অবশেষে পরমানু জগতে প্রবেশের পথে বাংলাদেশ।। সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুর।
নিউইয়র্ক সময়ঃ ৩০ নভেম্বর ২০১৭।। রাত সাতটা।
বহু প্রতীক্ষিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি৷
বিবিসি জানাচ্ছে, এই কেন্দ্রটির মূল পর্যায়ের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক জগতে প্রথম পা রাখবে। দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও, সফলভাবে শেষ হয়েছে এর প্রথম ধাপের কাজ।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজে সহযোগিতা করছে রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন৷ পাবনায় পদ্মা নদীর পাড়ে এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ । পরে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা নদী তীরবর্তী রূপপুর-কে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান হিসাবে নির্বাচন করা হয়৷ ১৯৬৯-১৯৭০ সাল নাগাদ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাতিল করে দিয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৯৭-২০০০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়া৷ ২০১১ সালে বাংলাদেশ এবং রাশিয়া সরকারের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত আন্তরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এদিকে এ প্রকল্প নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুরঃ
নিম্নে আমি অনিরুদ্ধ অনিকের পক্ষ থেকে আমার ফেসবুক পেজে ট্যাগ করা একটি পোস্টের উদ্বৃতি দিতে চাইঃ সেটি নিরম্নরূপঃ
”রূপপূর পারমানবিক প্রকল্পের কোন দূর্ঘটনার দায় রাশিয়া নেবে না। ইভেন এর পারমানবিক রেডিয়েশনযুক্ত বর্জ্য ও তারা নেবে না বা ডাম্পিং করবে না। (কমেন্টে দেখুনঃ প্রথম আলোর রেফারেন্সে বলছি)
আর যে চুক্তি হয়েছে বলে ইত্তেফাক বলছে, সে চুক্তিটা সম্ভবত এ টাইপের “রাশিয়ার বর্তমান অবস্থান হচ্ছে তেজস্ক্রিয় জ্বালানি বর্জ্য পরিবহনযোগ্য হওয়ার পর রাশিয়া তা নিয়ে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত (রিসাইকেল) করবে। এরপর তা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে এবং তারপর থেকে তা বাংলাদেশকেই সংরক্ষণ করতে হবে।”
জাপানের মত দেশে দুর্ঘটনার ঝুকির কথা বিবেচনা করে তারা পার্লামেন্ট এ বিল পাশ করে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে। সেখানে নাকি বাংলাদেশ নতুন করে পরমানবিক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। প্রজন্ম তুমি কি জান জাপানের মত আধুনিক হার্ডওয়ার্কিং দেশের পারমানবিক দুর্ঘটনা সামাল দেবার সক্ষমতা নাই। অভিজোগ আছে উন্নত পারমানবিক দেশ গুলো তাদের উচ্চ রেডিয়েশনের পারমানবিক বর্জ আমাদের মত দেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় ফেলে দিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমার পরিধী দেশের মূল ভুখন্ড থেকে কিন্তু অনেক অনেক দূরে। তুমি কি জান? গবেষকদের অনেকে মনে করেন বঙ্গোপসাগর থেকে উল্লেখযোগ্য হারে মতস সম্পদ কমে যাওয়ার এটা একটা কারন। তুমি কি বিশ্বাস কর? বাংলাদেশের এমন সাহস এবং সক্ষমতা আছে যে অন্যদেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় গিয়ে নিজেদের পারমানবিক বর্জ ফেলে রেখে আসবে? অথবা তারা আমাদের নিজেদের আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা পেরিয়ে অনেক অনেক দূরে গিয়ে বর্জগুলো ফেলে আসবে?
তুমি কি আমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে মারাত্মক বিষাক্ত রেডিওএক্টিভ ওয়েস্ট গুলো আমাদের দেশের সমুদ্র সীমার ভেতরেই ডাম্প করে আসবেনা আমাদের ই কিছু অলস লোক?
ভাল থেক প্রজন্ম! তোমার গাছ লাগবে না। পাখি লাগবে না। সুন্দরবন লাগবে না। তোমার তো থ্রিজি,ফোর জি, বাফার লেস ইউটিউব আর মোবাইল ফোনের টাওয়ার গুলো থাকলেই চলে যাবে। নিশিন্তে থাক প্রজন্ম। তোমাদের কিচ্ছু নিয়ে ভাবতে হবেনা।”