অগ্রণী ব্যাংকে ২০ মাসে ৬০ কোটি টাকা লুট
19 Nov, 2017
.
এ ঘটনায় ফেঁসে গেছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাসহ মুন বাংলাদেশের পরিচালক মিজানুর রহমান। রোববার বিশাল অংকের এ অর্থ লুটপাটের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
দুদক ৬০ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৬৩০ টাকা লুটপাটের অভিযোগে মুন বাংলাদেশ লিমিটিডের পরিচালক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার্জশিট তৈরি করেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সহযোগিতার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরচিালক এবং প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আবদুল হামদি, প্রধান শাখার সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান খান, প্রধান শাখার সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরচিালক মো. মোফাজ্জল হোসেন, প্রধান শাখার সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আখতারুল আলম ও মো. আমরিুল ইসলাম, প্রধান শাখার সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল্লাহ এবং প্রধান শাখার সাবেক সিনিয়র প্রন্সিপিাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলামকেও চার্জশিটে দায়ী করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদেরকে লাভবান করে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে।
প্রকল্পরে জমিতে মালিকানা বিরোধ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা, রাজউক কর্তৃক ভবন নির্মাণের বাতিলকৃত নকশার ওপর নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এবং ভবনের অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে গ্রাহককে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন/গ্রহণ করে তন্মধ্যে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৯ টাকার কাজ করে। অবশিষ্ট ৬০ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৬৩০ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংককে আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হয়।