অন্ধকারে স্মার্টফোন দেখে চোখ নষ্ট করা থেকে বিরত হউন।
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক। তারিখঃ ২৯ মে ২০১৮।
স্মার্টফোন ছাড়া আজকের যুগ অচল। আমি নিজেও ঘুম থেকে জেগে মনের অজান্তেই রাতের অন্ধকারে আই ফোনের স্ক্রিনে চোখ চলে যায়। উদ্দেশ্য হল- দেখা, কোন জরুরী নোটিফিকেশন আসল কিনা। এভাবে ঘুম থেকে উঠেই, কোন নোটিফিকেশন এসেছে কি না, তা দেখতে আমার মত অনেকেরই হাত চলে যায় ফোনের দিকে। আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই চোখ লেগে আসে। আমিও ভাবতাম, এ তো রোজকার বিষয়। কিন্তু এ রকম রোজ চলতে থাকলে তার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে চোখের উপর। বিখ্যাত ম্যগাজিন ‘নিউজউইক’ এর একটি লেখার ওপর নজর পড়ল। তা দেখে অবাক হলাম। ভাবলাম আইফোন সংক্রান্ত এ ভয়াবহ পরিণতির কথা আমার জানান উচিত সকলকে, বিশেষ করে বাংলাভাষী মাখলুকাতকে। আমি আশা করি, এরপর আমি নিজেও েভুলেও আর অন্ধকারে আইফোনে বেশিক্ষণ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখব না। আপনারাও না। নিজের চোখ দুটো ভাল থাকুক, সর্বোপরি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কে না চায় বলুন।
‘গ্রিন ট্রি মেডিক’-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় ফোন থেকে বেরিয়ে আসা সবুজ আলো চোখের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর। এমনকি এতে চোখের রেটিনা পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একই রকম ঘটনা ঘটেছিল নিউইয়র্কের আলবামার এক ব্যক্তির সঙ্গে।
প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার সময় টানা আধ ঘণ্টা অন্ধকার ঘরে ফোন ঘাঁটাঘাটি করতেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তি আই-ক্যানসারের আক্রান্ত। ফিংগার নামে একজন চোখ বিশেষজ্ঞের মতে, স্মার্টফোনের থেকে যে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে, তার ফলেই অন্ধত্ব বা আই ক্যানসার হতে পারে। এই ব্যক্তির চোখের ক্যানসার এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, চিকিৎসকরা আর বাঁচতে পারেন নি তাকে।
তাই আমাদের কারোরই এ অভ্যাস থাকলে, এখনই তা বন্ধ করি। নিজেদের ছেলেমেয়েদের তা বন্ধ করতে বলি। আমার ছেলে নিহালের এ অভ্যাসটি অত্যন্ত বেশি। আমারও, আমার স্ত্রীরও। মেয়েটি বোধ হয় অমনটি নয়। এ নিয়ে দুটো স্টাডি হয়েছে- একটি নিউইয়র্ক ও অন্যটি নর্থ ক্যারোলিনাতে। আমি তড়িগড়ি করে দু কলম বাংলা লিখলাম। আপনি নিউজউইকসহ আরও কটি লিঙ্ক দিলাম পড়ে নিন ও সতর্ক হউন।
http://www.newsweek.com/rare-eye-cancer-ocular-melanoma-mysterious-disease-870458