।।জেনে রাখা ভালঃ ১৬টি কুফরি বাক্য।।
।।নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।। স্থানীয় সময়ঃ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত সাতটা।
১৬ টি কুফরি বাক্য প্রায়ই আমাদের মধ্যে অনেকই নিয়মিত বলে থাকে। জেনে রাখা উচিৎ যে, এসব বাক্য ব্যবহার কোন রকমই ঠিক নয়।
সেগুলো হলঃ
১. আল্লাহর সাথে হিল্লাও লাগে।
২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। [ফুল চন্দন হিন্দুদের পুজা করার সামগ্রী বিশেষ।]
৩. কষ্ট করলে কেস্ট মেলে বলা। কেস্ট তো হিন্দু দেবির নাম। আপনি মুসলিম হয়ে কি তাহলে এ দেবিকে পাবার জন্য পরিশ্রম করছেন?
৪. মহভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল? [মহাভারত তো অন্যান্য উপন্যোসের মতই একটি গ্রন্থ। যা সবসময়ই কল্পনা প্রসূত ও বাস্তবতা বিবর্জিত। আর বাস্তবতা বিবর্জিত সকল কিছুই অশুদ্ধ।]
৫. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। [এটি ইসলামের নামে কটূক্তি করা হয়। চরম ভাবে ইসলামি মূল্যেোধকে হেয় করা হয়। ]
৬. লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে, লক্ষী স্ত্রী বলা। [হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী। তাই ইসলামে এ রকম বলা ও বিশ্বাস করা হারাম)
৭. কোন ঔষধকে জীবন রক্ষকারী বলা। [জন্ম ও মৃত্য’র ফয়সালা কোন মাখলুকােত সৃষ্ট জিনিসের হাতে হতে পারে না। এর নিয়ন্তা স্বয়ং আল্লাহ। তাই কোনে ঔষধকে জীবনরক্ষাকারী বলা ও বিশ্বাস ইসলাম থেকে বিচ্যুতি কিনা ভেবে দেখা দরকার। ]
৮. দুনিয়াতে কাউকে শাহেন সাহ্ বলা। শাহেন সাহ তো মহান রাব্বুল আ’লামিন।
৯. নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসি পাতা বলা। [এটি অনৈসলামিক পরিভাষা, যা হারাম। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ পাতা পূত পবিত্র হলেও ইসলামে এমন কোন ধ্যান ধারণার অবকাশ নেই।)
১০. ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাঊস, ইয়া কুতুব, ইয়া আলী ইত্যাদি বলা। [এটি শির্ক। ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ। শির্ক আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।]
১১. ইয়া আলী, ইয়া রাসুল (সাঃ) বলে ডাকা এবং সাহায্য প্রার্থনা করা। (আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কাউকে ডাকা ও সাহায্যকারী ভাবা শির্ক এরই অন্তর্ভুক্ত।]
১২. বিসমিল্লায় গলদ বলা। [এটি সরাসরি কুফরি। বিসমিল্লাহে্ য় তো কোন গলদ নেই।]
১৩. মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া বলা। [কুফরি বাক্য। এ থেকে সাবধান হই।]
১৪. মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলা। [মধ্যযুগ ইসলামের স্বর্ণযুগ। এ যুগকে এমন অপবাদ দেবার প্রচারণা পাশ্চাত্য খ্রিস্টিয় ও ইহুদি এবং এশিয়া অঞ্চলের মুশরেকি শক্তি অব্যাহত রেখেছে। মূলতঃ ইসলাম যে যুগের সূচনা করেছিল, সেটি মানবতার মুক্তির দিশারী মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর নির্দেশে কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।]
১৫. মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না। [ ডাহা মিথ্যে কথা। ইসলাম ধংসকারী চিন্তা-চেতনা ও শয়তানী মতবাদ।)
১৬. নামাজ না পড়লেও ঈমান ঠিক আছে বলা। [ইসলাম থেকে বের করার শয়তানী নীতি। )
এ গুলো অজ্ঞতার কারণে হয়ে থাকে। হে মুসলিম উম্মাহ। আসুন আমরা নিজে অতপর নিজের পরিবার ও সমাজকে সচেতন করিআর কত পড়ে থাকব অজ্ঞতার অন্ধকারে?