ্যবান হয়ে জন্মেছে এবং জন্মের পরই মায়ের কাছে হেঁটে গেছে। তবে ছানা দুটি জন্ম নেয়ার দিনই মারা গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গবেষণার মাধ্যমে তারা একটি মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন, তা হলো প্রাণীর বংশ বিস্তারের জন্য বিপরীত লিঙ্গের প্রয়োজনীয়তা কতটা অপরিহার্য? প্রচলিত স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে অথবা একই লিঙ্গের দুটি প্রাণী ব্যবহার করে নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়া সম্ভব কি না।
তবে এক জোড়া নারী ইঁদুর থেকে স্বাভাবিক বাচ্চার জন্ম দেয়ার মতো সাফল্যের পরেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিএনএ বা জেনেটিক কারণেই প্রজননের ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের অপরিহার্যতা রয়েছে। কারণ, জেনেটিক কোড বাবা নাকি মায়ের কাছ থেকে আসছে, তার ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। যেটিকে ‘জেনোমিক ইমপ্রিন্টিং’ বলা হয়।
কিন্তু চীনা বিজ্ঞানীরা একই লিঙ্গের ইঁদুর ব্যবহার করে নতুন বাচ্চা ইঁদুরের জন্ম দিতে গিয়ে এই জেনোমিক ইমপ্রিন্টিং সংশোধন করেছেন বা মুছে ফেলেছেন।
বিজ্ঞানী দলের একজন ড. ওয়েই লি বলেন, ‘আমরা এই গবেষণার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানে বিপরীত লিঙ্গের অপরিহার্যতাকে অতিক্রম করা সম্ভব।’
স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো যৌনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে। তবে কিছু প্রাণী ডিমের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে। আর সরীসৃপগুলো একা একাই বংশ বিস্তার ঘটায়। চীনা বিজ্ঞানীরা প্রজনের এই প্রচলিত ধারণা থেকে সবাইকে বের করে আনার কথা বলছেন।
দুই ইঁদুর মায়ের বিষয়ে বলা হয়েছে, একটি পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু এবং কৃত্তিম সেল হ্যাপলয়িড করে দুইটি ডিএনএ পাওয়া যায়। এরপর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিপূর্ণ ডিম্বানু তৈরি করে ওই দুই নারী ইঁদুরের গর্ভে দেয়। যা থেকেই মূলত দুটি ছানার জন্ম হয়।
এর আগে এক জোড়া পুরুষ ইঁদুর থেকে একটি বাচ্চার জন্ম দেয়া হয়েছিল। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেটিও মারা যায়। নতুন এই সাফল্যের পর বিজ্ঞানীরা হয়তো সমলিঙ্গের মানুষ থেকে মানব শিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করবেন। একদিন হয়তো এ নিয়ে নতুন পরীক্ষা ও উত্তর জানাতে পারবো আমরা।
সেসব পুরুষ দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে সুখী
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী আন্দ্রেয়া মেল্টজার প্রায় ৪৫০ দম্পতির উপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য উদঘাটন করেছেন।
নারী-পুরুষ উভয়েই সুন্দরের প্রতি আকর্ষন বোধ করেন আর সেটা খুবই স্বাভাবিক এক ব্যাপার। তবে বিশেষ করে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত সমাজেই পুরুষেরা নিজের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী হিসেবে একজন সুন্দরী নারীকেই কল্পনা করে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন গুণবতী কিন্তু অসুন্দর নারী তাদের কল্পনায় স্থান পায় না। পুরুষের যোগ্যতা কিংবা চেহারা যেমনই হোক না কেন, স্ত্রী হিসেবে একজন সুন্দরী নারী সকল পুরুষের চাই-ই চাই।
তবে শুধুমাত্র সুন্দর চেহারার উপর ভিত্তি করে তাকে সারাজীবন ভালবেসে যাওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়ে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। দাম্পত্য সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সম্পর্কের প্রতি দুজনকেই যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে একে অপরকে ভালবাসতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে দুজনকেই। তবেই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর হবে।
মনোবিজ্ঞানী আন্দ্রেয়ার গবেষণায় দেখা যায়, আকর্ষণীয় স্ত্রীকে বিয়ে করার মধ্যে একজন স্বামীর সন্তুষ্টি সব থেকে বেশি। এবং স্ত্রীদের শারীরিক গঠন সৌর্ন্দয্যের উপর নির্ভর করে স্বামীদের বিয়েতে সন্তুষ্টি।
তবে ওই গবেষণা মতে, পুরুষদের প্রতি নারীদের দৃষ্টিভঙ্গিটা পুরোপুরি ভিন্ন। স্বামীর চেহারা যেমনটাই হোক না স্ত্রীর তা নিয়ে তেমন একটা আক্ষেপ নেই। তার স্বামী তার উপরে সন্তুষ্ট কিনা, সেটাই তার সন্তুষ্টি।
ইউসিএলএ রিলেশন ইনস্টিটিউটের আরেকটি গবেষণাও প্রায় কাছাকাছি ধরণের তথ্য উঠে এসেছে। সেই গবেষণায় জানা গেছে যে, যেসব পুরুষের স্ত্রী দেখতে তুলনামূলক খারাপ, তারা তাদের স্ত্রীদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে সর্বদাই হীনমন্নতায় থাকে।
নারী-পুরুষের এমন সর্ম্পকের রহস্য নিয়ে যুগ যুগ ধরে গবেষণা চলছে। বিভিন্নসময় বিভিন্ন তথ্যে চমকে উঠছে সবাই। তবে প্রকৃত সুখ ও সন্তুষ্টি যে কিসে, তা নিয়ে হয়তো গবেষণা চলতেই থাকবে
জেনে নিন শরীরের জন্য রুটির উপকারিতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশের মানুষরা রুটির চেয়ে ভাত বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে ভাতের চেয়ে রুটির কদর বেশি। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের রিপোর্ট অনুসারে রাজস্থানই হল এমন একটি রাজ্য যেখানকার মানুষেরা শুধু রুটিই খান, ভাত তাদের একবারেই পছন্দ নয়। অন্যদিকে বাকি ভারতের ছবিটা একটু হলেও অন্যরকম। কেন অন্যরকম? আসলে পরিসংখ্যান বলছে শহুরে মানুষেরা যেখানে মাসে কম-বেশি ৪.৫ কেজি ভাত খান, সেখানে প্রায় ৪ কেজি গম ব্যবহার করেন রুটি বানানোর জন্য। আর যদি গ্রামের কথা জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে বলতে হয় তারা মাসে যেখানে ৬ কেজি ভাত খান, সেখানে গম ব্যবহার করেন প্রায় ৪.৩ কেজি। অর্থাৎ এ কথা বলা যেতেই পারে যে ভাতের পাশাপাশি সারা ভারতেই রুটির জনপ্রিয়তাও কিছু কম নয়। তাই এই প্রশ্নটির উত্তর জানা জরুরি যে গম দিয়ে বানানো রুটি সত্যিই কি শরীরের জন্য উপকারি!গম যে নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! কারণ গবেষণা বলছে এই কৃষিজাত উপদানটির অন্দরে উপস্থিত আয়রন, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬ এবং আরও সব উপকারি উপাদান নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। কিন্তু সেই গম দিয়ে বানানো রুটিও কি সমান উপকারি? একেবারেই! নানাবিধ গবেষণা অনুসারে গমে যে যে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, তা সবই উপস্থিত থাকে রুটিতেও। তাই তো দিনে কম করে ২-৩ টা করে রুটি খেলেই শরীরের নানাবিধ উপকার হয়, যেমন ধরুন…
পেশীকে শক্তপোক্ত করে তোলে: শরীরের অন্দরে থাকা পেশীদের শক্তি বৃদ্ধি পায় তখনই যখন প্রোটিনের চাহিদা মেটে। আর রুটিতে যে পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে, তা খুব সহজেই দেহের অন্দরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি মেটায়, সেই সঙ্গে পেশির গঠনেও কাজে এসে যায়। তাই তো বলি বন্ধু শক্তপোক্ত শরীরের অধিকারী যদি হতে চান, তাহলে নিয়মিত ৩ টি করে রুটি খেতে ভুলবেন না যেন!
ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে: গম দিয়ে বানানো রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, বি৯ এবং ভিটামিন ই, যা শরীরের অন্দরে এই সব ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই সবকটি ভিটামিনই যে নানাভাবে শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে…!
কনস্টিপেশনের প্রকোপ দূর করে: একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে নিয়মিত গমের রুটি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ সারতে একেবারে সময়ই লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে গমের রুটি যতটা উপকারি, বাজরার রুটি কিন্তু অতটা উপকারি নয়, তাই এই ধরনের রুটি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গমের রুটির অন্দরে থাকা ভিটামিন ই, ফাইবার এবং সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নিতে দেয় না। সেই সঙ্গে টিউমারের সম্ভাবনাও কমায়। ফলে এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, সরকারি পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালেই জানতে পারবেন গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ যে হারে বেড়েছে, তাতে এমন পরিস্থিতিতে রোজের ডায়েটে যে রুটি থাকা মাস্ট, সে বিষযে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই! এই শুক্রবার অসাধারণ সুযোগ শেষ হচ্ছে৷ এখনি কিনুন এই শুক্রবার সুযোগ শেষ হচ্ছে৷বড় ব্রান্ডে বড় সুযোগ৷এখনি কিনুন হ্যান্ডব্যাগে ২০০০০+স্টাইলস-এ অ্যামাজনে সেরা ডিল
শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে: গমের রুটি খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে গমের অন্দরে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপদান শরীরে প্রবেশ করার পর পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে
নানাবিধ রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমায়, বিশেষত পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে ফাইবারের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বলি বন্ধু, পেটকে যদি ঠান্ডা রাখতে হয়, তাহলে রোজের ডেয়েটে রুটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!
এনার্জির ঘাটতি দূর করে: অফিসে সেই সকাল থেকে এত কাজের চাপ যে মাথা তুলতে পারেননি। ফলে এনার্জি লেভেল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে? তাহলে তো বন্ধু লাঞ্চে রুটি খাওয়া মাস্ট! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গম দিয়ে বানানো রুটির অন্দরে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রোটিন নিমেষ ক্লান্তি দূর করে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওজন কমায়: অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি খুব চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজ থেকেই রাত্রে ভাতের জায়গায় রুটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ রুটি কেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। সেই সঙ্গে রুটি যেহেতু তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, তাই মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে কম খেলে ওজনও বাড়ে না, বরং কমে!
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে গমের রুটিতে থাকা ফাইবার প্রায় সব ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে বদহজম এবং গ্যাস অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যদি জিজ্ঞাস করেন যে রাতে রুটি খাওয়া উচিত কিনা? তাহলে উত্তর হবে অবশ্যই উচিত! শুধু তাই নয়,বাঙালি মানেই সে খেতে ভালবাসে, তাই তো পেটের রোগ বাঙালির নিত্য দিনের সঙ্গী। এমন পরিস্থিতি প্রতিদিন রুটি খাওয়ার যে প্রয়োজন অনেক, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!